বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় গত ১০ নভেম্বর গৃহবধু উম্মে সালমা (৫০) হত্যাকাণ্ডে আটককৃত আসামি তার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান (১৯) জরিত নয়, এমন টায় জানিয়েছে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় গত ১০ নভেম্বর গৃহবধু উম্মে সালমা (৫০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এবং সেই হত্যাকাণ্ডের মুল হোতা হিসেবে তারই ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান (১৯) কে গ্রেফতার করে সিপিএসসি র্যাব-১২ । জানানো হয় প্রেমে বাধা ও হাত খরচের টাকা নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে উম্মে সালমা কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ডিপ ফ্রিজে রাখা হয়। এবং সেখান থেকে লাশ টি উদ্ধার করে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ।
তবে অনুসন্ধান শেষে ঘটনাটি মোর নেয় নতুন রুপে।
দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ জানায় এ হত্যাকাণ্ডে আটককৃত আসামি উম্মে সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান জরিত নয়।
অনুসন্ধানে জানা যায় এই হত্যাকাণ্ডের মুল আসামি ঐ বাসার ৪ তলার ভাড়াটিয়া মাবিয়া(৫০) ও তার সাথে জরিয়ে ছিলো তারই ঘনিষ্ঠ মুসলিম ও সুমন নামের দুই যবক। এবং যেমনটি জানা যায় ঐ বাসায় থাকা ওয়াই-ফাই রাউটার ও একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই তদন্তের মুল রহস্য উদঘাটন করেছে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ ও জেলার গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি। এ ঘটনায় জরিত মুল আসামি মাবিয়া এবং জড়িত থাকা দুই যুবক মুসলিম ও সুমনকে গ্রেফতার করেছে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ।
পুলিশ জানান, জড়িত মুল আসামি মাবিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ বাড়িভাড়া দিতে অনিয়ম করে যাচ্ছিলো। এবং আসামি মাবিয়া অনৈতিক কাজে জড়িত ছিলো। এ ঘটনা গৃহবধু উম্মে সালমা জানতে পারে এবং মাবিয়াকে শতর্ক করে। পরে উম্মা সালমার উপর ক্ষুব্ধ হয় আসামি মাবিয়া। এই ক্ষোভ প্রকাশ করতে আসামি মাবিয়া তারই ঘনিষ্ঠ দুই ব্যাক্তি মুসলিম ও সুমনের সাহায্য নিয়ে গৃহবধু উম্মে সালমাকে হত্যা করা হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ জানান, জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত গুলা উদ্ধার করা হয়েছে। এবং বাকি আলামত গুলো উদ্ধারের জন্য আসামিদেরকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বাকি আলামতগুলো সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।