ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন Logo এ মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের: সালাহউদ্দিন Logo মুন্সীগঞ্জে এনসিপির পথসভা: “নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত থাকবে” Logo সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সেক্রেটারি শোয়াইব Logo পাবনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে  জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন Logo ‘যতদিন বাংলাদেশের নাম থাকবে, ততদিন উচ্চারিত হবে জুলাই যোদ্ধাদের নাম’ Logo গোপালগঞ্জকে ৪ জেলায় ভাগ করে দিয়ে ৬৩ জেলার বাংলাদেশ করা হোক- আমির হামজা Logo ‘সামনের জুলাই তুই কনে থাকবি’ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার হুমকি Logo যেসব অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টি ও ভারি বর্ষণ হতে শঙ্কা Logo গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু

‘প্রেম-ভালোবাসা হীন জাপানিরা আজ জনসংখ্যা সংকটের মুখোমুখি’

‘প্রেম-ভালোবাসা হীন জাপানিরা আজ জনসংখ্যা সংকটের মুখোমুখি’

যৌনতা এবং রোমান্টিক জীবন নিয়ে পৃথিবীতে এখন সবচেয়ে কম সন্তুষ্ট জাতি জাপানিরা। ফরাসি গবেষণা সংস্থা ইপসোসর একটি বৈশ্বিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রেম ও যৌনতাহীন এমন জীবনে জাপানিদের পরই অবস্থান করছে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ।

এ বিষয়ে এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানি ও কোরীয়দের আবেগহীন জীবন ক্রমাগতভাবে দেশ দুটিকে জনসংখ্যাগত সংকটের মুখোমুখি করেছে। দেশ দুটির জনসংখ্যা খুব দ্রুত হারে কমতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিকে বিপজ্জনক মনে করছে দুটি দেশই।

ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইপসোস (IPSOS) সম্প্রতি ৩১টি দেশের মানুষের যৌনজীবন এবং রোমান্টিক সম্পর্ক নিয়ে সমীক্ষাটি পরিচালনা করেছিল। চলতি সপ্তাহেই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এতে দেখা গেছে, জাপানি উত্তরদাতাদের মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা যৌনতা থেকে সন্তুষ্টি অর্জন করেন।

একইভাবে জাপানের চেয়ে কিছুটা ভালো অবস্থানে থাকলেও যৌনতা ও প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে দেশের বেশির ভাগ মানুষের অসন্তুষ্টি দেখা গেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটির মাত্র ৪৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা যৌনতায় তৃপ্ত হন।

সমীক্ষাটিতে যৌনতা থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন ভারত ও মেক্সিকোর মানুষ। দুটি দেশেরই যৌনতা ও প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সন্তুষ্টি দেখানো মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭৬ শতাংশ।

গত জুনে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশটির জন্মহারকে ‘সংকটজনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ, গত বছরের হিসেবে দেশটিতে জন্মহার ছিল মাত্র ১.২ শতাংশ। টানা আট বছর ধরে জন্মহার কমতে কমতে এটি রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে ছিল।

তবে প্রেমবিমুখ মানুষের সংখ্যা বেশি হলেও জন্মহারে দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে এখনো এগিয়ে আছে জাপান। জন্মহারের দিক দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমানে সারা বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন মাত্র ০.৭২ শতাংশ।

ইপসোস সমীক্ষায় এটাও দেখা গেছে, সঙ্গী কিংবা স্ত্রীর সঙ্গে যৌনতায় সবচেয়ে কম তৃপ্তি অনুভব করেন কোরীয়রা। এই ক্ষেত্রে জাপানিরা ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে।

জীবনে কতটা প্রেম-ভালোবাসা অনুভব করেন এমন প্রশ্নেও জাপানিরাই ছিল সবার নিচে। দেশটির মাত্র ৫১ শতাংশ মানুষ এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক অর্থাৎ জীবনে প্রেম অনুভব করেন বলে জানিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন

‘প্রেম-ভালোবাসা হীন জাপানিরা আজ জনসংখ্যা সংকটের মুখোমুখি’

আপডেট সময় ১০:১১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

যৌনতা এবং রোমান্টিক জীবন নিয়ে পৃথিবীতে এখন সবচেয়ে কম সন্তুষ্ট জাতি জাপানিরা। ফরাসি গবেষণা সংস্থা ইপসোসর একটি বৈশ্বিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রেম ও যৌনতাহীন এমন জীবনে জাপানিদের পরই অবস্থান করছে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ।

এ বিষয়ে এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানি ও কোরীয়দের আবেগহীন জীবন ক্রমাগতভাবে দেশ দুটিকে জনসংখ্যাগত সংকটের মুখোমুখি করেছে। দেশ দুটির জনসংখ্যা খুব দ্রুত হারে কমতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিকে বিপজ্জনক মনে করছে দুটি দেশই।

ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইপসোস (IPSOS) সম্প্রতি ৩১টি দেশের মানুষের যৌনজীবন এবং রোমান্টিক সম্পর্ক নিয়ে সমীক্ষাটি পরিচালনা করেছিল। চলতি সপ্তাহেই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এতে দেখা গেছে, জাপানি উত্তরদাতাদের মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা যৌনতা থেকে সন্তুষ্টি অর্জন করেন।

একইভাবে জাপানের চেয়ে কিছুটা ভালো অবস্থানে থাকলেও যৌনতা ও প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে দেশের বেশির ভাগ মানুষের অসন্তুষ্টি দেখা গেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটির মাত্র ৪৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা যৌনতায় তৃপ্ত হন।

সমীক্ষাটিতে যৌনতা থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন ভারত ও মেক্সিকোর মানুষ। দুটি দেশেরই যৌনতা ও প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সন্তুষ্টি দেখানো মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭৬ শতাংশ।

গত জুনে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশটির জন্মহারকে ‘সংকটজনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ, গত বছরের হিসেবে দেশটিতে জন্মহার ছিল মাত্র ১.২ শতাংশ। টানা আট বছর ধরে জন্মহার কমতে কমতে এটি রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে ছিল।

তবে প্রেমবিমুখ মানুষের সংখ্যা বেশি হলেও জন্মহারে দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে এখনো এগিয়ে আছে জাপান। জন্মহারের দিক দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমানে সারা বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন মাত্র ০.৭২ শতাংশ।

ইপসোস সমীক্ষায় এটাও দেখা গেছে, সঙ্গী কিংবা স্ত্রীর সঙ্গে যৌনতায় সবচেয়ে কম তৃপ্তি অনুভব করেন কোরীয়রা। এই ক্ষেত্রে জাপানিরা ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে।

জীবনে কতটা প্রেম-ভালোবাসা অনুভব করেন এমন প্রশ্নেও জাপানিরাই ছিল সবার নিচে। দেশটির মাত্র ৫১ শতাংশ মানুষ এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক অর্থাৎ জীবনে প্রেম অনুভব করেন বলে জানিয়েছেন।