ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আমরা হাতে ধরে গণ-অভ্যুত্থানকে মেরে ফেলছি : সামান্তা শারমিন Logo তারেক রহমানের কাছে সন্ত্রাসবাদ-চাঁদাবাজের ঠাই নেই: বিএনপি নেতা মধু Logo কমলগঞ্জে নিজ ঘর থেকে সাবেক ছাত্রদল নেতার গলা কাটা লাশ উদ্ধার Logo হাসিনা বারোটা বাজিয়েছে, এ সরকার চব্বিশটা বাজায়ে দিসে: মির্জা আব্বাস Logo প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে টাইফয়েডের টিকা পাবে ৫ কোটি শিশু Logo কুষ্টিয়ায় জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ডাকাতির চেষ্টায় গণপিটুনির শিকার সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার Logo জবির আইইআর-এ র‌্যাগিং, ১০ দিনেও উদ্যোগহীন পরিচালক; আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগীরা Logo ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন : সিইসি Logo নাটোরে মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের কার্যপরিধিও নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্র

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের কার্যপরিধিও নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন অনুযায়ী এই কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন’ গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

এ কমিশনের প্রধান হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ।

কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, বিআইএসএসের পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাসুদা খাতুন শেফালী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলাম এবং একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

কমিশনের কার্যপ্রক্রিয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, কমিশন দ্রুত কাজ শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারণ করবে।

কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন বা সম্মানি ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।

সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা করবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা হাতে ধরে গণ-অভ্যুত্থানকে মেরে ফেলছি : সামান্তা শারমিন

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন

আপডেট সময় ০৭:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৮ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের কার্যপরিধিও নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন অনুযায়ী এই কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন’ গঠনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

এ কমিশনের প্রধান হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ।

কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, বিআইএসএসের পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাসুদা খাতুন শেফালী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলাম এবং একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

কমিশনের কার্যপ্রক্রিয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, কমিশন দ্রুত কাজ শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারণ করবে।

কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন বা সম্মানি ও সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে না চাইলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা অনুমোদন করতে পারবেন।

সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতা করবে। কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা করবে।