ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন ফারুকী

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল সোমবার বৈঠকে বসবেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন এই চলচ্চিত্রকার।

রোববার (১৭ নভেম্বর) দিনভর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে গুঞ্জন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বাদ পড়ছেন মোস্তাফা সরয়ার ফারুকী। কিন্তু বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ। এ রকম সময়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানালেন হালনাগাদ তথ্য। আজ সন্ধ্যায় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি জানালেন, প্রধান উপদেষ্টা ও ফারুকীর বৈঠকের তথ্য।

শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবেন সদ্য দায়িত্ব পাওয়া সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি তার ভূমিকা নিয়েও কথা বলবেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে। তিনি এও জানিয়েছেন, আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতিকে কীভাবে গতিশীল করা যায় সেই পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করবেন দুই উপদেষ্টা। ওই পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার সঙ্গে একটি সেলফি শেয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

গত ১০ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এরপর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। ফারুকীর বিগত দিনের ফেসবুক পোস্ট নতুন করে ভাইরাল হতে শুরু করে। ফারুকীকে আওয়ামী সরকারের দোসর উল্লেখ করে অনেকে তার পদত্যাগ দাবি করেন।

আলোচনা-সমালোচনার জবাবে এক ফেসবুক পোস্টে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন ফারুকী। এমনকি শাপলা চত্ত্বরের ঘটনা নিয়ে সেখানে ব্যাখ্যা দিয়ে ফারুকী লিখেছেন, ‘শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়ে দেওয়া পোস্ট প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, বহু ডিজিটাল কার্ড এবং ফেইক স্ক্রিনশট ঘুরছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে, আমি নাকি ২০১৩ সালে বলেছি— “শাপলা চত্বর জজ্ঞালমুক্ত হয়েছে।” ডাহা মিথ্যা কথা। শাপলা চত্বরের ঘটনার পরে আমি বরং লিখেছি, মাদ্রাসার সাধারণ ছাত্রদের মৃত্যুতে আমি ঘুমাতে পারছি না! ইংরেজিতে লেখা পোস্টটা আগ্রহীরা দেখে আসতে পারেন। আমার ছবি দিয়ে কিছু কিছু ফেইক উইকিপিডিয়া স্ক্রিনশটও ঘুরছে। প্লিজ ইগনোর অল দিজ।’

ফারুকী জানিয়েছেন, উপদেষ্টা হিসেবে তিনি নিজের কাজ উপভোগ করছেন। এ সপ্তাহে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন এই নির্মাতা। এমনকি জুলাই অভ্যুত্থান ও ১৫ বছরের দুঃশাসন নিয়েও ব্যতিক্রম কিছু কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

শাজাহানপুরে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল বসতঘর সহ মোটরসাইকেল

সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন ফারুকী

আপডেট সময় ০৭:১১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আগামীকাল সোমবার বৈঠকে বসবেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন এই চলচ্চিত্রকার।

রোববার (১৭ নভেম্বর) দিনভর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে গুঞ্জন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বাদ পড়ছেন মোস্তাফা সরয়ার ফারুকী। কিন্তু বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ। এ রকম সময়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানালেন হালনাগাদ তথ্য। আজ সন্ধ্যায় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি জানালেন, প্রধান উপদেষ্টা ও ফারুকীর বৈঠকের তথ্য।

শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবেন সদ্য দায়িত্ব পাওয়া সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি তার ভূমিকা নিয়েও কথা বলবেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে। তিনি এও জানিয়েছেন, আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতিকে কীভাবে গতিশীল করা যায় সেই পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করবেন দুই উপদেষ্টা। ওই পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার সঙ্গে একটি সেলফি শেয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

গত ১০ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এরপর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। ফারুকীর বিগত দিনের ফেসবুক পোস্ট নতুন করে ভাইরাল হতে শুরু করে। ফারুকীকে আওয়ামী সরকারের দোসর উল্লেখ করে অনেকে তার পদত্যাগ দাবি করেন।

আলোচনা-সমালোচনার জবাবে এক ফেসবুক পোস্টে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন ফারুকী। এমনকি শাপলা চত্ত্বরের ঘটনা নিয়ে সেখানে ব্যাখ্যা দিয়ে ফারুকী লিখেছেন, ‘শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়ে দেওয়া পোস্ট প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, বহু ডিজিটাল কার্ড এবং ফেইক স্ক্রিনশট ঘুরছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে, আমি নাকি ২০১৩ সালে বলেছি— “শাপলা চত্বর জজ্ঞালমুক্ত হয়েছে।” ডাহা মিথ্যা কথা। শাপলা চত্বরের ঘটনার পরে আমি বরং লিখেছি, মাদ্রাসার সাধারণ ছাত্রদের মৃত্যুতে আমি ঘুমাতে পারছি না! ইংরেজিতে লেখা পোস্টটা আগ্রহীরা দেখে আসতে পারেন। আমার ছবি দিয়ে কিছু কিছু ফেইক উইকিপিডিয়া স্ক্রিনশটও ঘুরছে। প্লিজ ইগনোর অল দিজ।’

ফারুকী জানিয়েছেন, উপদেষ্টা হিসেবে তিনি নিজের কাজ উপভোগ করছেন। এ সপ্তাহে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন এই নির্মাতা। এমনকি জুলাই অভ্যুত্থান ও ১৫ বছরের দুঃশাসন নিয়েও ব্যতিক্রম কিছু কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।