ঢাকা ০১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতার ভারসাম্য, একজন দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:৩১:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • 22

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

প্রথম আলো:

ক্ষমতার ভারসাম্য, একজন দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়
সংবিধান সংস্কারের ব্যাপারে দলীয় প্রস্তাব শিগগিরই সরকারের এই সম্পর্কিত কমিশনের কাছে দেবে বিএনপি।সংবিধান, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ বিভাগের সংস্কারে দলীয় প্রস্তাব অনেকটা চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, এক ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনা—বিএনপি তাদের প্রস্তাবে এই তিন বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে। সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব তারা শিগগিরই অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশনে দেবে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় দলীয় সংস্কার কমিটিগুলোর কাজের অগ্রগতির বিষয় ছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর কাজ নিয়েও আলোচনা করা হয়।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপি তাদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের আলোকেই সংবিধানসহ রাষ্ট্রের
গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রস্তাবগুলো চূড়ান্ত করছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ করা, এক ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনা—এসব প্রতিশ্রুতি রয়েছে বিএনপির ৩১ দফায়। দলটির গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিটি ওই প্রতিশ্রুতিগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তাব তৈরি করেছে। এর সঙ্গে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার—এই তিন বিষয়কে সংবিধানের মূলনীতি ঘোষণা করা, আনুপাতিক নির্বাচনপদ্ধতিতে না যাওয়ার প্রস্তাব থাকছে।

তবে এ বিষয়ে বিএনপির নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দেননি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

দায় নেবে না বিএনপি
রাষ্ট্রপতি অপসারিত হলে সৃষ্টি হতে পারে সাংবিধানিক সংকট, এমন আশঙ্কা বিএনপির শীর্ষমহলে। আওয়ামী লীগ বা যে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে বিএনপি দাবি করলে দায়মুক্ত থাকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। দলটির নেতারা মনে করেন, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে সম্প্রতি যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তাতে সরকার চাইলে যে কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। সেই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকেও দেশে বিদ্যমান অনেক আইনেই নিষিদ্ধ করা সম্ভব। তাই বিএনপি এ দুই ইস্যুতে নিজেরা কোনো দায়দায়িত্ব নেবে না। তারা চায় না বিএনপির কাঁধে দায় চাপিয়ে সরকার তার ইচ্ছা পূরণ করুক। এ দুটি ইস্যুতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে বিএনপি নেতারা মনে করছেন। এ সরকার ব্যর্থ হোক তা কোনো অবস্থাতেই চায় না বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য অর্জিত হবে না। গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। সে কারণেই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো দায় নেবে না বিএনপি। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। দলের স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, রাষ্ট্রপতির অপসারণ ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দায় নেবে না বিএনপি। দুটি ইস্যুকেই তারা দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন। দেশবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান দলটির। সংবিধানের শূন্যতা চায় না বিএনপি। রাষ্ট্রপতির অপসারণের মাধ্যমে দেশে কোনো সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হোক, আর এটা নিয়ে কোনো পক্ষ ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করুক, বিএনপি এটা কিছুতেই চায় না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগসহ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হোক, এটাও চায় না দেশের এই বৃহত্তম রাজনৈতিক দল।

কালের কন্ঠ:

ওষুধের ‘অন্যায্য’ দামে পিষ্ট রোগী
দেশে গত তিন মাসে ৫০টির বেশি ওষুধের দাম গড়ে ২৯ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ বেড়েছে অ্যানাফ্লেক্স ম্যাক্স ট্যাবলেটের দাম। আটটি ওষুধের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী ব্যথানাশক ওষুধ, ভিটামিন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, চর্ম ও প্রদাহজনিত ওষুধ রয়েছে।

৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে ১১টির ওষুধের দাম। ১০ থেকে ৩০ শতাংশ দাম বেড়েছে ২২টির। ৯টি ওষুধের দাম বেড়েছে ৬ থেকে ১০ শতাংশ।
গত কয়েক দিনে রাজধানীর বিভিন্ন ওষুধের দোকান থেকে মূল্যবৃদ্ধির এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে ২১টি ওষুধ তৈরি করছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। এ ছাড়া এসিআই, অ্যারিস্টো ফার্মা, সার্ভিয়ার ফার্মা, ইউনিমেড ইউনিহেলথ, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল, বিকন ফার্মা ও নভিসতা ফার্মার বিভিন্ন ওষুধের দাম বেড়েছে।
ওষুধের দোকান মালিকরা বলছেন, ওষুধের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে প্রায়ই বাগবিতণ্ডা হচ্ছে। ওষুধশিল্প সমিতির ভাষ্য, গত তিন মাসে ওষুধের দাম বাড়েনি, দাম সমন্বয় করা হয়েছে।

নয়াদিগন্ত:

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪৪ হাজার ছাড়াল
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে গত ১৩ মাসে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এ উপত্যকার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহত ব্যক্তিদের নিয়ে প্রকাশ করা এ পরিসংখ্যানে বেসামরিক লোকজন ও হামাস যোদ্ধাদের আলাদা করেনি। তবে মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। ইসরাইল অবশ্য কোনো প্রমাণ না দিয়ে দাবি করেছে, তাদের হাতে গাজায় ১৭ হাজারের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের সাথে ইসরাইলি বাহিনীর যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত উপত্যকাটিতে নিহত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৬ জন। আর আহত ব্যক্তিদের সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮। তবে নিহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে জানায় মন্ত্রণালয়। কেননা বহু মৃতদেহ বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে এবং এমন অনেক এলাকা রয়েছে, যেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা যেতে পারেননি। ইসরাইলি বাহিনীর হামলার মাঝে মধ্য ও উত্তর গাজার আংশিকভাবে কার্যকরী হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ শেষ হয়ে গিয়েছে। এ দিকে ইসরাইলি গানবোটের হামলায় গাজা শহরের উপকূলে একজন জেলে নিহত এবং অন্যজন আহত হয়েছে।

উত্তর গাজায় ১৫ ইসরাইলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের
এ দিকে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় বেইত লাহিয়া শহরের খুব কাছাকাছি এলাকায় ১৫ জন ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে হামাস। বৃহস্পতিবার হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড এ কথা জানায়। এক বিবৃতিতে আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা ১৫ সেনার একটি ইসরাইলি পদাতিক ইউনিটকে খুব কাছ থেকে হত্যা করেছে। পৃথক এক বিবৃতিতে আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, ‘তারা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া ক্যাম্পের পশ্চিমে সাফাতাউই এলাকার কাছে ইসরাইলি মারকাভা ট্যাংক লক্ষ্য করে ট্যান্ডেম শেল হামলা চালিয়েছে।’ অন্য দিকে, ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্টের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেড জানায়, তারা জাবালিয়া ক্যাম্পের কেন্দ্রস্থলে জাবালিয়া সার্ভিসেস ক্লাবের কাছে ৬০ মিলিমিটার মর্টার শেল ব্যবহার করে ইসরাইলি সেনা ও যানবাহন লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইসরাইলি সেনাবাহিনী এসব হামলার বিষয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি

যুগান্তর:

বিদ্যুৎ গতিতে বাড়ছে খেলাপি ঋণ

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাতে ব্যাপক লুটপাটে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে। লুটপাটের টাকার বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ওইসব টাকা এতদিন খেলাপি করা হয়নি। এখন সেগুলো খেলাপি হচ্ছে। আগে খেলাপি ঋণের প্রকৃত তথ্য আড়াল করে কমিয়ে দেখানো হতো। এখন সব তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ গতিতে বেড়ে যাচ্ছে খেলাপি ঋণ।

এদিকে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী মার্চের মধ্যে খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা আন্তর্জাতিকমানের করতে হবে। তখন থেকে কোনো ঋণের কিস্তি পরিশোধের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ৩ মাস পর থেকে খেলাপি হবে। এখন খেলাপি হচ্ছে ৬ মাস পর। ঋণখেলাপি হওয়ার সময় ৩ মাস এগিয়ে আনা হলে এর অঙ্ক আরও বেড়ে যাবে। এসব কারণে আগামীতে ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ব্যাংক খাতে প্রভিশন ও মূলধন ঘাটতি বেড়ে যাবে। এতে ব্যাংকগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্যে বাড়তি ফি বা কমিশন দিতে হবে। ফলে ব্যবসা খরচ বাড়বে। এর প্রভাবে বাড়বে পণ্যের দাম। যা সরাসরি ভোক্তাকে আক্রান্ত করবে।

কালবেলা:

পিছিয়ে পড়ছে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম
অন্তর্বর্তী সরকার দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিলেও কার্যত অনুসন্ধান কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ কূপ খনন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে অনুসন্ধান, মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপ। প্রায় তিন মাস আগে ২০টি কূপের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদনের জন্য জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ এবং পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। কিন্তু এতদিন হলেও এসব প্রকল্পের অনুমোদন মেলেনি। এই অবস্থায় পিছিয়ে পড়ছে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিপিপি অনুমোদনের পর দরপত্র করে কাজ শুরু করতে পাঁচ থেকে ছয় মাস সময় লাগে। ডিপিপি অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ার কারণে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ কূপ খননের যে পরিকল্পনা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে এই খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি খাতে ডিপিপি অনুমোদন খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ডিপিপি অনুমোদন প্রক্রিয়া দেরি হওয়ার কারণেই এই খাতে বিশেষ আইন করেছিল। এখন বিশেষ আইন স্থগিত হয়েছে। এ অবস্থায় জ্বালানি খাতের ডিপিপিগুলোর অনুমোদন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। পরিকল্পনা কমিশনকে অন্য প্রকল্প ফেলে রেখে জ্বালানি খাতের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার ৭ দাবি নিয়ে সমাবেশ রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ

ক্ষমতার ভারসাম্য, একজন দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়

আপডেট সময় ০৯:৩১:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

প্রথম আলো:

ক্ষমতার ভারসাম্য, একজন দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়
সংবিধান সংস্কারের ব্যাপারে দলীয় প্রস্তাব শিগগিরই সরকারের এই সম্পর্কিত কমিশনের কাছে দেবে বিএনপি।সংবিধান, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ বিভাগের সংস্কারে দলীয় প্রস্তাব অনেকটা চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, এক ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনা—বিএনপি তাদের প্রস্তাবে এই তিন বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে। সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব তারা শিগগিরই অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশনে দেবে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় দলীয় সংস্কার কমিটিগুলোর কাজের অগ্রগতির বিষয় ছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর কাজ নিয়েও আলোচনা করা হয়।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে বিএনপি তাদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের আলোকেই সংবিধানসহ রাষ্ট্রের
গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রস্তাবগুলো চূড়ান্ত করছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ করা, এক ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনা—এসব প্রতিশ্রুতি রয়েছে বিএনপির ৩১ দফায়। দলটির গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিটি ওই প্রতিশ্রুতিগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তাব তৈরি করেছে। এর সঙ্গে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার—এই তিন বিষয়কে সংবিধানের মূলনীতি ঘোষণা করা, আনুপাতিক নির্বাচনপদ্ধতিতে না যাওয়ার প্রস্তাব থাকছে।

তবে এ বিষয়ে বিএনপির নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দেননি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

দায় নেবে না বিএনপি
রাষ্ট্রপতি অপসারিত হলে সৃষ্টি হতে পারে সাংবিধানিক সংকট, এমন আশঙ্কা বিএনপির শীর্ষমহলে। আওয়ামী লীগ বা যে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে বিএনপি দাবি করলে দায়মুক্ত থাকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। দলটির নেতারা মনে করেন, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে সম্প্রতি যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তাতে সরকার চাইলে যে কোনো সময়ে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে। সেই সঙ্গে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকেও দেশে বিদ্যমান অনেক আইনেই নিষিদ্ধ করা সম্ভব। তাই বিএনপি এ দুই ইস্যুতে নিজেরা কোনো দায়দায়িত্ব নেবে না। তারা চায় না বিএনপির কাঁধে দায় চাপিয়ে সরকার তার ইচ্ছা পূরণ করুক। এ দুটি ইস্যুতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে বিএনপি নেতারা মনে করছেন। এ সরকার ব্যর্থ হোক তা কোনো অবস্থাতেই চায় না বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য অর্জিত হবে না। গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। সে কারণেই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো দায় নেবে না বিএনপি। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। দলের স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, রাষ্ট্রপতির অপসারণ ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দায় নেবে না বিএনপি। দুটি ইস্যুকেই তারা দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন। দেশবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান দলটির। সংবিধানের শূন্যতা চায় না বিএনপি। রাষ্ট্রপতির অপসারণের মাধ্যমে দেশে কোনো সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হোক, আর এটা নিয়ে কোনো পক্ষ ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করুক, বিএনপি এটা কিছুতেই চায় না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগসহ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হোক, এটাও চায় না দেশের এই বৃহত্তম রাজনৈতিক দল।

কালের কন্ঠ:

ওষুধের ‘অন্যায্য’ দামে পিষ্ট রোগী
দেশে গত তিন মাসে ৫০টির বেশি ওষুধের দাম গড়ে ২৯ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ বেড়েছে অ্যানাফ্লেক্স ম্যাক্স ট্যাবলেটের দাম। আটটি ওষুধের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী ব্যথানাশক ওষুধ, ভিটামিন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, চর্ম ও প্রদাহজনিত ওষুধ রয়েছে।

৩০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে ১১টির ওষুধের দাম। ১০ থেকে ৩০ শতাংশ দাম বেড়েছে ২২টির। ৯টি ওষুধের দাম বেড়েছে ৬ থেকে ১০ শতাংশ।
গত কয়েক দিনে রাজধানীর বিভিন্ন ওষুধের দোকান থেকে মূল্যবৃদ্ধির এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে ২১টি ওষুধ তৈরি করছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। এ ছাড়া এসিআই, অ্যারিস্টো ফার্মা, সার্ভিয়ার ফার্মা, ইউনিমেড ইউনিহেলথ, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল, বিকন ফার্মা ও নভিসতা ফার্মার বিভিন্ন ওষুধের দাম বেড়েছে।
ওষুধের দোকান মালিকরা বলছেন, ওষুধের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের সঙ্গে প্রায়ই বাগবিতণ্ডা হচ্ছে। ওষুধশিল্প সমিতির ভাষ্য, গত তিন মাসে ওষুধের দাম বাড়েনি, দাম সমন্বয় করা হয়েছে।

নয়াদিগন্ত:

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪৪ হাজার ছাড়াল
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে গত ১৩ মাসে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এ উপত্যকার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহত ব্যক্তিদের নিয়ে প্রকাশ করা এ পরিসংখ্যানে বেসামরিক লোকজন ও হামাস যোদ্ধাদের আলাদা করেনি। তবে মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। ইসরাইল অবশ্য কোনো প্রমাণ না দিয়ে দাবি করেছে, তাদের হাতে গাজায় ১৭ হাজারের বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের সাথে ইসরাইলি বাহিনীর যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত উপত্যকাটিতে নিহত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৬ জন। আর আহত ব্যক্তিদের সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮। তবে নিহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে জানায় মন্ত্রণালয়। কেননা বহু মৃতদেহ বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে এবং এমন অনেক এলাকা রয়েছে, যেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা যেতে পারেননি। ইসরাইলি বাহিনীর হামলার মাঝে মধ্য ও উত্তর গাজার আংশিকভাবে কার্যকরী হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ শেষ হয়ে গিয়েছে। এ দিকে ইসরাইলি গানবোটের হামলায় গাজা শহরের উপকূলে একজন জেলে নিহত এবং অন্যজন আহত হয়েছে।

উত্তর গাজায় ১৫ ইসরাইলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের
এ দিকে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় বেইত লাহিয়া শহরের খুব কাছাকাছি এলাকায় ১৫ জন ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে হামাস। বৃহস্পতিবার হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড এ কথা জানায়। এক বিবৃতিতে আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা ১৫ সেনার একটি ইসরাইলি পদাতিক ইউনিটকে খুব কাছ থেকে হত্যা করেছে। পৃথক এক বিবৃতিতে আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, ‘তারা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া ক্যাম্পের পশ্চিমে সাফাতাউই এলাকার কাছে ইসরাইলি মারকাভা ট্যাংক লক্ষ্য করে ট্যান্ডেম শেল হামলা চালিয়েছে।’ অন্য দিকে, ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্টের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেড জানায়, তারা জাবালিয়া ক্যাম্পের কেন্দ্রস্থলে জাবালিয়া সার্ভিসেস ক্লাবের কাছে ৬০ মিলিমিটার মর্টার শেল ব্যবহার করে ইসরাইলি সেনা ও যানবাহন লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইসরাইলি সেনাবাহিনী এসব হামলার বিষয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি

যুগান্তর:

বিদ্যুৎ গতিতে বাড়ছে খেলাপি ঋণ

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাতে ব্যাপক লুটপাটে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে। লুটপাটের টাকার বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ওইসব টাকা এতদিন খেলাপি করা হয়নি। এখন সেগুলো খেলাপি হচ্ছে। আগে খেলাপি ঋণের প্রকৃত তথ্য আড়াল করে কমিয়ে দেখানো হতো। এখন সব তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ গতিতে বেড়ে যাচ্ছে খেলাপি ঋণ।

এদিকে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী মার্চের মধ্যে খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা আন্তর্জাতিকমানের করতে হবে। তখন থেকে কোনো ঋণের কিস্তি পরিশোধের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ৩ মাস পর থেকে খেলাপি হবে। এখন খেলাপি হচ্ছে ৬ মাস পর। ঋণখেলাপি হওয়ার সময় ৩ মাস এগিয়ে আনা হলে এর অঙ্ক আরও বেড়ে যাবে। এসব কারণে আগামীতে ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ব্যাংক খাতে প্রভিশন ও মূলধন ঘাটতি বেড়ে যাবে। এতে ব্যাংকগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্যে বাড়তি ফি বা কমিশন দিতে হবে। ফলে ব্যবসা খরচ বাড়বে। এর প্রভাবে বাড়বে পণ্যের দাম। যা সরাসরি ভোক্তাকে আক্রান্ত করবে।

কালবেলা:

পিছিয়ে পড়ছে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম
অন্তর্বর্তী সরকার দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিলেও কার্যত অনুসন্ধান কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ কূপ খনন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে অনুসন্ধান, মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপ। প্রায় তিন মাস আগে ২০টি কূপের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদনের জন্য জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ এবং পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। কিন্তু এতদিন হলেও এসব প্রকল্পের অনুমোদন মেলেনি। এই অবস্থায় পিছিয়ে পড়ছে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিপিপি অনুমোদনের পর দরপত্র করে কাজ শুরু করতে পাঁচ থেকে ছয় মাস সময় লাগে। ডিপিপি অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ার কারণে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০ কূপ খননের যে পরিকল্পনা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে এই খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি খাতে ডিপিপি অনুমোদন খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ডিপিপি অনুমোদন প্রক্রিয়া দেরি হওয়ার কারণেই এই খাতে বিশেষ আইন করেছিল। এখন বিশেষ আইন স্থগিত হয়েছে। এ অবস্থায় জ্বালানি খাতের ডিপিপিগুলোর অনুমোদন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। পরিকল্পনা কমিশনকে অন্য প্রকল্প ফেলে রেখে জ্বালানি খাতের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।