ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাবিপ্রবি নবীন শিক্ষার্থীদের  বরণ করলো ছাত্রশিবির

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন দ্যা গ্রান্ড দাদুবাড়ি পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে নবীনদের  বরণ করেন

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ২০২৩-২৪ সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীববরণের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, হাবিপ্রবি শাখা।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহা. রেজওয়ানুল হকের সভাপতিত্বে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক জাহিদ হাসান মিলনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন হাবিপ্রবি শিবিরের সেক্রেটারি শেখ রিয়াদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম আকিক এবং দিনাজপুর শহর শাখার সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলামসহ শিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া নবীনবরণে ‘ক্যারিয়ার গাইডলাইন’ শীর্ষক সেশন পরিচালনা করেন আমেরিকার এলকর্ণ স্টেট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুস সোবহান ও দিনাজপুর স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আফসার আল মাহমুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম বলেন, একজন বুদ্ধিমান, একজন মেধাবী, একজন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তির করণীয় হচ্ছে তিনি কতটুকু এসেছেন এবং তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তিনি কোথায় যেতে চান আর সেটার জন্য তার কতটুকু রাস্তা এখনও বাকি আছে সেই ক্যালকুলেশনটুকু করা। আজ থেকে ৫০ বছর পর আপনি কোথায় থাকবেন সেই ক্যালকুলেশন আপনাকে করা উচিৎ। আমাদের এই বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে অপার একটি সম্ভাবনার দেশ। এই বাংলাদেশের সবকিছুই আছে অসংখ্য জনগোষ্ঠী ও জনশক্তি রয়েছে, কিন্তু এই জনশক্তিকে আমরা জনসম্পদে রূপান্তর করতে পারিনি এটা আমাদের ব্যর্থতা। এটা আমাদের যারা লিড দিয়েছে, রাষ্ট্রকে পরিচালনা করেছে তাদের চরম ব্যর্থতা আপনাকে এই ব্যর্থতা স্বীকার করতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, আজকের আয়োজন হচ্ছে আপনাদেরকে এই দেশের সম্ভাবনাগুলোকে নিজের জায়গা থেকে যতটুকু জানেন আর একটু নিজের দায়িত্ববোধকে জাগ্রত করে দেয়া। এদেশের মানুষগুলো আসলেই মজলুম, তারা সব সময় শুধু জীবন দেয় ভালো কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে। কিন্তু দেখা যায় এই দেশকে যারা নেতৃত্ব দেয় সেই মানুষগুলো এদেরকে কিছু দিতে পারে না। তারা শুধু এই মানুষগুলোকে শোষণ করেই তাদের চেয়ার এবং তাদের পদবি তারা তাদের রাষ্ট্রীয় শাসনকে টিকিয়ে রাখে। এই ৫ তারিখ একটি পরিবর্তন হয়েছে, এই পরিবর্তনকে মূল্যায়ন না করে যদি কেউ রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায় তাহলে তারা আবারো বোকামী করবে এবং এটির পরিণতি অতীতে যা হয়েছে তার মতোই হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমরা অতীত থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহণ করি না। অতীতের ইতিহাস পড়া হয় এজন্য যে, আপনি অতীত থেকে শিক্ষা নেবেন এবং ভবিষ্যতের কার্যক্রমকে সেভাবে সাজাবেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রকে যারা পরিচালনা করে তারা কখনো ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না। এজন্য আমরা তাদের প্রতি এই আহ্বান জানাবো। আর আপনারা যারা সচেতন আছেন আপনাদেরকে এই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে। এদেশের জন্য আপনারা যেমন ভাববেন তেমনি পুরো পৃথিবীর মানুষের মানবতার কথা ভাবতে হবে। আমাদের ভেতরে সবকিছুই আছে, কিন্তু মোরালিটির অভাববোধ আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমাদের ভেতর সবকিছু আছে, কিন্তু মোরালিটি তৈরি হয় না। আমাদের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ, জাতীয়তাবাদ একটা আরেকটার সাথে সাংঘর্ষিক। আপনি যখন একই ব্যক্তিকে একই জনগোষ্ঠীকে সবকিছু একসাথে করে দিবেন একটা সাংঘর্ষিক আদর্শ ঢুকিয়ে দিবেন তখন তার ভেতরে ঐক্য তৈরি হবে না।
নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদেরকে শিবিরের পরিচিতি সম্বলিত লিফলেট, টেবিল ক্যালেন্ডার, বই, কলমসহ গিফট প্যাক উপহার দেয়া হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ বেশকিছু সুপারিশ সংস্কার কমিশনের

হাবিপ্রবি নবীন শিক্ষার্থীদের  বরণ করলো ছাত্রশিবির

আপডেট সময় ০৮:৪৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন দ্যা গ্রান্ড দাদুবাড়ি পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে নবীনদের  বরণ করেন

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ২০২৩-২৪ সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীববরণের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, হাবিপ্রবি শাখা।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহা. রেজওয়ানুল হকের সভাপতিত্বে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক জাহিদ হাসান মিলনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন হাবিপ্রবি শিবিরের সেক্রেটারি শেখ রিয়াদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পাঠাগার সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম আকিক এবং দিনাজপুর শহর শাখার সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলামসহ শিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া নবীনবরণে ‘ক্যারিয়ার গাইডলাইন’ শীর্ষক সেশন পরিচালনা করেন আমেরিকার এলকর্ণ স্টেট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুস সোবহান ও দিনাজপুর স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আফসার আল মাহমুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম বলেন, একজন বুদ্ধিমান, একজন মেধাবী, একজন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তির করণীয় হচ্ছে তিনি কতটুকু এসেছেন এবং তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তিনি কোথায় যেতে চান আর সেটার জন্য তার কতটুকু রাস্তা এখনও বাকি আছে সেই ক্যালকুলেশনটুকু করা। আজ থেকে ৫০ বছর পর আপনি কোথায় থাকবেন সেই ক্যালকুলেশন আপনাকে করা উচিৎ। আমাদের এই বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে অপার একটি সম্ভাবনার দেশ। এই বাংলাদেশের সবকিছুই আছে অসংখ্য জনগোষ্ঠী ও জনশক্তি রয়েছে, কিন্তু এই জনশক্তিকে আমরা জনসম্পদে রূপান্তর করতে পারিনি এটা আমাদের ব্যর্থতা। এটা আমাদের যারা লিড দিয়েছে, রাষ্ট্রকে পরিচালনা করেছে তাদের চরম ব্যর্থতা আপনাকে এই ব্যর্থতা স্বীকার করতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, আজকের আয়োজন হচ্ছে আপনাদেরকে এই দেশের সম্ভাবনাগুলোকে নিজের জায়গা থেকে যতটুকু জানেন আর একটু নিজের দায়িত্ববোধকে জাগ্রত করে দেয়া। এদেশের মানুষগুলো আসলেই মজলুম, তারা সব সময় শুধু জীবন দেয় ভালো কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে। কিন্তু দেখা যায় এই দেশকে যারা নেতৃত্ব দেয় সেই মানুষগুলো এদেরকে কিছু দিতে পারে না। তারা শুধু এই মানুষগুলোকে শোষণ করেই তাদের চেয়ার এবং তাদের পদবি তারা তাদের রাষ্ট্রীয় শাসনকে টিকিয়ে রাখে। এই ৫ তারিখ একটি পরিবর্তন হয়েছে, এই পরিবর্তনকে মূল্যায়ন না করে যদি কেউ রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায় তাহলে তারা আবারো বোকামী করবে এবং এটির পরিণতি অতীতে যা হয়েছে তার মতোই হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমরা অতীত থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহণ করি না। অতীতের ইতিহাস পড়া হয় এজন্য যে, আপনি অতীত থেকে শিক্ষা নেবেন এবং ভবিষ্যতের কার্যক্রমকে সেভাবে সাজাবেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রকে যারা পরিচালনা করে তারা কখনো ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না। এজন্য আমরা তাদের প্রতি এই আহ্বান জানাবো। আর আপনারা যারা সচেতন আছেন আপনাদেরকে এই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে। এদেশের জন্য আপনারা যেমন ভাববেন তেমনি পুরো পৃথিবীর মানুষের মানবতার কথা ভাবতে হবে। আমাদের ভেতরে সবকিছুই আছে, কিন্তু মোরালিটির অভাববোধ আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমাদের ভেতর সবকিছু আছে, কিন্তু মোরালিটি তৈরি হয় না। আমাদের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ, জাতীয়তাবাদ একটা আরেকটার সাথে সাংঘর্ষিক। আপনি যখন একই ব্যক্তিকে একই জনগোষ্ঠীকে সবকিছু একসাথে করে দিবেন একটা সাংঘর্ষিক আদর্শ ঢুকিয়ে দিবেন তখন তার ভেতরে ঐক্য তৈরি হবে না।
নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদেরকে শিবিরের পরিচিতি সম্বলিত লিফলেট, টেবিল ক্যালেন্ডার, বই, কলমসহ গিফট প্যাক উপহার দেয়া হয়।