ঢাকা ১০:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৩৭:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • 16

 

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

দেশরুপান্তর:

পাবনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
পাবনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের আরও বেশ কয়েকজন। গতকাল শনিবার দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের বেতেপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জালাল উদ্দিন (৪০) হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়ার শুকুর আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হেমায়েতপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল হাশেম ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুন্তাজ আলী গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলমান ছিল। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে ওই এলাকার ইসলামি জলসা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাগ্বিত-া হয়। সেই সূত্র ধরে সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হলে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় গুরুতর আহত জালালের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে মার যান। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কালবেলা:

কোটায় পুলিশ হয়ে বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা বানান রফিক

কোটা সুবিধা নিতে অভিনব কৌশলআব্দুর রাজ্জাক শেখ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ২০০৫ সালে। তবে এর চার বছর আগেই ২০০১ সালে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় এএসপি হন তার ছেলে। তারপর যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে যান তিনি। শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুল। বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি। গত দুই যুগে অবৈধভাবে অর্জন করেছেন শত শত কোটি টাকার সম্পদ। অবশেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০১ সালের ৩১ মে ২০তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় এএসপি হিসেবে যোগ দেন রফিকুল ইসলাম। সে সময় রফিকুল ইসলামের বিসিএসে হাতে লেখা আবেদনপত্র এসেছে কালবেলার হাতে। আবেদনপত্রে নিজের নাম লিখেছেন শেখ রফিকুল ইসলাম, বাবার নাম মৃত আব্দুর রাজ্জাক শেখ। আবেদনপত্রে রফিকুল নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দাবি করেছেন। রোল নম্বর: ০১৭২৫৫।

পিএসসি সূত্রে সে বছর বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরিপ্রাপ্তদের একটি তালিকা এসেছে কালবেলার হাতে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ০১৭২৫৫ রোল নম্বরে ১০৮ নম্বর ক্রমিকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় চাকরি পেয়েছেন শেখ রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, শেখ রফিকুল ইসলাম ২০তম বিসিএসের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার প্রার্থী হিসেবে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০১ সালে রফিকুল ইসলামের বাবা মৃত. আব্দুর রাজ্জাক শেখ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তই হননি। রফিকুল ইসলাম পুলিশে চাকরি পাওয়ার আগেই তার বাবা মারা যান। বিসিএসের আবেদনপত্রে রফিকুল ইসলাম নিজেও তার বাবাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

বেপরোয়া অপরাধীরা

♦ দিনদুপুরেই খুনোখুনি ডাকাতি, নিত্যনতুন কৌশল ♦ অভিযান জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ♦ ৩০০ মোটরসাইকেলে পুলিশের টহল
দিনদিন ভয়ংকর হয়ে উঠেছে রাজধানীর অপরাধীরা। কেবল বাসা লুটপাটই নয়, লুটের পর বাচ্চা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনাও এবার ঘটেছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে নিত্যনতুন কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে অপরাধীরা। চুরি করতে গিয়ে খুন করা হয় বাসার মালিককে। দিনদুপুরে ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।

সংশ্লিষ্টরা বলছে, গত দুই মাস ধরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক কারবারি ও বিভিন্ন অপরাধীর বিরুদ্ধে সারা দেশে চলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযান। এসব অপরাধীদের ঠেকাতে সম্প্রতি নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি অভিযানের গতি আরও বাড়ানো হয়েছে। তাতেও কাজ হচ্ছে না। নানান কায়দায় অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমরা চেকপোস্ট এবং প্যাট্রোলিং বাড়িয়েছি। আজকেও (শনিবার) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম কনফারেন্সে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রতিটি ঘটনা যেন রেকর্ডেট থাকে, ওইসব ঘটনায় যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং যেসব ঘটনা ঘটে সেগুলো যেন উদঘাটিত হয়। আর এসব ঘটনায় পুরনো কিছু অপরাধী মাথাচাড়া দেয়, আবার নতুন নতুন অপরাধীও তৈরি হয়। তবে আমাদের দৃষ্টিতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আছে, কিন্তু আমরা আত্ম তুষ্টিতে ভুগছি না।

প্রথম আলো:

প্রশাসন হয়ে গিয়েছিল লুটেরাদের সহযোগী

জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারাই বললেন নিজেদের ভাবমূর্তি সংকটের কথা। দায়ী করলেন রাজনৈতিক প্রভাবকে।ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে জনপ্রশাসন আর জনপ্রশাসন ছিল না। সেটি পরিণত হয়েছিল লুটেরাদের সহযোগীতে।

এই স্বীকারোক্তি জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদেরই। তাঁরা বলছেন, এখন প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা যাতে রাজনৈতিক কর্মীদের মতো আচরণ করতে না পারেন, সেটা আচরণবিধির বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘প্রশাসনিক সংস্কার ও উন্নয়ন: বর্তমান প্রেক্ষিত ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন। এটি প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগ সরকার টানা চার মেয়াদে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন করেছে। জনপ্রশাসনকে হাতে রাখতে দলীয়করণ, গাড়ি-বাড়ি কিনতে ঋণসুবিধা, ইচ্ছেমতো পদোন্নতি দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জনপ্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউ কেউ নানা কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হয়েছিলেন। সংগঠনটিও কিছু কিছু বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিল।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর চুক্তিতে থাকা বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার চুক্তি বাতিল করে সরকার। অন্যদিকে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এখন কারাগারে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও মোস্তফা কামাল, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব আমিনুল ইসলাম খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব শাহ কামাল এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়াসচিব মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ।

সাবেক সচিবদের প্রায় সবার নামে হত্যা মামলা হয়েছে। অবশ্য ঢালাওভাবে বিভিন্ন হত্যা মামলায় আসামি করা নিয়ে প্রশ্নও আছে।

অন্তর্বর্তী সরকার জনপ্রশাসন সংস্কারে গত ৪ অক্টোবর সাবেক সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করেছে। কমিশনের কাছে সুপারিশ দেওয়া সামনে রেখে সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এতে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবসহ প্রশাসন ক্যাডারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা কথা বলেন। তাঁদের অধিকাংশই মূলত বিগত সরকারের আমলে পদ-পদোন্নতি ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তা।

কালের কন্ঠ:

ট্রাম্পের প্রভাব পড়বে দক্ষিণ এশিয়ায়
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরো উষ্ণ সম্পর্কের প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ায়। গতকাল রবিবার ঢাকার একটি হোটেলে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) সম্মেলনের এক আলোচনায় বিশ্লেষকরা এ ধরনের মন্তব্য করেন।

আলোচনার বিষয় ছিল ‘স্রোতের পরিবর্তন : দক্ষিণ এশিয়া ও গ্লোবাল সাউথে ট্রাম্পের আমেরিকার প্রভাব’। সঞ্চালনা করেন টাইম ম্যাগাজিনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক চার্লি ক্যাম্পবেল।

আলোচনায় অংশ নেন পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও ইসলামাবাদের সানোবার ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান আইজাজ আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিঙ্গুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট অশোক সজ্জনহার, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির সিকিউরিটি স্টাডিজের অধ্যাপক ক্রিস্টিন সি ফেয়ার এবং চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইউনিভার্সিটির ডিপ্লোমেটিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক লিপিং শিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষক ক্রিস্টিন সি ফেয়ার বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃত্ববাদী হবে। ট্রাম্প যা বলেছেন, তাতে সম্পর্ক অনেক বদলাবে। এই অঞ্চলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্ব পাবে।

নয়াদিগন্ত:

১৫ বছরের জঞ্জাল ৩ মাসে দূর করা সম্ভব নয় : তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মাফিয়া সরকারের ১৫ বছরে তৈরি করা জঞ্জাল তিন মাসে দূর করা সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার পরিচালনায় যদি অদক্ষতা পরিলক্ষিত হয় তাও জনগণ সহজভাবে মেনে নেবে না। গতকাল শনিবার বিকেলে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রমনায় জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জেটেব) তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এই কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের ভোটে ফখরুল আলম জেটেবের সভাপতি ও রুহুল আমিন আকন্দ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তারেক রহমান বলেন, সরকারকে একেবারে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরা বসে নেই। সেটা দেশের ভেতরেই হোক বা দেশের বাইরে হোক, প্রশাসনের ভেতরে হোক বা দেশের বাইরে হোক। এরা ওঁৎ পেতে আছে কিভাবে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দেয়া যায়। আমরা মনে করি, সরকারের সাথে জনগণের আস্থা নিবিড় থাকলে তাদের (পলাতক স্বৈরাচার) ষড়যন্ত্রের ডালপালা বিস্তারের সুযোগ পাবে না। জনগণ যা চাইছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি সেগুলোকে এড্রেস করে তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা কোনো সুযোগ পাবে না, তাদের ষড়যন্ত্রও সফল হবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করা না গেলে গণতন্ত্র, উন্নয়ন কিংবা সমস্যা কেনোটাই টেকসই হবে না। একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রথম হাতিয়ার হচ্ছে ভোট প্রয়োগের অধিকার। জনগণ ভোট প্রয়োগের সুযোগ যদি না পায় তাহলে রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকদের যে সম্পর্ক-অংশীদারত্ব; সেটা সৃষ্টি হয় না।

যুগান্তর:

অর্থ পাচার বন্ধে নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছে
ভবিষ্যতে কেউ যাতে অর্থ পাচার করতে না পারে, তার বন্দোবস্তই অন্তর্বর্তী সরকার করছে। আমরা একটি রাস্তা তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে যে সরকারই আসুক, সরকারি-বেসরকারি যে সাইড হোক, কেউ টাকা পাচার করতে পারবে না। এ জন্য নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে। আর ইতোমধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

শনিবার ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের আয়োজনে ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

এতে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বাংলাদেশের দুটো কিডনি। একটি ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর, আরেকটি এনার্জি সেক্টর। দুটোই খেয়ে ফেলেছে বিগত সরকার। আর ‘যারা এনার্জি সেক্টর খেয়েছে, তারাই আবার ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর খেয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের মেরামত যদি না হয় তবে শুধু সংস্কার দিয়ে আগানো যাবে না। ফলে এজন্য প্রথমে ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা’ আনতে হবে।

শনিবার ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের আয়োজনে ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সংলাপে তারা এসব কথা বলেছেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সংলাপে দেশের আর্থিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে প্যানেল আলোচনা, পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং আর্থিক খাতের চলমান চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়।

নয়াদিগন্ত:

আর্থিক খাতে এত অনিয়ম বিশৃঙ্খলা দুর্নীতি পৃথিবীর আর কোথাও হয়নি
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আর্থিক খাতে এত বড় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে যে, সেটা বাইরে থেকে কল্পনাও করা যাবে না। এত অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতি পৃথিবীর আর কোথাও হয়নি।’ তবে এই ক্ষত সারিয়ে তুলতে সময় লাগবে উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশের মানুষের কর্মদক্ষতা অতুলনীয়। এই দক্ষতা দিয়ে আগামীতে দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। অর্থনীতির এই অবস্থায় উচ্চ সুদে বিদেশ থেকে ঋণ নেবে না অন্তর্বর্তী সরকার। আপাতত আমরা স্বল্পমেয়াদি কিছু সংস্কারে জোর দিয়েছি। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার করতে হবে পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারকে।

গতকাল শনিবার আর্থিক খাতে সংস্কার বিষয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘পলিসি ডায়ালগ অন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সৈয়দ ফরহাত আনোয়ারের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ ও ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এত বিশৃঙ্খলার পরও দেশের যেটুকু উন্নয়ন হয়েছে তাতে কৃষকদের বড় ভূমিকা আছে। কৃষি বিজ্ঞানীদেরও অবদান অনেক। বৈদেশিক মুদ্রার নিট আয় করছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা। বিগত সরকারের অনেক ভুল পলিসি উত্তরাধিকার সূত্রে অন্তর্বর্তী সরকারকে টানতে হচ্ছে। সেগুলো সংস্কার করতে সময় লাগবে। সব সংস্কার আমরা করে যেতে পারব না। আমরা হয়ত জরুরি কিছু প্রাথমিক সংস্কার করব। বাকি সংস্কার রাজনৈতিক সরকার করবে। বাংলাদেশের মানুষের যে দক্ষতা তা দিয়ে সংস্কার সম্ভব।

মধ্যস্বত্বভোগীদের জন্য বাজারে দ্রব্যমূল্য বাড়ে বলে অভিযোগ রয়েছে। মূল্যস্ফীতি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ে আমরা অস্থির হয়ে যাচ্ছি। আমাদের সরবরাহ ব্যবস্থায় কিছু ক্রটি আছে। বগুড়া থেকে কারওয়ান বাজার আসতে ১৭ জায়গায় টাকা দিতে হয়। কিছু জায়গায় মধ্যস্বত্ত্বভোগী দরকার হলেও কেউ কেউ কিছু না করেই কেবল ফুটপাতে দাঁড়িয়ে চাঁদাবাজি করছে। যে কারণে আমি চেয়েছিলাম কিছু ডিলার পরিবর্তন করতে। তবে পরিবর্তন করলে আরেক গ্রুপ এসে নাকি চাঁদাবাজি শুরু করবে। এটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন? তবে এদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

মানবজমিন:

দুই সন্তানকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
ঋণগ্রস্ত হয়ে হতাশায় দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মো. আহাদ (৪০) নামে এক বাবা। গতকাল সকালে রাজধানীর পল্লবীর বাইগারটেক হাজী মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আহাদ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের নাক-কান-গলা বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আহাদের বাড়ির মালিক নাসির সরকার বলেন, আহাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলের বয়স ১২ বছর, মেজো ছেলে ৭ বছর, ছোট ছেলে ৩ বছর ও একটা ছোট্ট মেয়ে রয়েছে। তিন মাস আগে আহাদ আমার বাড়ির নিচতলায় বাসা ভাড়া নেয়। তার স্ত্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। আর আহাদ স্থানীয় একটি ভবনের কেয়ারটেকার। প্রায়ই সংসারের অভাব অনটন নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। শনিবার সকালেও অনেক চিল্লাচিল্লি হচ্ছিল তাদের বাসায়। সকাল ৯টার দিকে গিয়ে দেখি তার মেজো ছেলে রোহান ও ছোট ছেলে মুসা রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে মেঝেতে পড়ে রয়েছে। আর আহাদের গলা দিয়েও রক্ত ঝরছে। তখন আশেপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহাদ ও তার সন্তানদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক সোহান মোল্লা ও আব্দুল হাই বলেন, খবর পেয়ে বাইগারটেক হাজী মার্কেট এলাকার একটি বাসার নিচতলার একটি রুম থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় মো. আহাদকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে আবার ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। তাকে ভর্তি দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি আহত আহাদ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই অভাব-অনটন নিয়েই তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। সেই থেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে দুই সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। বাসা বাড়িতে কাজ করায় ঘটনার সময় তার স্ত্রী কোলের মেয়ে সন্তানকে নিয়ে তখন বাসায় ছিল না। আর বড় ছেলেও বাসার বাইরে ছিল।

আহত আহাদের সঙ্গে হাসপাতালে আসা তার প্রতিবেশী মো. হাসান খান বলেন, শনিবার সকাল সাতটা থেকে আহাদের বাসায় চিল্লাচিল্লি শুরু হয়। এরপর তার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে তার কাজে বের হয়ে যায়। তারপরও ঝামেলা থামেনি। সকাল ৯টার দিকে আমরা গিয়ে দেখি তার দুই সন্তান রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। আর আহাদের গলা দিয়েও রক্ত ঝরছে। পরে আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে সকল উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১

আপডেট সময় ০৭:৩৭:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

 

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

দেশরুপান্তর:

পাবনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
পাবনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের আরও বেশ কয়েকজন। গতকাল শনিবার দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের বেতেপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জালাল উদ্দিন (৪০) হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়ার শুকুর আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হেমায়েতপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল হাশেম ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুন্তাজ আলী গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলমান ছিল। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে ওই এলাকার ইসলামি জলসা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাগ্বিত-া হয়। সেই সূত্র ধরে সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হলে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় গুরুতর আহত জালালের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে মার যান। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

কালবেলা:

কোটায় পুলিশ হয়ে বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা বানান রফিক

কোটা সুবিধা নিতে অভিনব কৌশলআব্দুর রাজ্জাক শেখ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ২০০৫ সালে। তবে এর চার বছর আগেই ২০০১ সালে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় এএসপি হন তার ছেলে। তারপর যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে যান তিনি। শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুল। বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি। গত দুই যুগে অবৈধভাবে অর্জন করেছেন শত শত কোটি টাকার সম্পদ। অবশেষে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০১ সালের ৩১ মে ২০তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় এএসপি হিসেবে যোগ দেন রফিকুল ইসলাম। সে সময় রফিকুল ইসলামের বিসিএসে হাতে লেখা আবেদনপত্র এসেছে কালবেলার হাতে। আবেদনপত্রে নিজের নাম লিখেছেন শেখ রফিকুল ইসলাম, বাবার নাম মৃত আব্দুর রাজ্জাক শেখ। আবেদনপত্রে রফিকুল নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দাবি করেছেন। রোল নম্বর: ০১৭২৫৫।

পিএসসি সূত্রে সে বছর বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরিপ্রাপ্তদের একটি তালিকা এসেছে কালবেলার হাতে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ০১৭২৫৫ রোল নম্বরে ১০৮ নম্বর ক্রমিকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় চাকরি পেয়েছেন শেখ রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, শেখ রফিকুল ইসলাম ২০তম বিসিএসের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার প্রার্থী হিসেবে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০১ সালে রফিকুল ইসলামের বাবা মৃত. আব্দুর রাজ্জাক শেখ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তই হননি। রফিকুল ইসলাম পুলিশে চাকরি পাওয়ার আগেই তার বাবা মারা যান। বিসিএসের আবেদনপত্রে রফিকুল ইসলাম নিজেও তার বাবাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

বেপরোয়া অপরাধীরা

♦ দিনদুপুরেই খুনোখুনি ডাকাতি, নিত্যনতুন কৌশল ♦ অভিযান জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ♦ ৩০০ মোটরসাইকেলে পুলিশের টহল
দিনদিন ভয়ংকর হয়ে উঠেছে রাজধানীর অপরাধীরা। কেবল বাসা লুটপাটই নয়, লুটের পর বাচ্চা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনাও এবার ঘটেছে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে নিত্যনতুন কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে অপরাধীরা। চুরি করতে গিয়ে খুন করা হয় বাসার মালিককে। দিনদুপুরে ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।

সংশ্লিষ্টরা বলছে, গত দুই মাস ধরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক কারবারি ও বিভিন্ন অপরাধীর বিরুদ্ধে সারা দেশে চলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযান। এসব অপরাধীদের ঠেকাতে সম্প্রতি নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি অভিযানের গতি আরও বাড়ানো হয়েছে। তাতেও কাজ হচ্ছে না। নানান কায়দায় অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমরা চেকপোস্ট এবং প্যাট্রোলিং বাড়িয়েছি। আজকেও (শনিবার) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম কনফারেন্সে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রতিটি ঘটনা যেন রেকর্ডেট থাকে, ওইসব ঘটনায় যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং যেসব ঘটনা ঘটে সেগুলো যেন উদঘাটিত হয়। আর এসব ঘটনায় পুরনো কিছু অপরাধী মাথাচাড়া দেয়, আবার নতুন নতুন অপরাধীও তৈরি হয়। তবে আমাদের দৃষ্টিতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আছে, কিন্তু আমরা আত্ম তুষ্টিতে ভুগছি না।

প্রথম আলো:

প্রশাসন হয়ে গিয়েছিল লুটেরাদের সহযোগী

জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারাই বললেন নিজেদের ভাবমূর্তি সংকটের কথা। দায়ী করলেন রাজনৈতিক প্রভাবকে।ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে জনপ্রশাসন আর জনপ্রশাসন ছিল না। সেটি পরিণত হয়েছিল লুটেরাদের সহযোগীতে।

এই স্বীকারোক্তি জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদেরই। তাঁরা বলছেন, এখন প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা যাতে রাজনৈতিক কর্মীদের মতো আচরণ করতে না পারেন, সেটা আচরণবিধির বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘প্রশাসনিক সংস্কার ও উন্নয়ন: বর্তমান প্রেক্ষিত ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন। এটি প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগ সরকার টানা চার মেয়াদে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন করেছে। জনপ্রশাসনকে হাতে রাখতে দলীয়করণ, গাড়ি-বাড়ি কিনতে ঋণসুবিধা, ইচ্ছেমতো পদোন্নতি দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জনপ্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউ কেউ নানা কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত হয়েছিলেন। সংগঠনটিও কিছু কিছু বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিল।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর চুক্তিতে থাকা বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার চুক্তি বাতিল করে সরকার। অন্যদিকে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এখন কারাগারে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও মোস্তফা কামাল, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব আমিনুল ইসলাম খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব শাহ কামাল এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়াসচিব মেজবাহ উদ্দীন আহমেদ।

সাবেক সচিবদের প্রায় সবার নামে হত্যা মামলা হয়েছে। অবশ্য ঢালাওভাবে বিভিন্ন হত্যা মামলায় আসামি করা নিয়ে প্রশ্নও আছে।

অন্তর্বর্তী সরকার জনপ্রশাসন সংস্কারে গত ৪ অক্টোবর সাবেক সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করেছে। কমিশনের কাছে সুপারিশ দেওয়া সামনে রেখে সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এতে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবসহ প্রশাসন ক্যাডারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা কথা বলেন। তাঁদের অধিকাংশই মূলত বিগত সরকারের আমলে পদ-পদোন্নতি ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তা।

কালের কন্ঠ:

ট্রাম্পের প্রভাব পড়বে দক্ষিণ এশিয়ায়
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরো উষ্ণ সম্পর্কের প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ায়। গতকাল রবিবার ঢাকার একটি হোটেলে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) সম্মেলনের এক আলোচনায় বিশ্লেষকরা এ ধরনের মন্তব্য করেন।

আলোচনার বিষয় ছিল ‘স্রোতের পরিবর্তন : দক্ষিণ এশিয়া ও গ্লোবাল সাউথে ট্রাম্পের আমেরিকার প্রভাব’। সঞ্চালনা করেন টাইম ম্যাগাজিনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক চার্লি ক্যাম্পবেল।

আলোচনায় অংশ নেন পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও ইসলামাবাদের সানোবার ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান আইজাজ আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিঙ্গুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট অশোক সজ্জনহার, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির সিকিউরিটি স্টাডিজের অধ্যাপক ক্রিস্টিন সি ফেয়ার এবং চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইউনিভার্সিটির ডিপ্লোমেটিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক লিপিং শিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষক ক্রিস্টিন সি ফেয়ার বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃত্ববাদী হবে। ট্রাম্প যা বলেছেন, তাতে সম্পর্ক অনেক বদলাবে। এই অঞ্চলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুরুত্ব পাবে।

নয়াদিগন্ত:

১৫ বছরের জঞ্জাল ৩ মাসে দূর করা সম্ভব নয় : তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মাফিয়া সরকারের ১৫ বছরে তৈরি করা জঞ্জাল তিন মাসে দূর করা সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার পরিচালনায় যদি অদক্ষতা পরিলক্ষিত হয় তাও জনগণ সহজভাবে মেনে নেবে না। গতকাল শনিবার বিকেলে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রমনায় জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জেটেব) তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এই কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের ভোটে ফখরুল আলম জেটেবের সভাপতি ও রুহুল আমিন আকন্দ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তারেক রহমান বলেন, সরকারকে একেবারে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরা বসে নেই। সেটা দেশের ভেতরেই হোক বা দেশের বাইরে হোক, প্রশাসনের ভেতরে হোক বা দেশের বাইরে হোক। এরা ওঁৎ পেতে আছে কিভাবে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দেয়া যায়। আমরা মনে করি, সরকারের সাথে জনগণের আস্থা নিবিড় থাকলে তাদের (পলাতক স্বৈরাচার) ষড়যন্ত্রের ডালপালা বিস্তারের সুযোগ পাবে না। জনগণ যা চাইছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি সেগুলোকে এড্রেস করে তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা কোনো সুযোগ পাবে না, তাদের ষড়যন্ত্রও সফল হবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করা না গেলে গণতন্ত্র, উন্নয়ন কিংবা সমস্যা কেনোটাই টেকসই হবে না। একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রথম হাতিয়ার হচ্ছে ভোট প্রয়োগের অধিকার। জনগণ ভোট প্রয়োগের সুযোগ যদি না পায় তাহলে রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকদের যে সম্পর্ক-অংশীদারত্ব; সেটা সৃষ্টি হয় না।

যুগান্তর:

অর্থ পাচার বন্ধে নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছে
ভবিষ্যতে কেউ যাতে অর্থ পাচার করতে না পারে, তার বন্দোবস্তই অন্তর্বর্তী সরকার করছে। আমরা একটি রাস্তা তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে যে সরকারই আসুক, সরকারি-বেসরকারি যে সাইড হোক, কেউ টাকা পাচার করতে পারবে না। এ জন্য নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে। আর ইতোমধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

শনিবার ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের আয়োজনে ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

এতে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বাংলাদেশের দুটো কিডনি। একটি ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর, আরেকটি এনার্জি সেক্টর। দুটোই খেয়ে ফেলেছে বিগত সরকার। আর ‘যারা এনার্জি সেক্টর খেয়েছে, তারাই আবার ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর খেয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের মেরামত যদি না হয় তবে শুধু সংস্কার দিয়ে আগানো যাবে না। ফলে এজন্য প্রথমে ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা’ আনতে হবে।

শনিবার ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের আয়োজনে ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সংলাপে তারা এসব কথা বলেছেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সংলাপে দেশের আর্থিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে প্যানেল আলোচনা, পোস্টার প্রেজেন্টেশন এবং আর্থিক খাতের চলমান চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়।

নয়াদিগন্ত:

আর্থিক খাতে এত অনিয়ম বিশৃঙ্খলা দুর্নীতি পৃথিবীর আর কোথাও হয়নি
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আর্থিক খাতে এত বড় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে যে, সেটা বাইরে থেকে কল্পনাও করা যাবে না। এত অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতি পৃথিবীর আর কোথাও হয়নি।’ তবে এই ক্ষত সারিয়ে তুলতে সময় লাগবে উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশের মানুষের কর্মদক্ষতা অতুলনীয়। এই দক্ষতা দিয়ে আগামীতে দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। অর্থনীতির এই অবস্থায় উচ্চ সুদে বিদেশ থেকে ঋণ নেবে না অন্তর্বর্তী সরকার। আপাতত আমরা স্বল্পমেয়াদি কিছু সংস্কারে জোর দিয়েছি। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার করতে হবে পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারকে।

গতকাল শনিবার আর্থিক খাতে সংস্কার বিষয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘পলিসি ডায়ালগ অন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক রিফর্মস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সৈয়দ ফরহাত আনোয়ারের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ ও ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এত বিশৃঙ্খলার পরও দেশের যেটুকু উন্নয়ন হয়েছে তাতে কৃষকদের বড় ভূমিকা আছে। কৃষি বিজ্ঞানীদেরও অবদান অনেক। বৈদেশিক মুদ্রার নিট আয় করছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা। বিগত সরকারের অনেক ভুল পলিসি উত্তরাধিকার সূত্রে অন্তর্বর্তী সরকারকে টানতে হচ্ছে। সেগুলো সংস্কার করতে সময় লাগবে। সব সংস্কার আমরা করে যেতে পারব না। আমরা হয়ত জরুরি কিছু প্রাথমিক সংস্কার করব। বাকি সংস্কার রাজনৈতিক সরকার করবে। বাংলাদেশের মানুষের যে দক্ষতা তা দিয়ে সংস্কার সম্ভব।

মধ্যস্বত্বভোগীদের জন্য বাজারে দ্রব্যমূল্য বাড়ে বলে অভিযোগ রয়েছে। মূল্যস্ফীতি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ে আমরা অস্থির হয়ে যাচ্ছি। আমাদের সরবরাহ ব্যবস্থায় কিছু ক্রটি আছে। বগুড়া থেকে কারওয়ান বাজার আসতে ১৭ জায়গায় টাকা দিতে হয়। কিছু জায়গায় মধ্যস্বত্ত্বভোগী দরকার হলেও কেউ কেউ কিছু না করেই কেবল ফুটপাতে দাঁড়িয়ে চাঁদাবাজি করছে। যে কারণে আমি চেয়েছিলাম কিছু ডিলার পরিবর্তন করতে। তবে পরিবর্তন করলে আরেক গ্রুপ এসে নাকি চাঁদাবাজি শুরু করবে। এটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন? তবে এদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

মানবজমিন:

দুই সন্তানকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
ঋণগ্রস্ত হয়ে হতাশায় দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মো. আহাদ (৪০) নামে এক বাবা। গতকাল সকালে রাজধানীর পল্লবীর বাইগারটেক হাজী মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আহাদ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের নাক-কান-গলা বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আহাদের বাড়ির মালিক নাসির সরকার বলেন, আহাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলের বয়স ১২ বছর, মেজো ছেলে ৭ বছর, ছোট ছেলে ৩ বছর ও একটা ছোট্ট মেয়ে রয়েছে। তিন মাস আগে আহাদ আমার বাড়ির নিচতলায় বাসা ভাড়া নেয়। তার স্ত্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। আর আহাদ স্থানীয় একটি ভবনের কেয়ারটেকার। প্রায়ই সংসারের অভাব অনটন নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। শনিবার সকালেও অনেক চিল্লাচিল্লি হচ্ছিল তাদের বাসায়। সকাল ৯টার দিকে গিয়ে দেখি তার মেজো ছেলে রোহান ও ছোট ছেলে মুসা রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে মেঝেতে পড়ে রয়েছে। আর আহাদের গলা দিয়েও রক্ত ঝরছে। তখন আশেপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহাদ ও তার সন্তানদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক সোহান মোল্লা ও আব্দুল হাই বলেন, খবর পেয়ে বাইগারটেক হাজী মার্কেট এলাকার একটি বাসার নিচতলার একটি রুম থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় মো. আহাদকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে আবার ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। তাকে ভর্তি দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি আহত আহাদ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এই অভাব-অনটন নিয়েই তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। সেই থেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে দুই সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। বাসা বাড়িতে কাজ করায় ঘটনার সময় তার স্ত্রী কোলের মেয়ে সন্তানকে নিয়ে তখন বাসায় ছিল না। আর বড় ছেলেও বাসার বাইরে ছিল।

আহত আহাদের সঙ্গে হাসপাতালে আসা তার প্রতিবেশী মো. হাসান খান বলেন, শনিবার সকাল সাতটা থেকে আহাদের বাসায় চিল্লাচিল্লি শুরু হয়। এরপর তার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে তার কাজে বের হয়ে যায়। তারপরও ঝামেলা থামেনি। সকাল ৯টার দিকে আমরা গিয়ে দেখি তার দুই সন্তান রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। আর আহাদের গলা দিয়েও রক্ত ঝরছে। পরে আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে সকল উদ্ধার করে নিয়ে আসে।