অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন, বাংলাদেশ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সমালোচনায় ভারতীয় অপপ্রচার ভূমিকা রেখেছে। ফলে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে বলে তিনি মনে করেন না।
মুহাম্মদ ইউনূস কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব বলেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) আল জাজিরার ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ২৯) ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এই সাক্ষাৎকার দেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া, আগামী নির্বাচন, কূটনৈতিক সম্পর্কের পরিবর্তিত চিত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে অভিযোগ তুলে সমালোচনা করেছিলেন।
গত ৩১ অক্টোবর এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “আমি বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দেশটিতে দলবদ্ধভাবে তাদের ওপর হামলা ও লুটপাট চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরিভাবে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে রয়েছে। আল জাজিরার সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অপপ্রচার (প্রোপাগান্ডা)। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এই অপপ্রচারের বেশির ভাগই ভারতীয় দিক থেকে আসা।…সম্ভবত এই উত্তেজনা জিইয়ে রাখার জন্য এটা করা হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই।”
ট্রাম্প ও তার প্রশাসনকে কীভাবে সামলাবেন জানতে চাইলে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “অতীতে ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কখনো যোগাযোগ হয়নি। সুতরাং তার সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা নেই। কিন্তু যদি দলের কথা বলি, আমার রিপাবলিকান পার্টিতেও বন্ধু আছে, ডেমোক্রেটিক পার্টিতেও বন্ধু আছে। আমাকে কংগ্রেসনাল স্বর্ণপদক দেওয়ার ব্যাপারে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ ভোট দিয়েছিল, তাতে উভয় দল থেকে শতভাগ সম্মতি মিলেছিল। সেখানে কোনো সমস্যা নেই। সুতরাং, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়েছেন বলে হঠাৎ করে নতুন কোনো সমস্যার উদয় হবে, আমি তেমনটি মনে করি না।