ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ Logo তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী Logo ভোটকেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করছে ছাত্রদল : নুরুল ইসলাম সাদ্দাম Logo ডাকসু নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতির লাইভ শেষে সাংবাদিকের মৃত্যু Logo দুপুরের মধ্যেই অধিকাংশ ভোট কাস্ট, চাপ নেই ভোটারের Logo আপনি পদত্যাগ করলে আমার কী, নারী সহকারী প্রক্টরকে তানভির বারী হামিম Logo আপনি পদত্যাগ করলে আমার কী, নারী সহকারী প্রক্টরকে হামিম Logo সাদিক-ফরহাদের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ আবিদুলের Logo ছাত্রদলের ব্যালট নম্বরে স্টাফ ক্রস দিয়েছেন, অভিযোগ সাদিক কায়েমের Logo আবিদকে জড়িয়ে ধরে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন: ‘সব খবর ভালো’

ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক হলেন টবি ক্যাডম্যান

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ১০:০৬:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • 178

মানবাধিকার কর্মী ও লন্ডনভিত্তিক দ্য জেনোসাইড ৩৭ ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যানকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গত কাল বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে টবি ক্যাডম্যান নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।

পোস্টে ক্যাডম্যান বলেছেন, আমি আনন্দিত ও খুবই সম্মানিত বোধ করছি যে, আমাকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এর পরেই টবি ক্যাডম্যানের ল’ ফার্ম গার্নিকা ৩৭-এর এক্স হ্যান্ডল থেকে বিষয়টি নিয়ে তিনটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই চেম্বারের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যানকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের স্পেশাল প্রসিকিউটোরিয়াল অ্যাডভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার ভূমিকা হবে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত সব বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরকে পরামর্শ দেওয়া।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে এসেছিলেন টবি ক্যাডম্যান। গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। এখন তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার কথা জানালেন। যদিও এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। ওই বছরের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি ট্রাইব্যুনালকে একীভূত করা হয়। ফলে একটি ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকাজ চলমান ছিল। এই ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এবং এটা আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ এর আলোকে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যখন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছিল, সে সময় অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান। তবে সে সময় তাকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। এখন এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে যেসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার বিচারপ্রক্রিয়া চলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক হলেন টবি ক্যাডম্যান

আপডেট সময় ১০:০৬:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

মানবাধিকার কর্মী ও লন্ডনভিত্তিক দ্য জেনোসাইড ৩৭ ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যানকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

গত কাল বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে টবি ক্যাডম্যান নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।

পোস্টে ক্যাডম্যান বলেছেন, আমি আনন্দিত ও খুবই সম্মানিত বোধ করছি যে, আমাকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এর পরেই টবি ক্যাডম্যানের ল’ ফার্ম গার্নিকা ৩৭-এর এক্স হ্যান্ডল থেকে বিষয়টি নিয়ে তিনটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই চেম্বারের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যানকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের স্পেশাল প্রসিকিউটোরিয়াল অ্যাডভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার ভূমিকা হবে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত সব বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরকে পরামর্শ দেওয়া।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে এসেছিলেন টবি ক্যাডম্যান। গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। এখন তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার কথা জানালেন। যদিও এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। ওই বছরের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি ট্রাইব্যুনালকে একীভূত করা হয়। ফলে একটি ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকাজ চলমান ছিল। এই ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এবং এটা আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩ এর আলোকে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যখন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছিল, সে সময় অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান। তবে সে সময় তাকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। এখন এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে যেসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার বিচারপ্রক্রিয়া চলছে।