ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সীমান্তে ‘পুশ ইন’ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতকে চিঠি বাংলাদেশের Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু, আহত মা হাসপাতালে Logo কামরাঙ্গীরচরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ Logo আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় উদ্বিগ্ন ভারত Logo আ.লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টির শাসন দেখার কিছু নেই: চরমোনাই পীর Logo মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৯৮ পেয়ে প্রথম হলেন জবি শিবির নেতা Logo ক্ষেপণাস্ত্রের কথা ভেবে পাকিস্তান অনেকদিন ঘুমাতে পারবে না: মোদি Logo জাতীয় স্বার্থের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না: বিডা চেয়ারম্যান Logo সুন্দরগঞ্জে প্রেসক্লাবের বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo মুক্তাগাছায় আওয়ামী লীগ নেতা ভিপি মানিক গ্রেফতার

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের কার্যপরিধিও নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্র

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের কার্যপরিধিও নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন অনুযায়ী এই কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন’ গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

এ কমিশনের প্রধান হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ।

কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, বিআইএসএসের পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাসুদা খাতুন শেফালী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলাম এবং একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

কমিশনের কার্যপ্রক্রিয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, কমিশন দ্রুত কাজ শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারণ করবে।

কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন বা সম্মানি ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।

সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা করবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সীমান্তে ‘পুশ ইন’ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতকে চিঠি বাংলাদেশের

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন

আপডেট সময় ০৭:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের কার্যপরিধিও নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন অনুযায়ী এই কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন’ গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

এ কমিশনের প্রধান হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ।

কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, বিআইএসএসের পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাসুদা খাতুন শেফালী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলাম এবং একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

কমিশনের কার্যপ্রক্রিয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, কমিশন দ্রুত কাজ শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারণ করবে।

কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন বা সম্মানি ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।

সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা করবে।