ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মৌলভীবাজারে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্রজনতার পাশে শিবির Logo ১০০০ ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিকে সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র Logo কেরানীগঞ্জে আওয়ামী নেতা ইকবাল ও ছাত্রলীগ নেতা ইয়ামিন গ্রেপ্তার Logo পাকিস্তান ৩০০-৪০০ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে: ভারত Logo কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ‘আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রচার করছে’ Logo গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নোসক শিবিরের সহযোগিতা Logo এআই হ্যাকাথন ২০২৫: রুয়েটের ‘বুরাক’ টিমের চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন Logo আমিরাতে আইপিএলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, পিএসএল পেল অগ্রাধিকার Logo আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

এবার সোহরাওয়ার্দীতে সাদপন্থিদের মহাসমাবেশের ডাক

এবার সোহরাওয়ার্দীতে সাদপন্থিদের মহাসমাবেশের ডাক

তাবলিগ জামাতের একাংশ দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। আগামী ৭ ডিসেম্বর এ মহাসমাবেশ করবেন তারা। এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বড় জমায়েত নিয়ে কাকরাইল মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন মাওলানা সাদপন্থিরা।

এর আগে ৫ নভেম্বর তাবলিগের অপর অংশ জুবায়েরপন্থিরা সোহরাওয়ার্দীতে মহাসমাবেশ করেন। আসন্ন ইজতেমায় ভারতের মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করা হলে তাকে ঠেকানো হবে বলে ঘোষণা দেন জুবায়েরপন্থী তাবলিগ জামাতের নেতা ও কওমিপন্থী আলেম-ওলামারা। এর পর থেকেই মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নামাজ শুরু হয়ে সাড়ে ১২টায় শেষ হয়। দুপুরে কাকরাইল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই সাদপন্থিরা মসজিদ এলাকায় আসতে শুরু করে। আস্তে আস্তে তাদের জমায়েত অনেক বড় হয়। জুমার নামাজের হাজার হাজার লোকে পরিপূর্ণ হয়ে যায় কাকরাইল এলাকা। অনেককে রাস্তায় নামাজ পড়তে দেখা গেছে। প্রধান সড়ক পার হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ছাড়িয়ে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে জুম্মা আদায় করেন মুসল্লিরা। নিরাপত্তার স্বার্থে কাকরাইল মসজিদের পাশে, রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাকরাইল মসজিদকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রণণ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সম্প্রতি কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গী ইজতেমা ময়দানকে দখল করার বিষয়কে কেন্দ্র করে তাবলিগের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্রতর হচ্ছে। দুই গ্রুপই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে। সাদপন্থিরা জানিয়েছিলেন, তাদের অবস্থানে যদি কেউ বাধা দেয় ও কোনো ঝামেলা হয়। এর দায়ভার যুবায়েরপন্থিদের নিতে হবে।

নিয়ম অনুযায়ী সাদপন্থিদের শুক্রবার কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের কথা থাকলে গেল কয়েকদিন আগে যুবায়েরপন্থিরা সংবাদ সম্মেলন করে জানান, কাকরাইল মসজিদ শুধুমাত্র মূল ধারার তাবলিগের জন্য। যদিও এই কথাকে মাওলানা সাদের অনুসারীরা মনে করছেন জুবায়েরপন্থিরা তাদের মসজিদে অবস্থান করতে বাধা দেবেন।

এই কথা বিবেচনা করে মাওলানা সাদপন্থিরা জুমার নামাজ আদায় করা এবং আগামী দুই সপ্তাহের জন্য কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের জন্য বড় ধরনের জমায়েত করেন।

যদিও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাকরাইল মসজিদে নির্ধারিত অবস্থানের সময় শেষ হওয়ায় মাওলানা যুবায়েরের অনুসারীরা সকালে মসজিদের অবস্থান থেকে সরে যায়। দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো ধরনের ঝামেলা না হয় সেই কারণে নামাজ শেষে সাদপন্থিদের কাকরাইল এলাকায় আসা-যাওয়ার পথে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনুসারীদের চলতি পথে সেসব নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। সেই নির্দেশনা মেনেই অনুসারীরা কাকরাইল ছেড়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মৌলভীবাজারে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্রজনতার পাশে শিবির

এবার সোহরাওয়ার্দীতে সাদপন্থিদের মহাসমাবেশের ডাক

আপডেট সময় ১০:০৭:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

তাবলিগ জামাতের একাংশ দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। আগামী ৭ ডিসেম্বর এ মহাসমাবেশ করবেন তারা। এর আগে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বড় জমায়েত নিয়ে কাকরাইল মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন মাওলানা সাদপন্থিরা।

এর আগে ৫ নভেম্বর তাবলিগের অপর অংশ জুবায়েরপন্থিরা সোহরাওয়ার্দীতে মহাসমাবেশ করেন। আসন্ন ইজতেমায় ভারতের মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করা হলে তাকে ঠেকানো হবে বলে ঘোষণা দেন জুবায়েরপন্থী তাবলিগ জামাতের নেতা ও কওমিপন্থী আলেম-ওলামারা। এর পর থেকেই মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থিদের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নামাজ শুরু হয়ে সাড়ে ১২টায় শেষ হয়। দুপুরে কাকরাইল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই সাদপন্থিরা মসজিদ এলাকায় আসতে শুরু করে। আস্তে আস্তে তাদের জমায়েত অনেক বড় হয়। জুমার নামাজের হাজার হাজার লোকে পরিপূর্ণ হয়ে যায় কাকরাইল এলাকা। অনেককে রাস্তায় নামাজ পড়তে দেখা গেছে। প্রধান সড়ক পার হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ছাড়িয়ে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে জুম্মা আদায় করেন মুসল্লিরা। নিরাপত্তার স্বার্থে কাকরাইল মসজিদের পাশে, রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাকরাইল মসজিদকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রণণ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সম্প্রতি কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গী ইজতেমা ময়দানকে দখল করার বিষয়কে কেন্দ্র করে তাবলিগের দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্রতর হচ্ছে। দুই গ্রুপই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে। সাদপন্থিরা জানিয়েছিলেন, তাদের অবস্থানে যদি কেউ বাধা দেয় ও কোনো ঝামেলা হয়। এর দায়ভার যুবায়েরপন্থিদের নিতে হবে।

নিয়ম অনুযায়ী সাদপন্থিদের শুক্রবার কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের কথা থাকলে গেল কয়েকদিন আগে যুবায়েরপন্থিরা সংবাদ সম্মেলন করে জানান, কাকরাইল মসজিদ শুধুমাত্র মূল ধারার তাবলিগের জন্য। যদিও এই কথাকে মাওলানা সাদের অনুসারীরা মনে করছেন জুবায়েরপন্থিরা তাদের মসজিদে অবস্থান করতে বাধা দেবেন।

এই কথা বিবেচনা করে মাওলানা সাদপন্থিরা জুমার নামাজ আদায় করা এবং আগামী দুই সপ্তাহের জন্য কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের জন্য বড় ধরনের জমায়েত করেন।

যদিও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাকরাইল মসজিদে নির্ধারিত অবস্থানের সময় শেষ হওয়ায় মাওলানা যুবায়েরের অনুসারীরা সকালে মসজিদের অবস্থান থেকে সরে যায়। দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো ধরনের ঝামেলা না হয় সেই কারণে নামাজ শেষে সাদপন্থিদের কাকরাইল এলাকায় আসা-যাওয়ার পথে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনুসারীদের চলতি পথে সেসব নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। সেই নির্দেশনা মেনেই অনুসারীরা কাকরাইল ছেড়েছেন।