ঢাকা ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo ‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’ Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার

এবার সোহরাওয়ার্দীতে সাদপন্থিদের মহাসমাবেশের ডাক

এবার সোহরাওয়ার্দীতে সাদপন্থিদের মহাসমাবেশের ডাক

তাবলিগ জামাতের একাংশ দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। আগামী ৭ ডিসেম্বর এ মহাসমাবেশ করবেন তারা। এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বড় জমায়েত নিয়ে কাকরাইল মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন মাওলানা সাদপন্থিরা।

এর আগে ৫ নভেম্বর তাবলিগের অপর অংশ জুবায়েরপন্থিরা সোহরাওয়ার্দীতে মহাসমাবেশ করেন। আসন্ন ইজতেমায় ভারতের মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করা হলে তাকে ঠেকানো হবে বলে ঘোষণা দেন জুবায়েরপন্থী তাবলিগ জামাতের নেতা ও কওমিপন্থী আলেম-ওলামারা। এর পর থেকেই মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নামাজ শুরু হয়ে সাড়ে ১২টায় শেষ হয়। দুপুরে কাকরাইল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই সাদপন্থিরা মসজিদ এলাকায় আসতে শুরু করে। আস্তে আস্তে তাদের জমায়েত অনেক বড় হয়। জুমার নামাজের হাজার হাজার লোকে পরিপূর্ণ হয়ে যায় কাকরাইল এলাকা। অনেককে রাস্তায় নামাজ পড়তে দেখা গেছে। প্রধান সড়ক পার হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ছাড়িয়ে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে জুম্মা আদায় করেন মুসল্লিরা। নিরাপত্তার স্বার্থে কাকরাইল মসজিদের পাশে, রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাকরাইল মসজিদকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রণণ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সম্প্রতি কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গী ইজতেমা ময়দানকে দখল করার বিষয়কে কেন্দ্র করে তাবলিগের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্রতর হচ্ছে। দুই গ্রুপই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে। সাদপন্থিরা জানিয়েছিলেন, তাদের অবস্থানে যদি কেউ বাধা দেয় ও কোনো ঝামেলা হয়। এর দায়ভার যুবায়েরপন্থিদের নিতে হবে।

নিয়ম অনুযায়ী সাদপন্থিদের শুক্রবার কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের কথা থাকলে গেল কয়েকদিন আগে যুবায়েরপন্থিরা সংবাদ সম্মেলন করে জানান, কাকরাইল মসজিদ শুধুমাত্র মূল ধারার তাবলিগের জন্য। যদিও এই কথাকে মাওলানা সাদের অনুসারীরা মনে করছেন জুবায়েরপন্থিরা তাদের মসজিদে অবস্থান করতে বাধা দেবেন।

এই কথা বিবেচনা করে মাওলানা সাদপন্থিরা জুমার নামাজ আদায় করা এবং আগামী দুই সপ্তাহের জন্য কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের জন্য বড় ধরনের জমায়েত করেন।

যদিও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাকরাইল মসজিদে নির্ধারিত অবস্থানের সময় শেষ হওয়ায় মাওলানা যুবায়েরের অনুসারীরা সকালে মসজিদের অবস্থান থেকে সরে যায়। দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো ধরনের ঝামেলা না হয় সেই কারণে নামাজ শেষে সাদপন্থিদের কাকরাইল এলাকায় আসা-যাওয়ার পথে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনুসারীদের চলতি পথে সেসব নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। সেই নির্দেশনা মেনেই অনুসারীরা কাকরাইল ছেড়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

এবার সোহরাওয়ার্দীতে সাদপন্থিদের মহাসমাবেশের ডাক

আপডেট সময় ১০:০৭:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

তাবলিগ জামাতের একাংশ দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। আগামী ৭ ডিসেম্বর এ মহাসমাবেশ করবেন তারা। এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বড় জমায়েত নিয়ে কাকরাইল মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন মাওলানা সাদপন্থিরা।

এর আগে ৫ নভেম্বর তাবলিগের অপর অংশ জুবায়েরপন্থিরা সোহরাওয়ার্দীতে মহাসমাবেশ করেন। আসন্ন ইজতেমায় ভারতের মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করা হলে তাকে ঠেকানো হবে বলে ঘোষণা দেন জুবায়েরপন্থী তাবলিগ জামাতের নেতা ও কওমিপন্থী আলেম-ওলামারা। এর পর থেকেই মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নামাজ শুরু হয়ে সাড়ে ১২টায় শেষ হয়। দুপুরে কাকরাইল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই সাদপন্থিরা মসজিদ এলাকায় আসতে শুরু করে। আস্তে আস্তে তাদের জমায়েত অনেক বড় হয়। জুমার নামাজের হাজার হাজার লোকে পরিপূর্ণ হয়ে যায় কাকরাইল এলাকা। অনেককে রাস্তায় নামাজ পড়তে দেখা গেছে। প্রধান সড়ক পার হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ছাড়িয়ে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে জুম্মা আদায় করেন মুসল্লিরা। নিরাপত্তার স্বার্থে কাকরাইল মসজিদের পাশে, রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাকরাইল মসজিদকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রণণ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সম্প্রতি কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গী ইজতেমা ময়দানকে দখল করার বিষয়কে কেন্দ্র করে তাবলিগের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্রতর হচ্ছে। দুই গ্রুপই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে। সাদপন্থিরা জানিয়েছিলেন, তাদের অবস্থানে যদি কেউ বাধা দেয় ও কোনো ঝামেলা হয়। এর দায়ভার যুবায়েরপন্থিদের নিতে হবে।

নিয়ম অনুযায়ী সাদপন্থিদের শুক্রবার কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের কথা থাকলে গেল কয়েকদিন আগে যুবায়েরপন্থিরা সংবাদ সম্মেলন করে জানান, কাকরাইল মসজিদ শুধুমাত্র মূল ধারার তাবলিগের জন্য। যদিও এই কথাকে মাওলানা সাদের অনুসারীরা মনে করছেন জুবায়েরপন্থিরা তাদের মসজিদে অবস্থান করতে বাধা দেবেন।

এই কথা বিবেচনা করে মাওলানা সাদপন্থিরা জুমার নামাজ আদায় করা এবং আগামী দুই সপ্তাহের জন্য কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের জন্য বড় ধরনের জমায়েত করেন।

যদিও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাকরাইল মসজিদে নির্ধারিত অবস্থানের সময় শেষ হওয়ায় মাওলানা যুবায়েরের অনুসারীরা সকালে মসজিদের অবস্থান থেকে সরে যায়। দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো ধরনের ঝামেলা না হয় সেই কারণে নামাজ শেষে সাদপন্থিদের কাকরাইল এলাকায় আসা-যাওয়ার পথে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনুসারীদের চলতি পথে সেসব নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। সেই নির্দেশনা মেনেই অনুসারীরা কাকরাইল ছেড়েছেন।