পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ার (কেপি) কুররাম জেলায় যাত্রীবাহী গাড়ি লক্ষ্য করে চালানো বন্দুক হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। প্রদেশটির প্রধান সচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আহমদ শামা পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা কালিম শাহ সংবাদমাধ্যম ডনকে জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী দুটি গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। একটি পেশোয়ার থেকে পারাচিনার এবং অন্যটি পারাচিনার থেকে পেশোয়ারে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। ওই দুটিতে গাড়িতে গুলি চালায় বন্দুকধারীরা।
হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গুরুতর কয়েকজনকে পেশোয়ারে স্থানান্তর করা হয়েছে। কেপির প্রধান সচিব নদিম আসলাম চৌধুরী রয়টার্সকে জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জেলাটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী উপজাতি অধ্যুষিত ওই এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে শিয়া ও সুন্নি মুসলমানদের মধ্যে কয়েক দশক ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “নিরীহ যাত্রীদের উপর হামলা কাপুরুষোচিত ও অমানবিক কাজ।”
দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান ও আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন জারদারি। এদিকে, কেপি মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।