অভিন্ন নদীর পানি বাংলাদেশকে না দেওয়ার কোনো যুক্তিই ভারতের নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ইউরোপে অনেক বড় দানিয়ুব নদী আছে, যেটা জার্মানি থেকে শুরু হয়েছে, নেদারল্যান্ডসে গিয়ে শেষ হয়েছে। সেগুলোতে জাহাজ চলেছে। নিজেদের মধ্যে পলিটিক্যাল ইস্যু থাকতে পারে কিন্তু নদীর পানির হিস্যা নীতি ছিল। ভারতের কোনো যুক্তিই নেই আমাদেরকে পানি না দেওয়ার। এটা নিয়ে চাপ দিতে হবে।’
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন,‘ভারতে যখন পানির চাপ থাকে তখন আমাদের এখানে স্লুইসগেটগুলো খুলে দেয়। আবার ওদের এখানে যখন পানিস্বল্পতা থাকে তখন স্লুইসগেটগুলো বন্ধ করে দেয়। তারা এটা ইচ্ছামতো করছে,সেজন্য আমরা পানি পাচ্ছি না। এতে করে আমাদের চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। দিন দিন মরুভূমির মতো হয়ে যায়, শুকনো হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘গ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল নিয়ে আমরা কত আর সহ্য করব? আমরা যতটুকু সম্ভব; আমাদের যে নদীগুলো আছে সেগুলোতো সময় মতো পানিগুলো যদি পেয়ে থাকি তাহলে চাষাবাদসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হবে।’
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যে কাজগুলো করছি, সেগুলো অনেক চ্যালেঞ্জিং। এগুলোতে জনগণের সাপোর্ট প্রয়োজন। পানির ব্যাপারে শুধু ফারাক্কা নয়, আরও অভিন্ন যে ৫৪টা নদী আছে সেগুলো যাতে ন্যায্য হিস্যা অনুযায়ী পানি পায় সেজন্য আমরা কাজ করব।’
আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির নিউইয়র্ক শাখার চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান,বাংলাদেশ শাখার সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।