বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ভুল পদক্ষেপ নিলে তা নিয়ে সমালোচনা হবেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। এ সরকারকে ব্যর্থ করতে পতিত স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা বসে নেই। সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মানুষের আন্দোলনের ফসল।
তাই এই সরকার ব্যর্থ হলে আমরা সবাই ব্যর্থ হবো। তাদের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত জনআকাঙ্ক্ষার বিপরীতে যাচ্ছে, জনগণ ভাবছে সরকার নিজেদের ভালো সিদ্ধান্তগুালো চাপিয়ে দিতে চাইছে। তারেক রহমান বলেন, পতিত স্বৈরাচার পালানোর পর দেশের প্রকৃত অবস্থা বেরিয়ে এসেছে।
ফ্যাসিবাদ সরকারের ১৬ বছরের জঞ্জাল তিন মাসে দূর করা সম্ভব নয়, কিন্তু তাদের কাজে সন্তুষ্ট না হলে জনগণের প্রশ্ন তোলাও অস্বাভাবিক নয়। কোনো ভুল পদক্ষেপের সমালোচনা হবেই, সরকারের অদক্ষতা হিসেবে তা বিবেচিত হবে।
আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতরা যখন সুচিকৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে সড়কে নেমে আসে, তা খুবই বিব্রতকর। আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি অগ্রাধিকার তালিকায় কোন পর্যায়ে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারা, পণ্যের ঊর্ধ্বমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় কোন পর্যায়ে আছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তিনি আরো বলেন, আহতরা চিকিৎসার জন্য রাস্তায় নেমে এসেছে তা সবার জন্য লজ্জার। আহতদের চিকিৎসা কেন সরকারের অগ্রাধিকারে নেই- এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি। ভোটাধিকারের নিশ্চয়তা পেলে এই সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক জোরালো হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারেক রহমান।
পোশাকশিল্পের প্রসঙ্গে তারেক রহমান, জিয়াউর রহমানের উদ্যোগেই গার্মেন্ট সেক্টর আন্তর্জাতিকভাবে রপ্তানি শুরু করেছিল। বিশ্ব বাজারে গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাহিদা বেড়েই চলেছে। তবে ষড়যন্ত্র, টাকাপাচারসহ নানা অনিয়মের কারণে এই সেক্টরেও সমস্যা চলছে।