ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সায়েদাবাদ থেকে ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে সায়েদাবাদ থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (১ নভেম্বর) সায়দাবাদ আন্তজেলা বাসটার্মিনালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব থাকা কর্মীরা জানান, যাত্রী নেই বললেই চলে। এছাড়া বাস মালিকরাও ভয়ে বাস বের করছেন না। অবরোধের প্রথম দিনে ৫-৭টির মতো বাস বিভিন্ন গন্তব্যে উদ্দেশ্যে সায়েদাবাদ ছেড়েছিল বলে জানান তারা। তবে বাস থাকলেও যাত্রী যেমন নেই, একইসঙ্গে কয়েকটি গন্তব্যে যেতে কিছু যাত্রী থাকলেও তারা আবার বাস পাচ্ছেন না সায়েদাবাদে।

ঢাকা-যশোর রুটে চলাচল করে চৌধুরী সুপার সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড। সকাল ৯টার দিকে চৌধুরী সুপার সার্ভিসের একটি বাস সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ে যশোর যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রীর অপেক্ষা করছিল। ঈগল পরিবহনের কাউন্টারের কর্মী জাহিদ হোসেন বলেন, যাত্রী একেবারেই নেই। তাই গাড়িও চলছে না। যাত্রীদের মধ্যে ভয় আছে। কাউন্টার খোলা রাখতে হবে বলে খুলে রেখেছি।

টাঙ্গাইলে ইটভাটায় কাজ করেন মিজানুর রহমান। ইট ভাটার কাজ শুরু হবে তাই তিনি সিলেটের শাহবাজপুর থেকে ১২ জন শ্রমিক নিয়ে আসার জন্য সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে অপেক্ষা করছেন। তিনি আরও বলেন, শ্রমিক না হলে ইটভাটার কাজ শুরু করতে পারবো না। জরুরি ভিত্তিতে শ্রমিক আনতে হবে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু সিলেট যাওয়ার কোনো বাস পাচ্ছি না। যেতে পারবো কি না তাও জানি না।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের রেলগেটের দিকে তিশা পরিবহন বাসের কর্মী নজরুল ইসলাম কুমিল্লার যাত্রীর জন্য হাক-ডাক দিচ্ছিলেন। নজরুল বলেন, আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা লাগবে আসন পূরণ হতে। যাত্রী নেই, আমরা ঝুঁকি নিয়ে বাস চালাচ্ছি। সবারই ভয় আছে কি করব, পেট তো আর অবরোধ মানে না।

সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা বাস চালাচ্ছি। তবে যাত্রী কম।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সায়েদাবাদ থেকে ছাড়েনি দূরপাল্লার বাস

আপডেট সময় ১২:৪৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে সায়েদাবাদ থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (১ নভেম্বর) সায়দাবাদ আন্তজেলা বাসটার্মিনালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব থাকা কর্মীরা জানান, যাত্রী নেই বললেই চলে। এছাড়া বাস মালিকরাও ভয়ে বাস বের করছেন না। অবরোধের প্রথম দিনে ৫-৭টির মতো বাস বিভিন্ন গন্তব্যে উদ্দেশ্যে সায়েদাবাদ ছেড়েছিল বলে জানান তারা। তবে বাস থাকলেও যাত্রী যেমন নেই, একইসঙ্গে কয়েকটি গন্তব্যে যেতে কিছু যাত্রী থাকলেও তারা আবার বাস পাচ্ছেন না সায়েদাবাদে।

ঢাকা-যশোর রুটে চলাচল করে চৌধুরী সুপার সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড। সকাল ৯টার দিকে চৌধুরী সুপার সার্ভিসের একটি বাস সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ে যশোর যাওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রীর অপেক্ষা করছিল। ঈগল পরিবহনের কাউন্টারের কর্মী জাহিদ হোসেন বলেন, যাত্রী একেবারেই নেই। তাই গাড়িও চলছে না। যাত্রীদের মধ্যে ভয় আছে। কাউন্টার খোলা রাখতে হবে বলে খুলে রেখেছি।

টাঙ্গাইলে ইটভাটায় কাজ করেন মিজানুর রহমান। ইট ভাটার কাজ শুরু হবে তাই তিনি সিলেটের শাহবাজপুর থেকে ১২ জন শ্রমিক নিয়ে আসার জন্য সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে অপেক্ষা করছেন। তিনি আরও বলেন, শ্রমিক না হলে ইটভাটার কাজ শুরু করতে পারবো না। জরুরি ভিত্তিতে শ্রমিক আনতে হবে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু সিলেট যাওয়ার কোনো বাস পাচ্ছি না। যেতে পারবো কি না তাও জানি না।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের রেলগেটের দিকে তিশা পরিবহন বাসের কর্মী নজরুল ইসলাম কুমিল্লার যাত্রীর জন্য হাক-ডাক দিচ্ছিলেন। নজরুল বলেন, আধাঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা লাগবে আসন পূরণ হতে। যাত্রী নেই, আমরা ঝুঁকি নিয়ে বাস চালাচ্ছি। সবারই ভয় আছে কি করব, পেট তো আর অবরোধ মানে না।

সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা বাস চালাচ্ছি। তবে যাত্রী কম।