ঢাকা ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান Logo মোটরসাইকেল জব্দ করায় থানায় হামলা, ছাত্রদলের ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Logo নোবিপ্রবিতে ভর্তিচ্ছু সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে ছাত্রদল Logo আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মৌলভীবাজারে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ Logo জুমার পর সবাইকে আন্দোলন মঞ্চে আসার ডাক হাসনাত আবদুল্লাহর Logo ‘৯ মাসেও গণহত্যাকারী দল নিষিদ্ধ হলো না কেন’প্রশ্ন সাদিক কায়েমর Logo যমুনার সামনে রাতে শিবির মাঠে নামায় পাল্টে যায় দৃশ্যপট Logo সকালেও বিক্ষোভ চলছে যমুনার সামনে Logo স্ক্রিনশট স্ক্যান করেই লোকেশন খুঁজে দেবে গুগল ম্যাপ Logo ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’:যুক্তরাষ্ট্র

শাজাহানপুরে জোড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের অনিয়ম,ব্যবস্থা নিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৮:১১:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • 319

বগুড়া শাজাহানপুরে জোড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এইচ এম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের প্রতিবাদ ও অপসারণের দাবিতে  আট দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।

গত বুধবার ৬ নভেম্বর দুপুর ১২ ঘটিকায়  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, জোড়া নজমুল উলুম কামিল (মাস্টার্স) মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ এ এইচ এম শহিদুল ইসলাম এবং সাবেক সভাপতি স্বৈরাচারের দোসর চাঁদাবাজ ইনসান আলী কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতি হয়ে আসছে।

দুর্নীতি এবং অনিয়মের মাঝে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে মাদ্রাসার সম্পদ বিক্রি, ভুয়া এনটিআরসি সার্টিফিকেট দ্বারা চাকুরী প্রদান, মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অনুদানের টাকা আত্মসাৎ এবং শিক্ষকদের প্রাপ্য টিউশন ফি আত্মত্মসাৎ ও সংস্কারের নামে মাদ্রাসার বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করা সহ নিয়োগ বাণিজ্যের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া অন্যতম। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় সবাই মুখ বন্ধ করে থাকলেও মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার।

শিক্ষার্থীরা ৮ দফা দাবি  হলো:

১। দুর্নীতিমুক্ত মাদ্রাসা চাই, বিগত ৫ বছরের আয় ও ব্যায়ের হিসাব দিতে হবে।

২। করনাকালীন সময়ে সরকার প্রদেয় প্রণোদনার পাঁচ লক্ষ টাকার শিক্ষার্থী অংশের টাকা আত্মসাৎ এর তদন্ত চাই।

৩। মাদ্রাসার ৩০০ বিঘা সম্পদের এখন কত বিঘা অবশিষ্ট আছে জানাতে হবে এবং বার্ষিক আয় ব্যায়ের হিসাব প্রদান করতে হবে।

৪। ব্যক্তিগত স্বার্থে ছাত্রাবাসকে কে,জি, স্কুল হিসেবে ব্যবহার করার কারণে ছাত্রদের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিধায় কেজি ভুলকে স্থানান্তর করে ছাত্রাবাসকে বসবাসের উপযোগী ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৫। লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত বই ও পড়াশোনার পরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে। মাদরাসায় ছাত্র সংসদ গঠন ও মানসম্মত ক্যান্টিন স্থাপন করতে হবে।

৬। অনৈতিক কার্যকলাপ রোধে মেয়েদের কমনরুমের পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ছত্রীদের নামাজের সু-ব্যবস্থা এবং ভাঙ্গাচুরা বাথরুম মেরামত ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে।

৭। ক্লাস চলাকালীন সময়ে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৮। এগুলো দাবি বাস্তবায় করতে না পারলে অধ্যক্ষের পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে গত ৩ নভেম্বর  অধ্যক্ষের পদত্যগের দাবীতে মানববন্ধন করলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) এডিসি আব্দুল করিম দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও এখনো তদন্ত শুরু না করায় ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান

শাজাহানপুরে জোড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের অনিয়ম,ব্যবস্থা নিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

আপডেট সময় ০৮:১১:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

বগুড়া শাজাহানপুরে জোড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এইচ এম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের প্রতিবাদ ও অপসারণের দাবিতে  আট দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা।

গত বুধবার ৬ নভেম্বর দুপুর ১২ ঘটিকায়  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, জোড়া নজমুল উলুম কামিল (মাস্টার্স) মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ এ এইচ এম শহিদুল ইসলাম এবং সাবেক সভাপতি স্বৈরাচারের দোসর চাঁদাবাজ ইনসান আলী কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতি হয়ে আসছে।

দুর্নীতি এবং অনিয়মের মাঝে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে মাদ্রাসার সম্পদ বিক্রি, ভুয়া এনটিআরসি সার্টিফিকেট দ্বারা চাকুরী প্রদান, মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অনুদানের টাকা আত্মসাৎ এবং শিক্ষকদের প্রাপ্য টিউশন ফি আত্মত্মসাৎ ও সংস্কারের নামে মাদ্রাসার বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করা সহ নিয়োগ বাণিজ্যের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া অন্যতম। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় সবাই মুখ বন্ধ করে থাকলেও মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার।

শিক্ষার্থীরা ৮ দফা দাবি  হলো:

১। দুর্নীতিমুক্ত মাদ্রাসা চাই, বিগত ৫ বছরের আয় ও ব্যায়ের হিসাব দিতে হবে।

২। করনাকালীন সময়ে সরকার প্রদেয় প্রণোদনার পাঁচ লক্ষ টাকার শিক্ষার্থী অংশের টাকা আত্মসাৎ এর তদন্ত চাই।

৩। মাদ্রাসার ৩০০ বিঘা সম্পদের এখন কত বিঘা অবশিষ্ট আছে জানাতে হবে এবং বার্ষিক আয় ব্যায়ের হিসাব প্রদান করতে হবে।

৪। ব্যক্তিগত স্বার্থে ছাত্রাবাসকে কে,জি, স্কুল হিসেবে ব্যবহার করার কারণে ছাত্রদের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিধায় কেজি ভুলকে স্থানান্তর করে ছাত্রাবাসকে বসবাসের উপযোগী ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৫। লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত বই ও পড়াশোনার পরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে। মাদরাসায় ছাত্র সংসদ গঠন ও মানসম্মত ক্যান্টিন স্থাপন করতে হবে।

৬। অনৈতিক কার্যকলাপ রোধে মেয়েদের কমনরুমের পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ছত্রীদের নামাজের সু-ব্যবস্থা এবং ভাঙ্গাচুরা বাথরুম মেরামত ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে।

৭। ক্লাস চলাকালীন সময়ে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৮। এগুলো দাবি বাস্তবায় করতে না পারলে অধ্যক্ষের পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে গত ৩ নভেম্বর  অধ্যক্ষের পদত্যগের দাবীতে মানববন্ধন করলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) এডিসি আব্দুল করিম দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও এখনো তদন্ত শুরু না করায় ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।