ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে নাটোরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo ২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস Logo ভোটার হওয়ার বয়সসীমা ১৬ করার পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের Logo যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় পৌঁছেছে বাংলাদেশিদের মানবিক সহায়তা Logo জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা টঙ্গীর বিক্ষোভ মিছিল Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে সব ব্যাংক Logo নতুন বাংলাদেশ তৈরির সুযোগ যেন কোনোভাবে নষ্ট না হয় : মির্জা ফখরুল Logo বিএনপি নেতাকর্মীদের দ্বারা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী গণধ’র্ষ’ণের শিকার Logo জুলাই যোদ্ধাদের উপর হুমকি এলে শিবির বসে থাকবে না: জাহিদুল ইসলাম Logo কুষ্টিয়ায় এনসিপির উপর হামলার প্রতিবাদে জামায়াতের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল

নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত দিল যুক্তরাজ্য

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ১০:০৮:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • 153

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর ইউরোপ ও এর পশ্চিমামিত্র যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতবিরোধ চরমে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং একে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ ও ভিত্তিহীন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তবে নিজ দেশে গেলে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত করার দিয়েছে যুক্তরাজ্য। খবর আনাদুলু

বার্তা সংস্থা আনাদুলু বলছে, আইসিসি আদালতের মোট সদস্য রাষ্ট্র ১২৪টি দেশ। এদের মধ্যে যুক্তরাজ্যও রয়েছে। ফলে এই আদালতের রায় অনুসারে কারো বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলে তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে দেশটির। বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণার পর ব্রিটিশ সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে ‘ওয়ান্টেড ম্যান’ নেতানিয়াহু যদি যুক্তরাজ্যে আসেন তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টেরমারের মুখপাত্র এ ব্যাপারে বলেছেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে চলার যুক্তরাজ্যের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে এটি সবসময় তা মেনে চলবে। তবে নেতানিয়াহুকে কী গ্রেপ্তার করা হবে? সরাসরি এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেছেন, আমি নির্দিষ্ট কোনো মামলা নিয়ে কথা বলব না।

এর আগে অপর এক ব্রিটিশ মুখপাত্র আরও কঠোরভাবে এ প্রশ্নের জবাব দিয়ে বলেছেন, “আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করি। যেটি পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী নিয়ে তদন্ত ও বিচার করার প্রাথমিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।”
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপারও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। স্কাই নিউজেকে তিনি বলেছেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে এটি আমার পক্ষে কোনও বিষয় নয়। আমি যা বলতে পারি তা হল যে স্পষ্টতই যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান আগের মতোই আছে। আমরা বিশ্বাস করি গাজায় যুদ্ধবিরতির দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত।” এছাড়া বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে প্রোগ্রামে উপস্থিত হয়ে, কুপার আইসিসির স্বাধীনতা এবং যুক্তরাজ্য সরকারের থেকে এর স্বতন্ত্র ভূমিকার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত স্পষ্টতই স্বাধীন। আমরা আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করি এবং আমরা এর ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার।

এদিকে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিসও বলেছেন, নেতানিয়াহু যদি আয়ারল্যান্ডে আসেন তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এ ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি জবাব দিয়ে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতকে সমর্থন করি এবং তাদের পরোয়ানা প্রয়োগ করি।” এছাড়া ইতালিও একই সুরে কথা বলেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে নাটোরে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত দিল যুক্তরাজ্য

আপডেট সময় ১০:০৮:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর ইউরোপ ও এর পশ্চিমামিত্র যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতবিরোধ চরমে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং একে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ ও ভিত্তিহীন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তবে নিজ দেশে গেলে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত করার দিয়েছে যুক্তরাজ্য। খবর আনাদুলু

বার্তা সংস্থা আনাদুলু বলছে, আইসিসি আদালতের মোট সদস্য রাষ্ট্র ১২৪টি দেশ। এদের মধ্যে যুক্তরাজ্যও রয়েছে। ফলে এই আদালতের রায় অনুসারে কারো বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলে তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে দেশটির। বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণার পর ব্রিটিশ সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে ‘ওয়ান্টেড ম্যান’ নেতানিয়াহু যদি যুক্তরাজ্যে আসেন তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টেরমারের মুখপাত্র এ ব্যাপারে বলেছেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে চলার যুক্তরাজ্যের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে এটি সবসময় তা মেনে চলবে। তবে নেতানিয়াহুকে কী গ্রেপ্তার করা হবে? সরাসরি এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেছেন, আমি নির্দিষ্ট কোনো মামলা নিয়ে কথা বলব না।

এর আগে অপর এক ব্রিটিশ মুখপাত্র আরও কঠোরভাবে এ প্রশ্নের জবাব দিয়ে বলেছেন, “আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করি। যেটি পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী নিয়ে তদন্ত ও বিচার করার প্রাথমিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।”
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপারও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। স্কাই নিউজেকে তিনি বলেছেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে এটি আমার পক্ষে কোনও বিষয় নয়। আমি যা বলতে পারি তা হল যে স্পষ্টতই যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান আগের মতোই আছে। আমরা বিশ্বাস করি গাজায় যুদ্ধবিরতির দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত।” এছাড়া বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে প্রোগ্রামে উপস্থিত হয়ে, কুপার আইসিসির স্বাধীনতা এবং যুক্তরাজ্য সরকারের থেকে এর স্বতন্ত্র ভূমিকার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত স্পষ্টতই স্বাধীন। আমরা আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করি এবং আমরা এর ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার।

এদিকে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিসও বলেছেন, নেতানিয়াহু যদি আয়ারল্যান্ডে আসেন তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এ ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি জবাব দিয়ে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতকে সমর্থন করি এবং তাদের পরোয়ানা প্রয়োগ করি।” এছাড়া ইতালিও একই সুরে কথা বলেছে।