ঢাকা ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা Logo নড়াইলে বিল থেকে অজ্ঞাত পরিচয় কঙ্কাল উদ্ধার Logo ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না বলে একমত নেটো Logo সাবেক সিইসিকে হেনস্তায় জড়িতদের শাস্তি চান রিজভী Logo ভুয়া প্রজ্ঞাপন বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সতর্ক বার্তা Logo সাবেক সিইসি নুরুল হুদা ৪ দিনের রিমান্ডে Logo মৌলভীবাজারে নাফিসা হত্যাকারী ধর্ষক জুনেলের ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ Logo লক্ষ্মীপুরে ডাকাতির সময় গৃহবধূকে ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ২ Logo আজ ঐতিহাসিক ‘পলাশী দিবস’: বাঙালি জাতির জন্য শোক ও চেতনার দিন Logo গাইবান্ধায় ‘ফ্রিল্যান্সিং ফর ফিউচার’ প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮ বিলিয়ন ডলার

আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮ বিলিয়ন ডলার

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি পণ্যের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিল বাবদ ১.৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৪.১৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ হিসাবে ১৮.৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। যদিও গত সপ্তাহে বিপিএম হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২০ বিলিয়নের ওপরে।

আর চলতি দায় বাবদ প্রায় সোয়া ৫ বিলিয়ন বাদ দেওয়ায় রবিবার ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৩.২০ বিলিয়ন ডলার। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আকু পরিশোধের পর মোট রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৪.১৯ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী রিজার্ভ ১৮.৪৫ বিলিয়ন ডলার।

এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু আইএমএফকে দেয়, প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সোমবার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আকু পরিশোধের পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়ে ছিল ১৩.২০ বিলিয়ন ডলার। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।

সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। কারণ এখন প্রতি মাসে আমদানি ব্যয় ৫ বিলিয়নের আশপাশে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ। আকু হলো একটি আন্তর্মহাদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়।

ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশিস্নষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। তবে এখন আকুর সদস্যপদ নেই শ্রীলঙ্কার। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ আমদানি ব্যয় পরিশোধের বিভিন্ন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির আকুর সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের (এসক্যাপ) ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য আকুর সদস্যপদ উন্মুক্ত।

ট্যাগস :

কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা

আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮ বিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় ১১:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি পণ্যের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিল বাবদ ১.৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৪.১৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ হিসাবে ১৮.৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। যদিও গত সপ্তাহে বিপিএম হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২০ বিলিয়নের ওপরে।

আর চলতি দায় বাবদ প্রায় সোয়া ৫ বিলিয়ন বাদ দেওয়ায় রবিবার ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৩.২০ বিলিয়ন ডলার। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আকু পরিশোধের পর মোট রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৪.১৯ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী রিজার্ভ ১৮.৪৫ বিলিয়ন ডলার।

এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু আইএমএফকে দেয়, প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সোমবার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আকু পরিশোধের পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়ে ছিল ১৩.২০ বিলিয়ন ডলার। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।

সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। কারণ এখন প্রতি মাসে আমদানি ব্যয় ৫ বিলিয়নের আশপাশে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ। আকু হলো একটি আন্তর্মহাদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়।

ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশিস্নষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। তবে এখন আকুর সদস্যপদ নেই শ্রীলঙ্কার। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ আমদানি ব্যয় পরিশোধের বিভিন্ন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির আকুর সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের (এসক্যাপ) ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য আকুর সদস্যপদ উন্মুক্ত।