ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কমলাপুর থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ছে ট্রেন, নেই উপচে পড়া ভিড় Logo সবার আগে ঈদের তারিখ জানাল অস্ট্রেলিয়া Logo মিয়ানমারের মতো বাংলাদেশেও শক্তিশালী ভূমিকম্পের শঙ্কা Logo ঈদে ফাঁকা ঢাকার সুরক্ষায় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে, আহত এক হাজার ৬৭০ Logo প্রধান উপদেষ্টাকে ডক্টরেট ডিগ্রি দিলো চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় Logo যমুনা সেতুতে চলতি বছর টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড Logo আর্জেন্টিনার কাছে হারের জেরে দরিভালকে বরখাস্ত করল ব্রাজিল Logo দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন,সংস্কার আপনাদের কাজ না: আমীর খসরু Logo মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১৪৪, আহত ৭৩২ জন

কারাগারে নামাজ পড়া শুরু করেছেন ব্যারিস্টার সুমন

কারাবন্দি সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পুরোপুরি বদলে গেছেন। তিনি কারাগারে নিয়মিত নামাজ আদায় শুরু করেছেন।

রোববার ব্যারিস্টার সুমনের দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চেম্বার পার্টনার আইনজীবী এম লিটন আহমেদ বিষয়টি জানিয়েছেন। গত ১৫ নভেম্বর ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন এ আইনজীবী।

আইনজীবী লিটন আহমেদ বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের জেল সঙ্গী হলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। এদের দুজনের সঙ্গে একই রুম শেয়ার করতে হয় ব্যারিস্টার সুমনকে। সঙ্গে রয়েছেন সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তাও।

তিনি বলেন, ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে ঘুম থেকে ওঠেন ফজরের আজানের আগেই। তিনি এখন নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। সাবেক এমপি হিসেবে জেলে ডিভিশন পেয়েছেন। তবে ব্যারিস্টার সুমন কষ্টে আছেন তার সঙ্গে মোবাইল ফোন না থাকায়। কারণ, আগে সার্বক্ষণিক মোবাইলে নিজের অ্যাকাউন্টে যেতেন এখন যেটি একেবারেই বন্ধ।

ব্যারিস্টার সুমন তার চেম্বার পার্টনারকে আরও বলেন, জেলজীবন কষ্টের কারণ ঠিক সন্ধ্যা নামার সময় কারা সেলে ঢুকে পড়তে হয়, খাবার খেয়ে নিতে হয়। এটা স্বাভাবিক জীবনে মানা কষ্টের।

সারাদিন কী করেন ব্যারিস্টার সুমন— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাঁটাহাঁটি করেন। কখনো সকালে, কখনো বিকেলে। তবে সেখানেও তাকে দেখলে অন্য কয়েদিরা ‘সুমন ভাই’, ‘সুমন ভাই’ ডাক শুরু করেন। এতে কখনো-কখনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে সেলের বাইরে হাঁটতেও কিছু বেগ পেতে হয় তাকে।

এর আগে ২৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে যুবদল নেতা ও বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২২ অক্টোবর তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত। এর আগে ২১ অক্টোবর দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটের দিকে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে, গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

কমলাপুর থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ছে ট্রেন, নেই উপচে পড়া ভিড়

কারাগারে নামাজ পড়া শুরু করেছেন ব্যারিস্টার সুমন

আপডেট সময় ০৪:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

কারাবন্দি সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পুরোপুরি বদলে গেছেন। তিনি কারাগারে নিয়মিত নামাজ আদায় শুরু করেছেন।

রোববার ব্যারিস্টার সুমনের দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও চেম্বার পার্টনার আইনজীবী এম লিটন আহমেদ বিষয়টি জানিয়েছেন। গত ১৫ নভেম্বর ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন এ আইনজীবী।

আইনজীবী লিটন আহমেদ বলেন, ব্যারিস্টার সুমনের জেল সঙ্গী হলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। এদের দুজনের সঙ্গে একই রুম শেয়ার করতে হয় ব্যারিস্টার সুমনকে। সঙ্গে রয়েছেন সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তাও।

তিনি বলেন, ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে ঘুম থেকে ওঠেন ফজরের আজানের আগেই। তিনি এখন নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। সাবেক এমপি হিসেবে জেলে ডিভিশন পেয়েছেন। তবে ব্যারিস্টার সুমন কষ্টে আছেন তার সঙ্গে মোবাইল ফোন না থাকায়। কারণ, আগে সার্বক্ষণিক মোবাইলে নিজের অ্যাকাউন্টে যেতেন এখন যেটি একেবারেই বন্ধ।

ব্যারিস্টার সুমন তার চেম্বার পার্টনারকে আরও বলেন, জেলজীবন কষ্টের কারণ ঠিক সন্ধ্যা নামার সময় কারা সেলে ঢুকে পড়তে হয়, খাবার খেয়ে নিতে হয়। এটা স্বাভাবিক জীবনে মানা কষ্টের।

সারাদিন কী করেন ব্যারিস্টার সুমন— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হাঁটাহাঁটি করেন। কখনো সকালে, কখনো বিকেলে। তবে সেখানেও তাকে দেখলে অন্য কয়েদিরা ‘সুমন ভাই’, ‘সুমন ভাই’ ডাক শুরু করেন। এতে কখনো-কখনো বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে সেলের বাইরে হাঁটতেও কিছু বেগ পেতে হয় তাকে।

এর আগে ২৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর মিরপুরে যুবদল নেতা ও বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২২ অক্টোবর তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন আদালত। এর আগে ২১ অক্টোবর দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটের দিকে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে সমাবেশে যান। সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে, গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন হৃদয়।