ঢাকা ০৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সুন্দরবনে বিএনপি’র কমিটিতে আওয়ামী লীগের কর্মীদের নাম Logo বাংলাদেশে ঢুকে আম গাছ কাটল বিএসএফ, সীমান্তে উত্তেজনা Logo দেশের মানুষ চায় তরুণরা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করুক: সারজিস Logo ইডেন কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo বিএনপির ভাবনায় শুধুই ভোট Logo ‘লাল সন্ত্রাস’চায় ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন নেতা, মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo শীত নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস Logo ইসরায়েলের পূর্ণ মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতি অনুমোদন, কার্যকরের দিন ঘোষণা Logo বিএনপির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিলেন ছাত্রহত্যা আসামি শ্রমিকলীগ নেতা, খুঁজে পায় না পুলিশ Logo বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতের লড়াই চালু থাকবে : জামায়াতের আমীর

হিজাব না পরলে দেওয়া হবে ‘মানসিক চিকিৎসা’

হিজাব আইন অমান্যকারীদের জন্য ‘ক্লিনিক’ খোলার পরিকল্পনা করছে ইরান। দেশটির আইন অনুযায়ী সব নারীর হিজাব পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যারা হিজাব পরেন না তাদের ‘মানসিক সমস্যা’ রয়েছে বলে মনে করে দেশটির সরকার। আর তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য খোলা হচ্ছে ক্লিনিক।

ইরানের নারী ও পরিবার বিভাগের নীতি ও অনৈতিকতা প্রতিরোধী হেডকোয়ার্টারের প্রধান মেহরি তালেবি এই ক্লিনিক খোলার ঘোষণা দেন। তিনি জানিয়েছেন, যারা হিজাব পরেন না তাদের এই ক্লিনিকে ‘বৈজ্ঞানিক এবং মানসিক’ চিকিৎসা দেওয়া হবে।

তবে বিশেষ এই চিকিৎসা কেন্দ্র খোলার ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইরানে নারী ও মানবাধিকার অধিকার সংস্থাগুলো।

ইরানি মানবাধিকারকর্মী আইনজীবী হোসেন রাইসি বলেছেন, হিজাব আইন ভঙ্গকারীদের জন্য যে ক্লিনিক খোলার কথা বলা হচ্ছে এটি ‘ইসলামিকও না আবার ইরানের আইনের সঙ্গেও যায় না।’ তিনি আরও বলেছেন, যে বিভাগ থেকে এই ঘোষণা এসেছে তা সব নারীর জন্য সতর্কতামূলক। কারণ এই বিভাগটি সরাসরি প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অধীনে পরিচালিত হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী বলেছেন, “এটি কোনো চিকিৎসা কেন্দ্র হবে না। এটি আসলে হবে কারাগার। আমরা আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি, সঙ্গে ঠিক মতো বিদ্যুৎও পাচ্ছি না। কিন্তু সেখানে রাষ্ট্র একটি কাপড়েরর টুকরার (হিজাব) জন্য চিন্তিত। যদি আমাদের আন্দোলন শুরু করতে হয় তাহলে এখনই সবাইকে রাস্তায় আসতে হবে। নয়ত আমাদের সবার জায়গা হবে কারাগারে।”

দুই সপ্তাহ আগে ইরানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অন্তর্বাস বাদে শরীরের সব কাপড় খুলে ফেলেন। তিনি অভিযোগ করেন ঠিক মতো হিজাব না পরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ডরা তাকে হেনস্তা করেন। এর প্রতিবাদে তিনি কাপড় খুলে প্রকাশ্যে হাঁটাহাঁটি করতে থাকেন।

ওই শিক্ষার্থীকে পরবর্তীতে একটি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। তবে তার আগে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দরবনে বিএনপি’র কমিটিতে আওয়ামী লীগের কর্মীদের নাম

হিজাব না পরলে দেওয়া হবে ‘মানসিক চিকিৎসা’

আপডেট সময় ০৫:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

হিজাব আইন অমান্যকারীদের জন্য ‘ক্লিনিক’ খোলার পরিকল্পনা করছে ইরান। দেশটির আইন অনুযায়ী সব নারীর হিজাব পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যারা হিজাব পরেন না তাদের ‘মানসিক সমস্যা’ রয়েছে বলে মনে করে দেশটির সরকার। আর তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য খোলা হচ্ছে ক্লিনিক।

ইরানের নারী ও পরিবার বিভাগের নীতি ও অনৈতিকতা প্রতিরোধী হেডকোয়ার্টারের প্রধান মেহরি তালেবি এই ক্লিনিক খোলার ঘোষণা দেন। তিনি জানিয়েছেন, যারা হিজাব পরেন না তাদের এই ক্লিনিকে ‘বৈজ্ঞানিক এবং মানসিক’ চিকিৎসা দেওয়া হবে।

তবে বিশেষ এই চিকিৎসা কেন্দ্র খোলার ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইরানে নারী ও মানবাধিকার অধিকার সংস্থাগুলো।

ইরানি মানবাধিকারকর্মী আইনজীবী হোসেন রাইসি বলেছেন, হিজাব আইন ভঙ্গকারীদের জন্য যে ক্লিনিক খোলার কথা বলা হচ্ছে এটি ‘ইসলামিকও না আবার ইরানের আইনের সঙ্গেও যায় না।’ তিনি আরও বলেছেন, যে বিভাগ থেকে এই ঘোষণা এসেছে তা সব নারীর জন্য সতর্কতামূলক। কারণ এই বিভাগটি সরাসরি প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অধীনে পরিচালিত হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী বলেছেন, “এটি কোনো চিকিৎসা কেন্দ্র হবে না। এটি আসলে হবে কারাগার। আমরা আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি, সঙ্গে ঠিক মতো বিদ্যুৎও পাচ্ছি না। কিন্তু সেখানে রাষ্ট্র একটি কাপড়েরর টুকরার (হিজাব) জন্য চিন্তিত। যদি আমাদের আন্দোলন শুরু করতে হয় তাহলে এখনই সবাইকে রাস্তায় আসতে হবে। নয়ত আমাদের সবার জায়গা হবে কারাগারে।”

দুই সপ্তাহ আগে ইরানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অন্তর্বাস বাদে শরীরের সব কাপড় খুলে ফেলেন। তিনি অভিযোগ করেন ঠিক মতো হিজাব না পরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ডরা তাকে হেনস্তা করেন। এর প্রতিবাদে তিনি কাপড় খুলে প্রকাশ্যে হাঁটাহাঁটি করতে থাকেন।

ওই শিক্ষার্থীকে পরবর্তীতে একটি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। তবে তার আগে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।