ঢাকা ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক নিশ্চিত করা সরকারের বড় সাফল্য: প্রেস সচিব Logo সিরাজগঞ্জে ৫০০ পরিবার পেল দোস্ত এইডের খাদ্য সামগ্রী Logo ফের নাফ নদী থেকে ট্রলারসহ ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি Logo ডাকসু নির্বাচনে বাধা এলে সবাইকে ডেকে সবকিছু বলে দেব: ঢাবি উপাচার্য Logo কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলাতে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে বাসভবনে যাবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী Logo বিধিমালা ভঙ্গের পরও হামীমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন: বাকের Logo জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে: জি কে গউছ Logo মুন্সীগঞ্জে ছাত্রশিবিরের “A+ সংবর্ধনা” অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্দীপনা Logo এখন জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হওয়ার স্বপ্ন দেখছে: নুর

হিজাব না পরলে দেওয়া হবে ‘মানসিক চিকিৎসা’

হিজাব আইন অমান্যকারীদের জন্য ‘ক্লিনিক’ খোলার পরিকল্পনা করছে ইরান। দেশটির আইন অনুযায়ী সব নারীর হিজাব পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যারা হিজাব পরেন না তাদের ‘মানসিক সমস্যা’ রয়েছে বলে মনে করে দেশটির সরকার। আর তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য খোলা হচ্ছে ক্লিনিক।

ইরানের নারী ও পরিবার বিভাগের নীতি ও অনৈতিকতা প্রতিরোধী হেডকোয়ার্টারের প্রধান মেহরি তালেবি এই ক্লিনিক খোলার ঘোষণা দেন। তিনি জানিয়েছেন, যারা হিজাব পরেন না তাদের এই ক্লিনিকে ‘বৈজ্ঞানিক এবং মানসিক’ চিকিৎসা দেওয়া হবে।

তবে বিশেষ এই চিকিৎসা কেন্দ্র খোলার ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইরানে নারী ও মানবাধিকার অধিকার সংস্থাগুলো।

ইরানি মানবাধিকারকর্মী আইনজীবী হোসেন রাইসি বলেছেন, হিজাব আইন ভঙ্গকারীদের জন্য যে ক্লিনিক খোলার কথা বলা হচ্ছে এটি ‘ইসলামিকও না আবার ইরানের আইনের সঙ্গেও যায় না।’ তিনি আরও বলেছেন, যে বিভাগ থেকে এই ঘোষণা এসেছে তা সব নারীর জন্য সতর্কতামূলক। কারণ এই বিভাগটি সরাসরি প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অধীনে পরিচালিত হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী বলেছেন, “এটি কোনো চিকিৎসা কেন্দ্র হবে না। এটি আসলে হবে কারাগার। আমরা আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি, সঙ্গে ঠিক মতো বিদ্যুৎও পাচ্ছি না। কিন্তু সেখানে রাষ্ট্র একটি কাপড়েরর টুকরার (হিজাব) জন্য চিন্তিত। যদি আমাদের আন্দোলন শুরু করতে হয় তাহলে এখনই সবাইকে রাস্তায় আসতে হবে। নয়ত আমাদের সবার জায়গা হবে কারাগারে।”

দুই সপ্তাহ আগে ইরানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অন্তর্বাস বাদে শরীরের সব কাপড় খুলে ফেলেন। তিনি অভিযোগ করেন ঠিক মতো হিজাব না পরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ডরা তাকে হেনস্তা করেন। এর প্রতিবাদে তিনি কাপড় খুলে প্রকাশ্যে হাঁটাহাঁটি করতে থাকেন।

ওই শিক্ষার্থীকে পরবর্তীতে একটি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। তবে তার আগে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০ শতাংশ শুল্ক নিশ্চিত করা সরকারের বড় সাফল্য: প্রেস সচিব

হিজাব না পরলে দেওয়া হবে ‘মানসিক চিকিৎসা’

আপডেট সময় ০৫:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

হিজাব আইন অমান্যকারীদের জন্য ‘ক্লিনিক’ খোলার পরিকল্পনা করছে ইরান। দেশটির আইন অনুযায়ী সব নারীর হিজাব পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যারা হিজাব পরেন না তাদের ‘মানসিক সমস্যা’ রয়েছে বলে মনে করে দেশটির সরকার। আর তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য খোলা হচ্ছে ক্লিনিক।

ইরানের নারী ও পরিবার বিভাগের নীতি ও অনৈতিকতা প্রতিরোধী হেডকোয়ার্টারের প্রধান মেহরি তালেবি এই ক্লিনিক খোলার ঘোষণা দেন। তিনি জানিয়েছেন, যারা হিজাব পরেন না তাদের এই ক্লিনিকে ‘বৈজ্ঞানিক এবং মানসিক’ চিকিৎসা দেওয়া হবে।

তবে বিশেষ এই চিকিৎসা কেন্দ্র খোলার ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইরানে নারী ও মানবাধিকার অধিকার সংস্থাগুলো।

ইরানি মানবাধিকারকর্মী আইনজীবী হোসেন রাইসি বলেছেন, হিজাব আইন ভঙ্গকারীদের জন্য যে ক্লিনিক খোলার কথা বলা হচ্ছে এটি ‘ইসলামিকও না আবার ইরানের আইনের সঙ্গেও যায় না।’ তিনি আরও বলেছেন, যে বিভাগ থেকে এই ঘোষণা এসেছে তা সব নারীর জন্য সতর্কতামূলক। কারণ এই বিভাগটি সরাসরি প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অধীনে পরিচালিত হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী বলেছেন, “এটি কোনো চিকিৎসা কেন্দ্র হবে না। এটি আসলে হবে কারাগার। আমরা আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি, সঙ্গে ঠিক মতো বিদ্যুৎও পাচ্ছি না। কিন্তু সেখানে রাষ্ট্র একটি কাপড়েরর টুকরার (হিজাব) জন্য চিন্তিত। যদি আমাদের আন্দোলন শুরু করতে হয় তাহলে এখনই সবাইকে রাস্তায় আসতে হবে। নয়ত আমাদের সবার জায়গা হবে কারাগারে।”

দুই সপ্তাহ আগে ইরানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অন্তর্বাস বাদে শরীরের সব কাপড় খুলে ফেলেন। তিনি অভিযোগ করেন ঠিক মতো হিজাব না পরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ডরা তাকে হেনস্তা করেন। এর প্রতিবাদে তিনি কাপড় খুলে প্রকাশ্যে হাঁটাহাঁটি করতে থাকেন।

ওই শিক্ষার্থীকে পরবর্তীতে একটি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। তবে তার আগে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।