ঢাকা ১১:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসিনাকে গ্রেপ্তারে চিঠি,ইন্টারপোলকে রেড অ্যালার্ট জারির অনুরোধ

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৮:২০:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • 22

আজকের প্রত্রিকা

আজকের প্রত্রিকা গুলোর প্রধান প্রধান খবর

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

হাসিনাকে গ্রেপ্তারে চিঠি,  ইন্টারপোলকে রেড অ্যালার্ট জারির অনুরোধ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির অনুরোধ জানিয়ে ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিস।

পুলিশের মহাপরিদর্শকের মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। গতকাল ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ইন্টারপোলকে অ্যাড্রেস করে চিঠিটি আইজিপির কাছে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর এটা ইন্টারপোলে পাঠাবে। তিনি বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) যেহেতু মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে অভিযুক্ত, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেন্ডিং আছে, কিন্তু বাংলাদেশের জুরিসডিকশনের বাইরে তিনি চলে গেছেন, সে কারণে আন্তর্জাতিক পুলিশিং সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোল যাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করার ব্যবস্থা নেয় এবং তাঁর ব্যাপারে অন্তত রেড অ্যালার্ট জারি করে, সে ব্যাপারে আমরা অনুরোধ পাঠিয়েছি।’ কীভাবে পাঠিয়েছেন-এমন প্রশ্নে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এটা কমিউনিকেট করার দায়িত্ব পুলিশের আইজির। আমরা সরাসরি লিখেছি ইন্টারপোলের কাছে। এটাই যাবে।’
এর আগে রবিবার পলাতকদের ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড নোটিস’ জারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ওইদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কারকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি। ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

প্রথম আলো:
টানেল ও মহাসড়কের টোলের বড় অংশ নিয়ে যায় ঠিকাদার
পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল—এই তিন অবকাঠামো নতুন; কিন্তু এগুলোর মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ে বিপুল ব্যয় ধরে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। আর ঠিকাদার কাজ পেয়েছে কোনো প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়া।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দরপত্র ছাড়া নিজেদের পছন্দে ঠিকাদার নিয়োগে লাভবান হয়েছে কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান। সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। লোকসান হয়েছে দেশের মানুষের। তাঁদের এখন ঋণের বোঝা টানতে হচ্ছে, অন্যদিকে চলাচলে খরচ পড়ছে বেশি। অবকাঠামোগুলো থেকে যে আয় হচ্ছে, তার বড় অংশ নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (এক্সপ্রেসওয়ে) টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানিকে দরপত্র ছাড়া কাজ দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। টোল আদায়ের জন্য তারা বছরে পাবে প্রায় ৯৬ কোটি টাকা। অথচ বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতুতে বছরে মাত্র ১২ কোটি টাকায় টোল আদায় করছে চীনা কোম্পানি। প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রে কাজ পেয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে যমুনা সেতুতে তারা টোল আদায় শুরু করে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় ও সেটির রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ পাঁচ বছরে কোরীয় প্রতিষ্ঠানটিকে দেবে ৭১৭ কোটি টাকা। চালুর পর এক্সপ্রেসওয়েটি থেকে এখন পর্যন্ত যে টোল আদায় হয়েছে, তার ৮০ শতাংশই চলে গেছে ঠিকাদারের পেছনে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যত কেনাকাটা ও ঠিকাদার নিয়োগের ঘটনা ঘটেছে, প্রায় সবই প্রশ্নবিদ্ধ। যোগসাজশের ব্যাপক অভিযোগ আছে। এসব চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে।

কালের কন্ঠ:

চাকরিচ্যুতি গুম নির্যাতনে জীবন তছনছ
‘সেনা কর্মকর্তাদের একটি তালিকা করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে পিলখানায় সহকর্মী সেনা কর্মকর্তাদের পরিকল্পিত ও নৃশংসভাবে হত্যার কয়েক দিন পর ওই বছরের ১ মার্চ ঢাকা সেনানিবাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা যাঁরা কিছু প্রশ্ন করেছিলাম, বিচার চেয়েছিলাম, তাঁদের তালিকা। এই তালিকার প্রথম শিকার আমরা ছয়জন। সহকর্মীদের হত্যার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বিচার চাওয়ার অপরাধে চাকরিচ্যুতি গুম নির্যাতনে জীবন তছনছকোনো তদন্ত এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে আমাদের বরখাস্ত করা হয়।পরে বরখাস্তের আদেশ বাতিল করে পাঁচজনকে অকালীন অবসর দেওয়া হয়। তালিকার অন্যদেরও অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। তরুণ পাঁচ সেনা কর্মকর্তাকে প্রায় এক বছর আটকে রেখে নির্যাতন এবং পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নষ্ট করে দেওয়া হয় তাঁদের ক্যারিয়ার।
অনেকের পদোন্নতি বন্ধ এবং বেশ কয়েকজনকে জঙ্গি তকমা দিয়ে বরখাস্ত এবং নির্মম নির্যাতন শেষে কারাগারে পাঠানোর ঘটনাও ঘটে।’ কালের কণ্ঠকে এই কথাগুলো বলেন ভুক্তভোগী সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) মো. সামসুল ইসলাম।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে। দাবি উঠেছে ঘটনার পুনঃ তদন্তের।

নয়াদিগন্ত:

অশান্ত মনিপুরে কারফিউ
নতুন করে অশান্ত ভারতের মনিপুর রাজ্য। দেশটির কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের গুলিতে ১১ কুকি বিদ্রোহী নিহত হওয়ার পর সোমবার রাত থেকেই কারফিউ জারি করা হয় রাজ্যটির জিরিবাম জেলায়। রাতে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম ইম্ফল জেলায় সশস্ত্র কুকিরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় দু’জন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই সাথে মঙ্গলবার জিরিবামে একটি দগ্ধ বাড়ি থেকে দুই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার হয়েছে। আনন্দবাজার ও এনডিটিভি।
গতকাল মঙ্গলবারও কারফিউ ছিল জিরিবাম জেলার বেশ কিছু এলাকায়। গোটা জেলাজুড়েই থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছিল। আসামের সীমান্তবর্তী এই জেলাতেই সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের শিবিরে হামলা চালায় একদল ব্যক্তি। সিআরপিএফ পাল্টা গুলি চালালে হামলাকারীদের ১১ জন নিহত হন। ভারতের কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, নিহতরা সবাই কুকি যোদ্ধা। তাদের ছোড়া গুলিতে সিআরপিএফের এক জওয়ানও গুরুতর আহত হয়েছে। তিনি আসামের শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি।
সোমবার রাতেও বন্দুকযুদ্ধ চলেছে পশ্চিম ইম্ফলেও। সেখানে কুকি বিদ্রোহীদের গুলিতে আহত হন দু’জন। পাশাপাশি, মঙ্গলবার সকালে জিরিবামের একটি বাড়ির ভেতর থেকে দুই বৃদ্ধের দগ্ধ লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় পুলিশ। এর পরই জিরিবাম জেলাজুড়ে জারি হয়েছে কারফিউ। অন্য দিকে, ১১ জন ‘গ্রাম স্বেচ্ছাসেবক’-এর মৃত্যুতে একাধিক জায়গায় বন্ধ ঘোষণা করে কুকি গোষ্ঠীগুলো।

এক বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশ হামলাকারীদের তীব্রভাবে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, এর আগে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। হামলাকারীরা জিরিবাম জেলা শহরের নিকটবর্তী ওই থানায় হামলা চালানোর পর গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় হামলাকারীদের গুলিতে এক সেনা আহত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের দেয়া বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, ‘গোলাগুলি থামার পর ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে কথিত সশস্ত্র জঙ্গিদের ১০ জনের লাশ ও অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।’ এরপর রাতে পাহাড়ি এলাকায় ও ইম্ফল উপত্যকায় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তবে এই ১০ জনের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার মনিপুরের জাতিগত সংগঠনগুলো স্কুল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তারা মনিপুরের পাহাড়ি জেলাগুলোতে স্থানীয় সময় ভোর ৫টা থেকে পরবর্তী ১১ ঘণ্টার জন্য বনধের ডাক দেয়। রাস্তায় কোনো যানবাহন না চলায় পাহাড়ি জেলাগুলোর জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। কুকি সম্প্রদায়ের নেতারা জানিয়েছেন, যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা স্থানীয় গ্রামগুলোর স্বেচ্ছাসেবক, তারা হামার নৃগোষ্ঠীর সদস্য। সম্প্রতি এক সশস্ত্র হামলায় একজন নারী নিহত হওয়ার পর থেকে পাহাড়িদের গ্রামগুলো রক্ষার জন্য তারা ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিল।

মানবজমিন:

মাঠে নামার সিদ্ধান্ত বিএনপি’র
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ঢাকায় বড় শোডাউনের পরিকল্পনা এবং জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব কমানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। গত সোমবার রাতে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠক সূত্র জানায়, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি আরও জোরালো করতে এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ১০ সাংগঠনিক বিভাগে বড় সমাবেশ করার চিন্তা করছে বিএনপি। আগামী মাস থেকে এসব সমাবেশ শুরু হতে পারে। শিগগিরই বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনায় সমাবেশের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে।
বৈঠকে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সমপ্রতি ৩ জনের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বলা হয়, এদের মধ্যে দু’জনকে নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে ছাত্র-জনতা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং তারা আন্দোলন করছে। এই নিয়োগ নিয়ে তারাও (বিএনপি) বিস্মিত। যথেষ্ট যাচাই-বাছাই ও চিন্তা-ভাবনা করে এই নিয়োগ দিলে এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। তাই সরকারের উচিত যথাসম্ভব বিতর্ক এড়িয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া। বিতর্কিত কাউকে সরকারে না রাখা এবং ভালোভাবে খোঁজখবর করে দায়িত্বে নিয়ে আসা।

য়ুগান্তর:

ইভিএম নিয়ে বিপদে নির্বাচন কমিশন

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে বিপদে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। পাঁচ মাস ধরে ঝুলে আছে ‘নির্বাচনব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার’ প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব।

ইতোমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এগুলো বুঝে নিচ্ছে না কমিশন। সেই সঙ্গে বর্তমানে কমিশন না থাকায় ইভিএম নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তও নেওয়া যাচ্ছে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে মেয়াদ বাড়বে কি না-সিদ্ধান্ত চেয়ে ২৯ অক্টোবর পরিকল্পনা কমিশনকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কেননা প্রকল্পটি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত নেই। তাই এটির বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে পরিকল্পনা উপদেষ্টার মতামত নিতে হবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

সাবেক পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, এ বিষয়ে চিঠি পাওয়ার পর অবশ্যই পরিকল্পনা কমিশনের উচিত ছিল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সভা করা। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই একটা সিদ্ধান্ত দেওয়া প্রয়োজন ছিল। যেহেতু প্রকল্পটি চলতি অর্থবছরের এডিপিতে সমাপ্ত করার বাধ্যবাধকতা ছিল, সেহেতু নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল বাস্তবায়ন শেষ করা। একান্তই শেষ করতে না পারার কারণে পর্যাপ্ত সময় থাকতেই মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্তহীনতা স্পষ্টত দেখা যাচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ২৬ জুন পরিকল্পনা কমিশনকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

সমকাল:

বিদেশি ঋণের বরাদ্দ নেমে আসতে পারে অর্ধেকে
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো কতটা প্রয়োজনীয়– তা পর্যালোচনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে অনেক প্রকল্প বাদ পড়ছে। আবার কিছু প্রকল্পের বরাদ্দ কমানো হচ্ছে। অন্যদিকে গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে সরকার পরিবর্তন এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির ধাক্কা লেগেছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন চিত্রে তা বেশ স্পষ্ট।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে এডিপি বাস্তবায়নের হার গত অর্থবছরের একই সময়ের প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। মাত্র ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। গত ১৩ অর্থছরে যা একই সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই হারে বাস্তবায়ন হলে অর্থবছর শেষে এডিপির একটা বড় অংশই অব্যয়িত থাকবে। এই বাস্তবতায় এডিপিতে বড় অঙ্কের কাটছাঁট আসছে। সরকারি অংশের পাশাপাশি বড় অঙ্কে উন্নয়ন সহযোগীদের দেওয়া ঋণের অর্থ বরাদ্দও কমানো হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, শেষ পর্যন্ত বিদেশি ঋণ বরাদ্দে অর্ধেকেরও বেশি কাটছাঁট করা হতে পারে।

চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ধরা হয় ১ লাখ কোটি টাকা। আর জিওবি বা সরকারি তহবিল থেকে রয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বাকিটা বাস্তবায়নকারী বিভিন্ন সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন।

কালের কন্ঠ:

লন্ডনে জামায়াত আমির ঐক্য প্রয়োজন ছোটখাটো বিষয়ে টানাটানি বন্ধ করুন
যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে দেশের সব ইসলামী দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে বসবাসরত ওলামা-মাশায়েখদের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারী, আমাদের মধ্যে ছোটখাটো মতবিরোধ থাকতে পারে; কিন্তু মূল লক্ষ্য এক। এজন্য বৃহত্তর স্বার্থে সব মতের ইসলামী দল ও মারকাজ এক হওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এবার ঐক্য প্রয়োজন। এজন্য আল্লাহর ওয়াস্তে সবার দিল বড় করে আসুন। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে টানাটানি বন্ধ করুন। আমাদের মনের ঐক্য যেদিন হবে, সেদিন আল্লাহ আমাদের মধ্যে বারাকা দেবেন। শুধু ঠোঁটের ঐক্য হলে আল্লাহ বারাকা দেবেন না।

আলেম-ওলামাদের প্রতি জামায়াতের আমির আরও বলেন, যেদিন জামায়াতে ইসলামীর কোনো ভুল দেখবেন, আপনারা সেই ভুল ধরিয়ে সোজা করে দেবেন। আপনারা যদি এভাবে মেহেরবান করেন, তাহলে আল্লাহর মেহেরবানিতে দ্বীনের পথে চলাটা আমাদের সহজ হবে।

দেশরুপান্তর:

মালিকদের লুট কর্মীদের বিপদ
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনামলে ব্যাংক খাতে লুটপাটের চিত্র এখন উঠে আসছে। লুটপাটের কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে প্রায় এক ডজন ব্যাংক। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এসব ব্যাংকের পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউ লাপাত্তা, কেউ বিদেশে পালিয়ে গেছেন, কেউ ধরা পড়েছেন। ফলে নাজুক এসব ব্যাংক কর্মীদের বেতন দিতেও হিমশিম খাচ্ছে। আবার বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা দিতে না পেরে হেনস্তা ও মারধরের শিকার হচ্ছেন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংক খাতে লুটপাট হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরাসরি হস্তক্ষেপে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার সায় পেয়ে বেপরোয়া হয়ে পড়েন ব্যাংকগুলোর পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এস আলম বেক্সিমকোসহ বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে নামে-বেনামে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই শীর্ষ কর্মকর্তাদের দায় আছে, যার খেসারত দিতে হচ্ছে লুটপাট হওয়া ব্যাংকগুলোর সব কর্মীর।

গত ৭ নভেম্বর সাভারে ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি শাখায় টাকা তুলতে না পেরে কর্মকর্তাদের আটকে রেখে বিক্ষোভ করেছেন গ্রাহকরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় শাখা ব্যবস্থাপক মো. হাসিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের আস্থা হারিয়েছি। আস্থা বাড়াতে হলে গ্রাহককে টাকা দিতে হবে। সেই টাকা আমি দিতে পারছি না। কারণ আমানত জমার পরিমাণ শূন্য। অধিকাংশই তাদের মেয়াদি আমানত মেয়াদ পূর্তির আগেই ভেঙে ফেলছেন। কিন্তু আমি টাকা দিতে পারছি না। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সাপোর্ট দিচ্ছে, সেটা মহাসমুদ্রে দুই ফোঁটা জলের মতো। ব্যাংকার হিসেবে আমরা অভিশপ্ত জীবন পার করছি।’

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনাকে গ্রেপ্তারে চিঠি,ইন্টারপোলকে রেড অ্যালার্ট জারির অনুরোধ

আপডেট সময় ০৮:২০:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকা গুলোর প্রধান প্রধান খবর

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

হাসিনাকে গ্রেপ্তারে চিঠি,  ইন্টারপোলকে রেড অ্যালার্ট জারির অনুরোধ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারির অনুরোধ জানিয়ে ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিস।

পুলিশের মহাপরিদর্শকের মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। গতকাল ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ইন্টারপোলকে অ্যাড্রেস করে চিঠিটি আইজিপির কাছে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর এটা ইন্টারপোলে পাঠাবে। তিনি বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) যেহেতু মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে অভিযুক্ত, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেন্ডিং আছে, কিন্তু বাংলাদেশের জুরিসডিকশনের বাইরে তিনি চলে গেছেন, সে কারণে আন্তর্জাতিক পুলিশিং সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোল যাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করার ব্যবস্থা নেয় এবং তাঁর ব্যাপারে অন্তত রেড অ্যালার্ট জারি করে, সে ব্যাপারে আমরা অনুরোধ পাঠিয়েছি।’ কীভাবে পাঠিয়েছেন-এমন প্রশ্নে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এটা কমিউনিকেট করার দায়িত্ব পুলিশের আইজির। আমরা সরাসরি লিখেছি ইন্টারপোলের কাছে। এটাই যাবে।’
এর আগে রবিবার পলাতকদের ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড নোটিস’ জারি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ওইদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কারকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি। ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

প্রথম আলো:
টানেল ও মহাসড়কের টোলের বড় অংশ নিয়ে যায় ঠিকাদার
পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল—এই তিন অবকাঠামো নতুন; কিন্তু এগুলোর মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ে বিপুল ব্যয় ধরে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। আর ঠিকাদার কাজ পেয়েছে কোনো প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র ছাড়া।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দরপত্র ছাড়া নিজেদের পছন্দে ঠিকাদার নিয়োগে লাভবান হয়েছে কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান। সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। লোকসান হয়েছে দেশের মানুষের। তাঁদের এখন ঋণের বোঝা টানতে হচ্ছে, অন্যদিকে চলাচলে খরচ পড়ছে বেশি। অবকাঠামোগুলো থেকে যে আয় হচ্ছে, তার বড় অংশ নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (এক্সপ্রেসওয়ে) টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানিকে দরপত্র ছাড়া কাজ দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। টোল আদায়ের জন্য তারা বছরে পাবে প্রায় ৯৬ কোটি টাকা। অথচ বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতুতে বছরে মাত্র ১২ কোটি টাকায় টোল আদায় করছে চীনা কোম্পানি। প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রে কাজ পেয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে যমুনা সেতুতে তারা টোল আদায় শুরু করে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় ও সেটির রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ পাঁচ বছরে কোরীয় প্রতিষ্ঠানটিকে দেবে ৭১৭ কোটি টাকা। চালুর পর এক্সপ্রেসওয়েটি থেকে এখন পর্যন্ত যে টোল আদায় হয়েছে, তার ৮০ শতাংশই চলে গেছে ঠিকাদারের পেছনে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যত কেনাকাটা ও ঠিকাদার নিয়োগের ঘটনা ঘটেছে, প্রায় সবই প্রশ্নবিদ্ধ। যোগসাজশের ব্যাপক অভিযোগ আছে। এসব চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে।

কালের কন্ঠ:

চাকরিচ্যুতি গুম নির্যাতনে জীবন তছনছ
‘সেনা কর্মকর্তাদের একটি তালিকা করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে পিলখানায় সহকর্মী সেনা কর্মকর্তাদের পরিকল্পিত ও নৃশংসভাবে হত্যার কয়েক দিন পর ওই বছরের ১ মার্চ ঢাকা সেনানিবাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা যাঁরা কিছু প্রশ্ন করেছিলাম, বিচার চেয়েছিলাম, তাঁদের তালিকা। এই তালিকার প্রথম শিকার আমরা ছয়জন। সহকর্মীদের হত্যার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বিচার চাওয়ার অপরাধে চাকরিচ্যুতি গুম নির্যাতনে জীবন তছনছকোনো তদন্ত এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে আমাদের বরখাস্ত করা হয়।পরে বরখাস্তের আদেশ বাতিল করে পাঁচজনকে অকালীন অবসর দেওয়া হয়। তালিকার অন্যদেরও অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। তরুণ পাঁচ সেনা কর্মকর্তাকে প্রায় এক বছর আটকে রেখে নির্যাতন এবং পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নষ্ট করে দেওয়া হয় তাঁদের ক্যারিয়ার।
অনেকের পদোন্নতি বন্ধ এবং বেশ কয়েকজনকে জঙ্গি তকমা দিয়ে বরখাস্ত এবং নির্মম নির্যাতন শেষে কারাগারে পাঠানোর ঘটনাও ঘটে।’ কালের কণ্ঠকে এই কথাগুলো বলেন ভুক্তভোগী সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) মো. সামসুল ইসলাম।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে। দাবি উঠেছে ঘটনার পুনঃ তদন্তের।

নয়াদিগন্ত:

অশান্ত মনিপুরে কারফিউ
নতুন করে অশান্ত ভারতের মনিপুর রাজ্য। দেশটির কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের গুলিতে ১১ কুকি বিদ্রোহী নিহত হওয়ার পর সোমবার রাত থেকেই কারফিউ জারি করা হয় রাজ্যটির জিরিবাম জেলায়। রাতে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম ইম্ফল জেলায় সশস্ত্র কুকিরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় দু’জন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই সাথে মঙ্গলবার জিরিবামে একটি দগ্ধ বাড়ি থেকে দুই বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার হয়েছে। আনন্দবাজার ও এনডিটিভি।
গতকাল মঙ্গলবারও কারফিউ ছিল জিরিবাম জেলার বেশ কিছু এলাকায়। গোটা জেলাজুড়েই থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছিল। আসামের সীমান্তবর্তী এই জেলাতেই সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের শিবিরে হামলা চালায় একদল ব্যক্তি। সিআরপিএফ পাল্টা গুলি চালালে হামলাকারীদের ১১ জন নিহত হন। ভারতের কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, নিহতরা সবাই কুকি যোদ্ধা। তাদের ছোড়া গুলিতে সিআরপিএফের এক জওয়ানও গুরুতর আহত হয়েছে। তিনি আসামের শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি।
সোমবার রাতেও বন্দুকযুদ্ধ চলেছে পশ্চিম ইম্ফলেও। সেখানে কুকি বিদ্রোহীদের গুলিতে আহত হন দু’জন। পাশাপাশি, মঙ্গলবার সকালে জিরিবামের একটি বাড়ির ভেতর থেকে দুই বৃদ্ধের দগ্ধ লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় পুলিশ। এর পরই জিরিবাম জেলাজুড়ে জারি হয়েছে কারফিউ। অন্য দিকে, ১১ জন ‘গ্রাম স্বেচ্ছাসেবক’-এর মৃত্যুতে একাধিক জায়গায় বন্ধ ঘোষণা করে কুকি গোষ্ঠীগুলো।

এক বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশ হামলাকারীদের তীব্রভাবে বাধা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, এর আগে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। হামলাকারীরা জিরিবাম জেলা শহরের নিকটবর্তী ওই থানায় হামলা চালানোর পর গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় হামলাকারীদের গুলিতে এক সেনা আহত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের দেয়া বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, ‘গোলাগুলি থামার পর ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে কথিত সশস্ত্র জঙ্গিদের ১০ জনের লাশ ও অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।’ এরপর রাতে পাহাড়ি এলাকায় ও ইম্ফল উপত্যকায় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তবে এই ১০ জনের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার মনিপুরের জাতিগত সংগঠনগুলো স্কুল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তারা মনিপুরের পাহাড়ি জেলাগুলোতে স্থানীয় সময় ভোর ৫টা থেকে পরবর্তী ১১ ঘণ্টার জন্য বনধের ডাক দেয়। রাস্তায় কোনো যানবাহন না চলায় পাহাড়ি জেলাগুলোর জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। কুকি সম্প্রদায়ের নেতারা জানিয়েছেন, যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা স্থানীয় গ্রামগুলোর স্বেচ্ছাসেবক, তারা হামার নৃগোষ্ঠীর সদস্য। সম্প্রতি এক সশস্ত্র হামলায় একজন নারী নিহত হওয়ার পর থেকে পাহাড়িদের গ্রামগুলো রক্ষার জন্য তারা ওই এলাকায় টহল দিচ্ছিল।

মানবজমিন:

মাঠে নামার সিদ্ধান্ত বিএনপি’র
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ঢাকায় বড় শোডাউনের পরিকল্পনা এবং জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব কমানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। গত সোমবার রাতে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠক সূত্র জানায়, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি আরও জোরালো করতে এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে ১০ সাংগঠনিক বিভাগে বড় সমাবেশ করার চিন্তা করছে বিএনপি। আগামী মাস থেকে এসব সমাবেশ শুরু হতে পারে। শিগগিরই বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনায় সমাবেশের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে।
বৈঠকে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সমপ্রতি ৩ জনের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বলা হয়, এদের মধ্যে দু’জনকে নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে ছাত্র-জনতা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং তারা আন্দোলন করছে। এই নিয়োগ নিয়ে তারাও (বিএনপি) বিস্মিত। যথেষ্ট যাচাই-বাছাই ও চিন্তা-ভাবনা করে এই নিয়োগ দিলে এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। তাই সরকারের উচিত যথাসম্ভব বিতর্ক এড়িয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া। বিতর্কিত কাউকে সরকারে না রাখা এবং ভালোভাবে খোঁজখবর করে দায়িত্বে নিয়ে আসা।

য়ুগান্তর:

ইভিএম নিয়ে বিপদে নির্বাচন কমিশন

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে বিপদে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। পাঁচ মাস ধরে ঝুলে আছে ‘নির্বাচনব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রয়োগের লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার’ প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব।

ইতোমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এগুলো বুঝে নিচ্ছে না কমিশন। সেই সঙ্গে বর্তমানে কমিশন না থাকায় ইভিএম নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তও নেওয়া যাচ্ছে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে মেয়াদ বাড়বে কি না-সিদ্ধান্ত চেয়ে ২৯ অক্টোবর পরিকল্পনা কমিশনকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কেননা প্রকল্পটি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত নেই। তাই এটির বিষয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে পরিকল্পনা উপদেষ্টার মতামত নিতে হবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

সাবেক পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, এ বিষয়ে চিঠি পাওয়ার পর অবশ্যই পরিকল্পনা কমিশনের উচিত ছিল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সভা করা। তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই একটা সিদ্ধান্ত দেওয়া প্রয়োজন ছিল। যেহেতু প্রকল্পটি চলতি অর্থবছরের এডিপিতে সমাপ্ত করার বাধ্যবাধকতা ছিল, সেহেতু নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল বাস্তবায়ন শেষ করা। একান্তই শেষ করতে না পারার কারণে পর্যাপ্ত সময় থাকতেই মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্তহীনতা স্পষ্টত দেখা যাচ্ছে।

পরিকল্পনা কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ২৬ জুন পরিকল্পনা কমিশনকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

সমকাল:

বিদেশি ঋণের বরাদ্দ নেমে আসতে পারে অর্ধেকে
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো কতটা প্রয়োজনীয়– তা পর্যালোচনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে অনেক প্রকল্প বাদ পড়ছে। আবার কিছু প্রকল্পের বরাদ্দ কমানো হচ্ছে। অন্যদিকে গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে সরকার পরিবর্তন এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির ধাক্কা লেগেছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন চিত্রে তা বেশ স্পষ্ট।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে এডিপি বাস্তবায়নের হার গত অর্থবছরের একই সময়ের প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। মাত্র ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। গত ১৩ অর্থছরে যা একই সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। এই হারে বাস্তবায়ন হলে অর্থবছর শেষে এডিপির একটা বড় অংশই অব্যয়িত থাকবে। এই বাস্তবতায় এডিপিতে বড় অঙ্কের কাটছাঁট আসছে। সরকারি অংশের পাশাপাশি বড় অঙ্কে উন্নয়ন সহযোগীদের দেওয়া ঋণের অর্থ বরাদ্দও কমানো হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, শেষ পর্যন্ত বিদেশি ঋণ বরাদ্দে অর্ধেকেরও বেশি কাটছাঁট করা হতে পারে।

চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ধরা হয় ১ লাখ কোটি টাকা। আর জিওবি বা সরকারি তহবিল থেকে রয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বাকিটা বাস্তবায়নকারী বিভিন্ন সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন।

কালের কন্ঠ:

লন্ডনে জামায়াত আমির ঐক্য প্রয়োজন ছোটখাটো বিষয়ে টানাটানি বন্ধ করুন
যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে দেশের সব ইসলামী দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে বসবাসরত ওলামা-মাশায়েখদের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারী, আমাদের মধ্যে ছোটখাটো মতবিরোধ থাকতে পারে; কিন্তু মূল লক্ষ্য এক। এজন্য বৃহত্তর স্বার্থে সব মতের ইসলামী দল ও মারকাজ এক হওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এবার ঐক্য প্রয়োজন। এজন্য আল্লাহর ওয়াস্তে সবার দিল বড় করে আসুন। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে টানাটানি বন্ধ করুন। আমাদের মনের ঐক্য যেদিন হবে, সেদিন আল্লাহ আমাদের মধ্যে বারাকা দেবেন। শুধু ঠোঁটের ঐক্য হলে আল্লাহ বারাকা দেবেন না।

আলেম-ওলামাদের প্রতি জামায়াতের আমির আরও বলেন, যেদিন জামায়াতে ইসলামীর কোনো ভুল দেখবেন, আপনারা সেই ভুল ধরিয়ে সোজা করে দেবেন। আপনারা যদি এভাবে মেহেরবান করেন, তাহলে আল্লাহর মেহেরবানিতে দ্বীনের পথে চলাটা আমাদের সহজ হবে।

দেশরুপান্তর:

মালিকদের লুট কর্মীদের বিপদ
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনামলে ব্যাংক খাতে লুটপাটের চিত্র এখন উঠে আসছে। লুটপাটের কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে প্রায় এক ডজন ব্যাংক। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এসব ব্যাংকের পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউ লাপাত্তা, কেউ বিদেশে পালিয়ে গেছেন, কেউ ধরা পড়েছেন। ফলে নাজুক এসব ব্যাংক কর্মীদের বেতন দিতেও হিমশিম খাচ্ছে। আবার বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা দিতে না পেরে হেনস্তা ও মারধরের শিকার হচ্ছেন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংক খাতে লুটপাট হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরাসরি হস্তক্ষেপে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার সায় পেয়ে বেপরোয়া হয়ে পড়েন ব্যাংকগুলোর পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এস আলম বেক্সিমকোসহ বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে নামে-বেনামে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই শীর্ষ কর্মকর্তাদের দায় আছে, যার খেসারত দিতে হচ্ছে লুটপাট হওয়া ব্যাংকগুলোর সব কর্মীর।

গত ৭ নভেম্বর সাভারে ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি শাখায় টাকা তুলতে না পেরে কর্মকর্তাদের আটকে রেখে বিক্ষোভ করেছেন গ্রাহকরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় শাখা ব্যবস্থাপক মো. হাসিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের আস্থা হারিয়েছি। আস্থা বাড়াতে হলে গ্রাহককে টাকা দিতে হবে। সেই টাকা আমি দিতে পারছি না। কারণ আমানত জমার পরিমাণ শূন্য। অধিকাংশই তাদের মেয়াদি আমানত মেয়াদ পূর্তির আগেই ভেঙে ফেলছেন। কিন্তু আমি টাকা দিতে পারছি না। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সাপোর্ট দিচ্ছে, সেটা মহাসমুদ্রে দুই ফোঁটা জলের মতো। ব্যাংকার হিসেবে আমরা অভিশপ্ত জীবন পার করছি।’