ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে প্রয়াত কবি ড. হিমেল বরকতের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

বাগেরহাটের মোংলায় প্রয়াত কবি, গবেষক, প্রাবন্ধিক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হিমেল বরকতের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় রুদ্র স্মৃতি সংসদ মিঠাখালী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মোংলা, সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, কবির কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, স্মরণসভা এবং দোয়া মাহফিল।

মোংলার মিঠাখালীতে কবির কবর জিয়ারত শেষে স্মরণানুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি সাংবাদিক সুমেল সারাফাত, মোংলা নাগরিক সমাজের সভাপতি নুর আলম শেখ, কবির বাল্যবন্ধু জানে আলম বাবু, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সংগঠনের ইবনুল সাইদ রানা ও মামুন কবীর।

বক্তারা বলেন, ড. হিমেল বরকত বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে এক আলোকিত নাম। তিনি কবিতা, গবেষণা ও সাহিত্য সমালোচনায় নিজস্ব ছাপ রেখেছেন। তাঁর অকাল প্রয়াণ সাহিত্য জগতে অপূরণীয় ক্ষতি।

১৯৭৭ সালের ২৭ জুলাই মোংলার মিঠাখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করা হিমেল বরকত ছিলেন বাংলা সাহিত্যের বহুমাত্রিক প্রতিভা। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে চোখে চৌদিকে, দশ মাতৃক দৃশ্যাবলি, প্রান্তস্বর ব্রাত্যভাবনা, বুদ্ধদেব বসু গবেষণা গ্রন্থ এবং ছোটগল্প সংকলন আয়না এবং পেনসিল ও রাবারের গল্প।

পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সাহিত্যিকের রচনা সম্পাদনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ রচনাবলী, কবি ত্রিদিব দস্তিদারের কবিতা সমগ্র এবং চন্দ্রাবতীর রামায়ণ।

২০০৫ সালে ঢাকা সিটি কলেজে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন হিমেল বরকত। ২০০৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং ২০১৮ সালে অধ্যাপক হন। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন।

হিমেল বরকত প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ছোট ভাই। তাঁর সাহিত্যকর্ম আজও তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাগেরহাটে প্রয়াত কবি ড. হিমেল বরকতের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

আপডেট সময় ০২:৩২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বাগেরহাটের মোংলায় প্রয়াত কবি, গবেষক, প্রাবন্ধিক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হিমেল বরকতের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় রুদ্র স্মৃতি সংসদ মিঠাখালী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মোংলা, সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শোভাযাত্রা, কবির কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, স্মরণসভা এবং দোয়া মাহফিল।

মোংলার মিঠাখালীতে কবির কবর জিয়ারত শেষে স্মরণানুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি সাংবাদিক সুমেল সারাফাত, মোংলা নাগরিক সমাজের সভাপতি নুর আলম শেখ, কবির বাল্যবন্ধু জানে আলম বাবু, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সংগঠনের ইবনুল সাইদ রানা ও মামুন কবীর।

বক্তারা বলেন, ড. হিমেল বরকত বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে এক আলোকিত নাম। তিনি কবিতা, গবেষণা ও সাহিত্য সমালোচনায় নিজস্ব ছাপ রেখেছেন। তাঁর অকাল প্রয়াণ সাহিত্য জগতে অপূরণীয় ক্ষতি।

১৯৭৭ সালের ২৭ জুলাই মোংলার মিঠাখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করা হিমেল বরকত ছিলেন বাংলা সাহিত্যের বহুমাত্রিক প্রতিভা। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে চোখে চৌদিকে, দশ মাতৃক দৃশ্যাবলি, প্রান্তস্বর ব্রাত্যভাবনা, বুদ্ধদেব বসু গবেষণা গ্রন্থ এবং ছোটগল্প সংকলন আয়না এবং পেনসিল ও রাবারের গল্প।

পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সাহিত্যিকের রচনা সম্পাদনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ রচনাবলী, কবি ত্রিদিব দস্তিদারের কবিতা সমগ্র এবং চন্দ্রাবতীর রামায়ণ।

২০০৫ সালে ঢাকা সিটি কলেজে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন হিমেল বরকত। ২০০৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং ২০১৮ সালে অধ্যাপক হন। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন।

হিমেল বরকত প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ছোট ভাই। তাঁর সাহিত্যকর্ম আজও তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।