ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দলগুলো সংস্কার বাদ দিয়ে নির্বাচন চাইলে তাই করব

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৪২:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • 24

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

যুগান্তর:

দলগুলো সংস্কার বাদ দিয়ে নির্বাচন চাইলে তাই করব

নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ চার বছর হতে পারে * শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেও বাস্তবতা ভিন্ন * শেখ হাসিনা দোষী সাব্যস্ত হলে প্রত্যাবর্তন চাওয়া হবে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ সর্বোচ্চ চার বছর বা এরও কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ২৯) ফাঁকে আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। রোববার সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করা হয়।

সরকারের সময়সীমা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা স্থায়ী সরকার নই। নিয়মিত সরকার পাঁচ বছরের হয়। নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ সম্ভবত চার বছর হতে পারে। কারণ, মানুষ আরও দ্রুত সময়ে সরকারের পরিবর্তন চায়। কাজেই এটা (অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ) নিশ্চিতভাবেই চার বছরের কম হবে। আরও কম হতে পারে। এটা পুরোপুরি নির্ভর করছে মানুষের এবং রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়ার ওপর।’

প্রথম আলো:

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে এক মাসে
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিগত আ.লীগ সরকারের ৯ মন্ত্রী, ২ উপদেষ্টাসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই ধরনের অভিযোগে ওবায়দুল কাদেরসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যসহ প্রভাবশালী ৪৫ জনের ক্ষেত্রে পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গতকাল সোমবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গত জুলাই-আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানের সময় দেশে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালে উল্লেখ করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এরপর তিনি ট্রাইব্যুনালের কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তের জন্য দুই মাস সময় চান। তবে ট্রাইব্যুনাল এক মাস সময় মঞ্জুর করে আগামী ১৭ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার–সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদনও সেদিন জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সারা দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অসংখ্য অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় ও তদন্ত সংস্থার কাছে জমা হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের মধ্যে ৯ জন সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার উদ্যোগ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৭ অক্টোবর থেকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। আর গতকাল প্রথমবারের মতো শুনানি হলো ট্রাইব্যুনালে।

শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে করা পৃথক মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। শেখ হাসিনা এখন ভারতে আছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতিবেদন দিয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোলের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ভারতের সঙ্গে থাকা চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার চেষ্টা করছে সরকার।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

অবিলম্বে রোডম্যাপ চায় বিএনপি
অবিলম্বে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি। বর্তমান সরকার ১০০ দিনেও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করায় দলের শীর্ষনেতারা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কথা ভাবছেন। দলটির সব তৎপরতাই এখন নির্বাচন ঘিরে। আগামী বছরের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন ও নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর চায় তারা। তবে গত রবিবার সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনি ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। দ্রুতই রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। এই ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না দেওয়ায় আশাহত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গতকাল মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় এই আশাহত হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সব প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাটা চিহ্নিত করে নির্বাচনের জন্য একটা রূপরেখা দেবেন।’

কালের কন্ঠ:

দলের প্রার্থী হতে তৃণমূলের ভোটে জিতে আসতে হবে
জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী মনোনয়নে তৃণমূল পর্যায়ে ভোটের ব্যবস্থা চালু হতে পারে। এ ছাড়া দলে কমপক্ষে তিন বছর সদস্য না থাকলে প্রার্থী হওয়া যাবে না—এই বিধানটি আবার ফিরে আসতে পারে। জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে জোটভুক্ত দলগুলোর প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে সশস্ত্র বাহিনী।

সংরক্ষিত আসনে নারীদের জিতে আসতে হতে পারে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনের কাছে এই প্রস্তাবগুলো গুরুত্ব পাচ্ছে এবং কমিশনের সদস্যরা এসব প্রস্তাব যৌক্তিক মনে করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে এ টি এম শামসুল হুদার নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন ‘দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার’ (আরপিও) বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বেশ কিছু বিধান যুক্ত করেছিল। কিন্তু নবম জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ সেগুলো বাতিল করে।

সংস্কার কমিশন সেই বাতিল বিধানগুলো আবার ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেবে বলে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া সংস্কার কমিশন মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধে আরো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না তা ভেবে দেখছে।
আওয়ামী লীগ সরকার আমলের নির্বাচন কমিশন ঋণ ও বিল খেলাপিদের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ কিছুটা সহজ করেছিল। সাত দিন আগের পরিবর্তে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিল ও বিল পরিশোধের বিধান করেছিল।

নয়াদিগন্ত:

আ’লীগ আত্মস্বীকৃত ফ্যাসিস্ট এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য : ডা: শফিক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, সত্য একবার বললেই প্রতিষ্ঠিত হয় কারণ সেটা সত্য। আর মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত করতে বারবার বলতে হয়। আওয়ামী লীগ আত্মস্বীকৃত ফ্যাসিস্ট। এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য।
জামায়াত আমিরের সম্মানে গত রোববার লন্ডনের রয়েল রিজেন্সিতে কলিশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস ইন বাংলাদেশ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ডা: শফিকুর রহমান বলেন, ১৬ বছর দেশের মানুষের সাথে আওয়ামী লীগ যে আচরণ করেছে তার জন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। তারা মানুষের অধিকারই শুধু হরণ করেনি, তারা দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছিল। তারা চোখের সামনে মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা চাই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের বিচার হোক। জামায়াত আমির বলেন, অন্যায় বিচার কি সেটার আমি নিজেও একজন ভিকটিম। আমাকে গ্রেফতার করে বলা হয়েছে, আমি নাকি বিছানার নিচে ককটেল নিয়ে ঘুমিয়েছি!

দৈনিক সংগ্রাম:

গণহত্যায় উসকানির দায়ে ৩৭ সাংবাদিকের সদস্য পদ স্থগিত
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ সাংবাদিকের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যায় উসকানি প্রদান এবং পতিত সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার দায়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ জন সদস্যের সদস্য পদ স্থগিত করা হলো।

যাদের সদস্যপদ স্থগিত

জাতীয় প্রেস ক্লাবের যাদের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে এই তালিকায় সিনিয়র অনেক সাংবাদিকের নাম রয়েছে। তারা হলেন- নূরুল আমিন প্রভাষ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফারজানা রুপা, অশোক চৌধুরী, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রণব সাহা, নঈম নিজাম, খায়রুল আলম, আবেদ খান, সুভাষ চন্দ বাদল।

এই তালিকায় আরও আছেন– জহিরুল ইসলাম মামুন (জ.ই মামুন), জাফর ওয়াজেদ, সাইফুল ইসলাম কল্লোল, পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাবান মাহমুদ, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শ্যামল সরকার, অজয় দাশগুপ্ত, আলমগীর হোসেন, রমাপ্রসাদ সরকার বাবু, সঞ্জয় সাহা পিয়াল, ফারাজি আজমল হোসেন, আনিসুল রহমান, এনামুল হক চৌধুরী, নাঈমুল ইসলাম খান, মো. আশরাফ আলী, মোল্লা জালাল, ইখতিয়ার উদ্দিন ও আবু জাফর সূর্য।

মানবজমিন:

দল গঠনের প্রক্রিয়ায় ছাত্র আন্দোলনের নেতারা
ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের পর দেশের চলমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি উঠেছে নানাদিক থেকে। বিপ্লব-পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোও কাঠামো ও নীতিগত পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। বিদ্যমান বাস্তবতায় আসছে জাতীয় নির্বাচনে লড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া নেতারা। ইতিমধ্যে তাদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল বা প্ল্যাটফরম তৈরির লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকা নেতৃবৃন্দ এবং বাইরের বিভিন্ন দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন হতে পারে নতুন দল বা প্ল্যাটফরম। এতে সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্পৃক্ততা থাকবে না। তবে নেতারা কেউ কেউ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবেন।

ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ইতিমধ্যে কয়েকটি দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শনিবার বিএনপি’র একজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে তারা আলোচনা করেন। ওই আলোচনায় সরকারের তিন জন উপদেষ্টা ছিলেন বলে জানা গেছে। তিন উপদেষ্টার মধ্যে দু’জন ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়াকে কেউ কেউ আবার ভিন্নভাবেও দেখছেন।

কালবেলা:

বিএনপিতে কোন্দল মাথাচাড়া
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের বারবার তাগিদ দিচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড। ভালো কাজের দ্বারা জনপ্রিয়তা অর্জন করে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায় বিএনপি। দলের নীতিনির্ধারকদের এই প্রত্যাশা পূরণে ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন মাঠপর্যায়ের কিছু নেতাকর্মী। তাদের দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজি এবং নানা অপকর্মসহ বিভিন্ন কারণে বিএনপিতে মাথাচাড়া দিচ্ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর গ্রুপিং। কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন হচ্ছে দলের ভাবমূর্তি। দখল-চাঁদাবাজি ও প্রভাব বিস্তার কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে আসছে। দিনকে দিন দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রুপিং, অন্তঃকোন্দল রূপ নিচ্ছে মারামারি এবং সংঘর্ষে। উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে কাজে আসছে না বিএনপির ‘জিরো টলারেন্স নীতি’। চূড়ান্ত শাস্তি হিসেবে বহিষ্কারের মতো পদক্ষেপ নিলেও নেতাকর্মীদের বাগে আনতে হিমশিম অবস্থা বিএনপির নীতিনির্ধারকদের। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর সারা দেশে অন্তত ১১টি বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অন্ততপক্ষে পাঁচজন খুন এবং প্রায় অর্ধশত গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদরের প্রতাপগঞ্জ বাজারের মুসা মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার গাজীপুরের টঙ্গীর সাতাই এলাকায় মাসকো টেক্স লিমিটেড কারখানার ঝুট পণ্য নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অবশ্য বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, সারা দেশে মুষ্টিমেয় নেতাকর্মীর নেতিবাচক কাজের দায় দলের সবাইকে নিতে হচ্ছে। আবার বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ‘তৃতীয় পক্ষ’ অবৈধ সুযোগ নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। নানা কায়দায় যারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সুবিধা নিয়েছেন এখনো তারাই চাঁদাবাজি ও দখলদারিতে জড়াচ্ছেন। বিএনপির যারা প্রকৃত নেতাকর্মী, তারা কোনো দখল-চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। বরং কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে আড়াই মাসে কমিটি বিলুপ্ত, সাংগঠনিক মামলা, এবং সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কারসহ নানা সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েও লাগাম টানতে পারছে না দলটি। দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু নেতাকর্মী দলের কঠোর অবস্থানকে তোয়াক্কা না করে অপকর্মে জড়াচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে কিছুটা বিব্রত দলটির হাইকমান্ড। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বহুমুখী পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।

দেশরুপান্তর:

সেদিনের রাজাধিরাজ আজ…
প্রিজন ভ্যান থেকে একে একে নেমে আসা এককালের প্রভাবশালীদের চোখেমুখে তখন ভর করেছে বিষণœতা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা ছিলেন দুর্দান্ত প্রতাপশালী। সর্বক্ষণ নেতাকর্মী, তদবিরকারী আর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকতেন। তবে, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন তারাই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি হয়ে বিচারের মুখোমুখি। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঠেকাতে নির্বিচার গুলিতে হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে। আসামি করা হয়েছে সেই সরকারের উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও তখনকার ক্ষমতাসীন দলটির শীর্ষ নেতাসহ ১৪-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ১১ জনকে। একই সঙ্গে এজলাসের কাঠগড়ায় তোলা হয় অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি ও সাবেক এক আমলাকেও।তারা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ¦ালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইন ও বিচারমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, একই দলের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান,

জনপ্রিয় সংবাদ

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ করছে জনগণ: মির্জা ফখরুল

দলগুলো সংস্কার বাদ দিয়ে নির্বাচন চাইলে তাই করব

আপডেট সময় ০৭:৪২:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

যুগান্তর:

দলগুলো সংস্কার বাদ দিয়ে নির্বাচন চাইলে তাই করব

নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ চার বছর হতে পারে * শেখ হাসিনা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেও বাস্তবতা ভিন্ন * শেখ হাসিনা দোষী সাব্যস্ত হলে প্রত্যাবর্তন চাওয়া হবে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ সর্বোচ্চ চার বছর বা এরও কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ২৯) ফাঁকে আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। রোববার সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচার করা হয়।

সরকারের সময়সীমা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা স্থায়ী সরকার নই। নিয়মিত সরকার পাঁচ বছরের হয়। নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ সম্ভবত চার বছর হতে পারে। কারণ, মানুষ আরও দ্রুত সময়ে সরকারের পরিবর্তন চায়। কাজেই এটা (অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ) নিশ্চিতভাবেই চার বছরের কম হবে। আরও কম হতে পারে। এটা পুরোপুরি নির্ভর করছে মানুষের এবং রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়ার ওপর।’

প্রথম আলো:

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে এক মাসে
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিগত আ.লীগ সরকারের ৯ মন্ত্রী, ২ উপদেষ্টাসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই ধরনের অভিযোগে ওবায়দুল কাদেরসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যসহ প্রভাবশালী ৪৫ জনের ক্ষেত্রে পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গতকাল সোমবার এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গত জুলাই-আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানের সময় দেশে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালে উল্লেখ করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এরপর তিনি ট্রাইব্যুনালের কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্তের জন্য দুই মাস সময় চান। তবে ট্রাইব্যুনাল এক মাস সময় মঞ্জুর করে আগামী ১৭ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার–সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদনও সেদিন জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সারা দেশে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অসংখ্য অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় ও তদন্ত সংস্থার কাছে জমা হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের মধ্যে ৯ জন সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার উদ্যোগ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৭ অক্টোবর থেকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়। আর গতকাল প্রথমবারের মতো শুনানি হলো ট্রাইব্যুনালে।

শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে করা পৃথক মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। শেখ হাসিনা এখন ভারতে আছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতিবেদন দিয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোলের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ভারতের সঙ্গে থাকা চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার চেষ্টা করছে সরকার।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

অবিলম্বে রোডম্যাপ চায় বিএনপি
অবিলম্বে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি। বর্তমান সরকার ১০০ দিনেও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করায় দলের শীর্ষনেতারা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কথা ভাবছেন। দলটির সব তৎপরতাই এখন নির্বাচন ঘিরে। আগামী বছরের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন ও নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর চায় তারা। তবে গত রবিবার সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনি ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। দ্রুতই রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। এই ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না দেওয়ায় আশাহত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গতকাল মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনায় এই আশাহত হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সব প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাটা চিহ্নিত করে নির্বাচনের জন্য একটা রূপরেখা দেবেন।’

কালের কন্ঠ:

দলের প্রার্থী হতে তৃণমূলের ভোটে জিতে আসতে হবে
জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী মনোনয়নে তৃণমূল পর্যায়ে ভোটের ব্যবস্থা চালু হতে পারে। এ ছাড়া দলে কমপক্ষে তিন বছর সদস্য না থাকলে প্রার্থী হওয়া যাবে না—এই বিধানটি আবার ফিরে আসতে পারে। জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে জোটভুক্ত দলগুলোর প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাবে সশস্ত্র বাহিনী।

সংরক্ষিত আসনে নারীদের জিতে আসতে হতে পারে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনের কাছে এই প্রস্তাবগুলো গুরুত্ব পাচ্ছে এবং কমিশনের সদস্যরা এসব প্রস্তাব যৌক্তিক মনে করছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে এ টি এম শামসুল হুদার নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন ‘দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার’ (আরপিও) বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বেশ কিছু বিধান যুক্ত করেছিল। কিন্তু নবম জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ সেগুলো বাতিল করে।

সংস্কার কমিশন সেই বাতিল বিধানগুলো আবার ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেবে বলে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া সংস্কার কমিশন মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধে আরো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না তা ভেবে দেখছে।
আওয়ামী লীগ সরকার আমলের নির্বাচন কমিশন ঋণ ও বিল খেলাপিদের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ কিছুটা সহজ করেছিল। সাত দিন আগের পরিবর্তে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিল ও বিল পরিশোধের বিধান করেছিল।

নয়াদিগন্ত:

আ’লীগ আত্মস্বীকৃত ফ্যাসিস্ট এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য : ডা: শফিক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, সত্য একবার বললেই প্রতিষ্ঠিত হয় কারণ সেটা সত্য। আর মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত করতে বারবার বলতে হয়। আওয়ামী লীগ আত্মস্বীকৃত ফ্যাসিস্ট। এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য।
জামায়াত আমিরের সম্মানে গত রোববার লন্ডনের রয়েল রিজেন্সিতে কলিশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস ইন বাংলাদেশ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ডা: শফিকুর রহমান বলেন, ১৬ বছর দেশের মানুষের সাথে আওয়ামী লীগ যে আচরণ করেছে তার জন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। তারা মানুষের অধিকারই শুধু হরণ করেনি, তারা দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছিল। তারা চোখের সামনে মানুষকে হত্যা করেছে। আমরা চাই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের বিচার হোক। জামায়াত আমির বলেন, অন্যায় বিচার কি সেটার আমি নিজেও একজন ভিকটিম। আমাকে গ্রেফতার করে বলা হয়েছে, আমি নাকি বিছানার নিচে ককটেল নিয়ে ঘুমিয়েছি!

দৈনিক সংগ্রাম:

গণহত্যায় উসকানির দায়ে ৩৭ সাংবাদিকের সদস্য পদ স্থগিত
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ সাংবাদিকের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যায় উসকানি প্রদান এবং পতিত সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার দায়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ জন সদস্যের সদস্য পদ স্থগিত করা হলো।

যাদের সদস্যপদ স্থগিত

জাতীয় প্রেস ক্লাবের যাদের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে এই তালিকায় সিনিয়র অনেক সাংবাদিকের নাম রয়েছে। তারা হলেন- নূরুল আমিন প্রভাষ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফারজানা রুপা, অশোক চৌধুরী, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রণব সাহা, নঈম নিজাম, খায়রুল আলম, আবেদ খান, সুভাষ চন্দ বাদল।

এই তালিকায় আরও আছেন– জহিরুল ইসলাম মামুন (জ.ই মামুন), জাফর ওয়াজেদ, সাইফুল ইসলাম কল্লোল, পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাবান মাহমুদ, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শ্যামল সরকার, অজয় দাশগুপ্ত, আলমগীর হোসেন, রমাপ্রসাদ সরকার বাবু, সঞ্জয় সাহা পিয়াল, ফারাজি আজমল হোসেন, আনিসুল রহমান, এনামুল হক চৌধুরী, নাঈমুল ইসলাম খান, মো. আশরাফ আলী, মোল্লা জালাল, ইখতিয়ার উদ্দিন ও আবু জাফর সূর্য।

মানবজমিন:

দল গঠনের প্রক্রিয়ায় ছাত্র আন্দোলনের নেতারা
ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের পর দেশের চলমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি উঠেছে নানাদিক থেকে। বিপ্লব-পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোও কাঠামো ও নীতিগত পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। বিদ্যমান বাস্তবতায় আসছে জাতীয় নির্বাচনে লড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া নেতারা। ইতিমধ্যে তাদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল বা প্ল্যাটফরম তৈরির লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকা নেতৃবৃন্দ এবং বাইরের বিভিন্ন দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন হতে পারে নতুন দল বা প্ল্যাটফরম। এতে সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্পৃক্ততা থাকবে না। তবে নেতারা কেউ কেউ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবেন।

ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ইতিমধ্যে কয়েকটি দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শনিবার বিএনপি’র একজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে তারা আলোচনা করেন। ওই আলোচনায় সরকারের তিন জন উপদেষ্টা ছিলেন বলে জানা গেছে। তিন উপদেষ্টার মধ্যে দু’জন ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়াকে কেউ কেউ আবার ভিন্নভাবেও দেখছেন।

কালবেলা:

বিএনপিতে কোন্দল মাথাচাড়া
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের বারবার তাগিদ দিচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড। ভালো কাজের দ্বারা জনপ্রিয়তা অর্জন করে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায় বিএনপি। দলের নীতিনির্ধারকদের এই প্রত্যাশা পূরণে ‘বাধা’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন মাঠপর্যায়ের কিছু নেতাকর্মী। তাদের দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজি এবং নানা অপকর্মসহ বিভিন্ন কারণে বিএনপিতে মাথাচাড়া দিচ্ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর গ্রুপিং। কিছুটা হলেও ক্ষুণ্ন হচ্ছে দলের ভাবমূর্তি। দখল-চাঁদাবাজি ও প্রভাব বিস্তার কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে আসছে। দিনকে দিন দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রুপিং, অন্তঃকোন্দল রূপ নিচ্ছে মারামারি এবং সংঘর্ষে। উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে কাজে আসছে না বিএনপির ‘জিরো টলারেন্স নীতি’। চূড়ান্ত শাস্তি হিসেবে বহিষ্কারের মতো পদক্ষেপ নিলেও নেতাকর্মীদের বাগে আনতে হিমশিম অবস্থা বিএনপির নীতিনির্ধারকদের। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর সারা দেশে অন্তত ১১টি বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অন্ততপক্ষে পাঁচজন খুন এবং প্রায় অর্ধশত গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদরের প্রতাপগঞ্জ বাজারের মুসা মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার গাজীপুরের টঙ্গীর সাতাই এলাকায় মাসকো টেক্স লিমিটেড কারখানার ঝুট পণ্য নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অবশ্য বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, সারা দেশে মুষ্টিমেয় নেতাকর্মীর নেতিবাচক কাজের দায় দলের সবাইকে নিতে হচ্ছে। আবার বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ‘তৃতীয় পক্ষ’ অবৈধ সুযোগ নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। নানা কায়দায় যারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সুবিধা নিয়েছেন এখনো তারাই চাঁদাবাজি ও দখলদারিতে জড়াচ্ছেন। বিএনপির যারা প্রকৃত নেতাকর্মী, তারা কোনো দখল-চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। বরং কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে আড়াই মাসে কমিটি বিলুপ্ত, সাংগঠনিক মামলা, এবং সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কারসহ নানা সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েও লাগাম টানতে পারছে না দলটি। দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু নেতাকর্মী দলের কঠোর অবস্থানকে তোয়াক্কা না করে অপকর্মে জড়াচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে কিছুটা বিব্রত দলটির হাইকমান্ড। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বহুমুখী পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।

দেশরুপান্তর:

সেদিনের রাজাধিরাজ আজ…
প্রিজন ভ্যান থেকে একে একে নেমে আসা এককালের প্রভাবশালীদের চোখেমুখে তখন ভর করেছে বিষণœতা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা ছিলেন দুর্দান্ত প্রতাপশালী। সর্বক্ষণ নেতাকর্মী, তদবিরকারী আর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকতেন। তবে, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন তারাই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি হয়ে বিচারের মুখোমুখি। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ঠেকাতে নির্বিচার গুলিতে হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে। আসামি করা হয়েছে সেই সরকারের উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও তখনকার ক্ষমতাসীন দলটির শীর্ষ নেতাসহ ১৪-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ১১ জনকে। একই সঙ্গে এজলাসের কাঠগড়ায় তোলা হয় অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতি ও সাবেক এক আমলাকেও।তারা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ¦ালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইন ও বিচারমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, একই দলের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান,