ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা Logo ‘সাংবিধানিক আইন ও বিধি অনুযায়ী শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই’ Logo রাকসুতে হেরে যাওয়া ছাত্রদল প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শিবিরের সঙ্গীতকে কটাক্ষ করে নাচ Logo দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি Logo দ্য নিউজের সাংবাদিক ইমরানকে প্রাণনাশের হুমকি Logo দেশ জুড়ে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: মির্জা ফখরুল Logo চট্রগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন কাচামাল নিয়ে জাহাজডুবি Logo রিশাদের রেকর্ড বোলিংয়ে মিরপুরে বাংলাদেশের বড় জয় Logo মৌলভীবাজারে এম নাসের রহমানের নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু Logo একাত্তরের শহিদ আবদুর রবের কবর জিয়ারত করলেন চাকসুর ভিপি-জিএসরা

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের কার্যপরিধিও নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্র

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের কার্যপরিধিও নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন অনুযায়ী এই কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন’ গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

এ কমিশনের প্রধান হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ।

কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, বিআইএসএসের পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাসুদা খাতুন শেফালী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলাম এবং একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

কমিশনের কার্যপ্রক্রিয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, কমিশন দ্রুত কাজ শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারণ করবে।

কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন বা সম্মানি ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।

সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা করবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন

আপডেট সময় ০৭:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের কার্যপরিধিও নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন অনুযায়ী এই কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন’ গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

এ কমিশনের প্রধান হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ।

কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, বিআইএসএসের পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাসুদা খাতুন শেফালী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলাম এবং একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

কমিশনের কার্যপ্রক্রিয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, কমিশন দ্রুত কাজ শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারণ করবে।

কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন বা সম্মানি ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।

সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা করবে।