ঢাকা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!

বগুড়ায় কাহালু উপজেলায় নিজ মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর মায়েন আত্মহত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ভেপুইল গ্রামে এ ঘটনা টি ঘটে।

জানা যায়, ৪ বছরের কন্যা সন্তান মুশফিকাকে গামছা দিয়ে মুখ বেধে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর তার মা জুলেখা খাতুন (২৫) গলায় ওরনা পেচিয়ে ঘরের তীরের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

এলাকাবাসী জানান, জুলেখার স্বামী আব্দুল মমিন প্রতিদিনের ন্যায় আজ সকালেও ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। দুপুরে মোবাইল ফোনে স্ত্রীকে না পেয়ে প্রতিবেশীদের জানালে তারা বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ পায়। ডাকাডাকির এক পর্যায়ে জানালায় উঁকি দিলে জুলেখার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় এবং পাশেই বিছানায় শিশু মুশফিকার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এবং নিকটস্থ কাহালু থানায় খরব দেন।

জুলেখার স্বামী আব্দুল মোমিন জানান, তার স্ত্রী জুলেখার অতিরিক্ত রাগ ছিলো। সে প্রতিনিয়ত তার সন্তানকে শাসন করতো।

এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বগুড়া জেলার সহকারী পুলিশ সুপার ( নন্দীগ্রাম সার্কেল) ওমর আলী, এবং কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান শাহীন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান শাহীন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ দুইটি ময়না তদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এবং এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খুব দ্রুত তদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দোকানে সিগারেট থাকায় দোকানদারকে ছুরিকাঘাত করে ছাত্রদল নেতা

বগুড়ায় সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!

আপডেট সময় ০৮:০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

বগুড়ায় কাহালু উপজেলায় নিজ মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর মায়েন আত্মহত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ভেপুইল গ্রামে এ ঘটনা টি ঘটে।

জানা যায়, ৪ বছরের কন্যা সন্তান মুশফিকাকে গামছা দিয়ে মুখ বেধে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর তার মা জুলেখা খাতুন (২৫) গলায় ওরনা পেচিয়ে ঘরের তীরের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

এলাকাবাসী জানান, জুলেখার স্বামী আব্দুল মমিন প্রতিদিনের ন্যায় আজ সকালেও ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। দুপুরে মোবাইল ফোনে স্ত্রীকে না পেয়ে প্রতিবেশীদের জানালে তারা বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ পায়। ডাকাডাকির এক পর্যায়ে জানালায় উঁকি দিলে জুলেখার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় এবং পাশেই বিছানায় শিশু মুশফিকার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এবং নিকটস্থ কাহালু থানায় খরব দেন।

জুলেখার স্বামী আব্দুল মোমিন জানান, তার স্ত্রী জুলেখার অতিরিক্ত রাগ ছিলো। সে প্রতিনিয়ত তার সন্তানকে শাসন করতো।

এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বগুড়া জেলার সহকারী পুলিশ সুপার ( নন্দীগ্রাম সার্কেল) ওমর আলী, এবং কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান শাহীন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান শাহীন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ দুইটি ময়না তদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এবং এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খুব দ্রুত তদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হবে।