ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘নির্বাচনী চাপ’ দিতে ১০ সাংগঠনিক বিভাগে সমাবেশ করতে পারে বিএনপি

বিএনপি

‘নির্বাচনী চাপ’ দিতে দশ সাংগঠনিক বিভাগে সমাবেশ করতে পারে বিএনপি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আরো জোরালো করতে মূলত এই সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে দলটি। দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, এসব সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করা সম্ভব হবে।

গত সোমবার(নভেম্বর) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এ ছাড়া আগামী ১৬ ডিসেম্বরসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচিগুলোতে বড় ধরনের জমায়েত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।বৈঠকে জামায়াতের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য, নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ, অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ ২০২৪-এর খসড়া নীতিমালার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে কমিটির সদস্যরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকদের বৈঠক ডাকা হয়েছে।এই বৈঠকে সমাবেশের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হতে পারে।

বিএনপি নেতারা বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকের শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ ২০২৪ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় কমিটির একজন সদস্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বা অন্য কোনো উপদেষ্টার নিয়োগে কোনো ধরনের ত্রুটি থাকলে শুধু এ কারণে তাদের কোনো কাজ অবৈধ হবে না, এ সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না, এমনকি মামলাও করা যাবে না—এ বিষয়টি উত্থাপন করলে অন্য সদস্যরা তাঁদের মতামত দেন। কোনো কোনো সদস্য মনে করেন, সরকার তাদের সুরক্ষায় এ ধরনের বিধানই করবে তা অনুমেয়।

তবে অন্তর্বর্তী সরকারে কতজন উপদেষ্টা হবেন তা সুনির্দিষ্ট করে না বলায় কোনো কোনো সদস্য এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে ক্রমাগত চাপ তৈরি করতে পরামর্শ দেন কয়েকজন নেতা। অন্যরাও এ বিষয়ে একমত পোষণ করলে কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। সবার আলোচনার পর ১০ বিভাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা একজন নেতা বলেন, কিছুদিন পর পর উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।

এর উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে চায়। অর্থাৎ একটি সরকার দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে হলে যে ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারও তা-ই করছে বলে তাঁদের মনে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে বিএনপি মাঠের কর্মসূচি বাড়াবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ চালু করলো পাকিস্তান

‘নির্বাচনী চাপ’ দিতে ১০ সাংগঠনিক বিভাগে সমাবেশ করতে পারে বিএনপি

আপডেট সময় ০৮:৫৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

‘নির্বাচনী চাপ’ দিতে দশ সাংগঠনিক বিভাগে সমাবেশ করতে পারে বিএনপি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আরো জোরালো করতে মূলত এই সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে দলটি। দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, এসব সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করা সম্ভব হবে।

গত সোমবার(নভেম্বর) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এ ছাড়া আগামী ১৬ ডিসেম্বরসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচিগুলোতে বড় ধরনের জমায়েত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।বৈঠকে জামায়াতের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য, নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ, অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ ২০২৪-এর খসড়া নীতিমালার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে কমিটির সদস্যরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকদের বৈঠক ডাকা হয়েছে।এই বৈঠকে সমাবেশের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হতে পারে।

বিএনপি নেতারা বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকের শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ ২০২৪ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় কমিটির একজন সদস্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বা অন্য কোনো উপদেষ্টার নিয়োগে কোনো ধরনের ত্রুটি থাকলে শুধু এ কারণে তাদের কোনো কাজ অবৈধ হবে না, এ সম্পর্কে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না, এমনকি মামলাও করা যাবে না—এ বিষয়টি উত্থাপন করলে অন্য সদস্যরা তাঁদের মতামত দেন। কোনো কোনো সদস্য মনে করেন, সরকার তাদের সুরক্ষায় এ ধরনের বিধানই করবে তা অনুমেয়।

তবে অন্তর্বর্তী সরকারে কতজন উপদেষ্টা হবেন তা সুনির্দিষ্ট করে না বলায় কোনো কোনো সদস্য এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে ক্রমাগত চাপ তৈরি করতে পরামর্শ দেন কয়েকজন নেতা। অন্যরাও এ বিষয়ে একমত পোষণ করলে কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। সবার আলোচনার পর ১০ বিভাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা একজন নেতা বলেন, কিছুদিন পর পর উপদেষ্টার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।

এর উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে চায়। অর্থাৎ একটি সরকার দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে হলে যে ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারও তা-ই করছে বলে তাঁদের মনে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে বিএনপি মাঠের কর্মসূচি বাড়াবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।