ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাজারে কমছে চালের দাম,বন্দরে ঢুকছে ভারতীয় চাল বোঝাই শত শত ট্রাক Logo চকরিয়া থানায় যুবকের মৃত্যু: এএসআইসহ ৩ পুলিশ প্রত্যাহার Logo ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে ব্যর্থ, পদত্যাগ করলেন ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী Logo কিশোরগঞ্জে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, দুই নেতাকে বহিষ্কার Logo জাকসুতে কর্মী সংকটে প্যানেল ঘোষণা করতে পারছে না বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো Logo আজ ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার Logo দেশকে বিরাজনীতিকরণে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয়: মির্জা আব্বাস Logo লিটনকে অধিনায়ক করে এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা Logo নীতি পরিপন্থী কার্যকলাপের জন্য মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি নেতার পদ স্থগ Logo ফ্যাসিবাদী বিজেপি’ ও মোদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন থালাপতি বিজয়
গাজীপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়

আওয়ামীপন্থী আনোয়ারুল করিমের নেতৃত্বে চলছে দূর্নীতি ও অপকর্মের মহাউৎসব

cআওয়ামীপন্থী আনোয়ারুল করিমের নেতৃত্বে চলছে দূর্নীতি ও অপকর্মের মহাউৎসব

আগেরমতই অনিয়ম, দূর্নীতি ও ঘুষবাণিজ্যের মত অপকর্ম চালানোর অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আওয়ামীপন্থী ডিডি আনোয়ারুল করিমের বিরুদ্ধে। পদ-পদবী ও ক্ষমতার অপব্যাবহার করে সুকৌশলে ফাইল আটকে দিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন, প্রাতিষ্ঠানিক দূর্নীতি ও অনিয়মকে পুঁজি করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

অবৈধ পন্থায় উপার্জিত অর্থে উপ-পরিচালক আনোয়ারুল করিম নামে-বেনামে অঢেল সম্পদের মালিকও বনে গেছেন। তার এসব অপকর্মের সহযোগী হিসেবে আছেন ফিল্ড সুপাভাইজার মামুনুর রশিদ ও ইউনিয়ন সমাজকর্মী নয়নচন্দ্র সরকার। ইতোমধ্যে তাকে অপসারণে সমাজসেবা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন একই অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা।

জানা যায়, আওয়ামীপন্থী ডিডি আনোয়ারুল করিম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একজন অফিস সহায়ককে অনত্র সরিয়ে উক্তস্থানে নিজের একজন ঘনিষ্ট আত্মীয়কে নিয়োগ দেন। যিনি শ্রীপুর সমাজসেবা অফিসের এতিমখানা ফান্ডের ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আত্মসাত করে আত্মগোপনে চলে যায়। এ নিয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রচারও হয়। অভিযোগ রয়েছে এ অর্থ আত্মসাতে সরাসারি জড়িত ডিডি আনোয়ারুল করিম।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের জমি ক্রয়ের বরাদ্দ থেকে ক্রয়মূল্য বেশি দেখিয়ে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আনোয়ারুল করিম। এছাড়া প্রতিটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন অনুমোদন দিতে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় তাকে। না দিলে তিনি কোনো ফাইলে স্বাক্ষর করেননা।

জানা যায়, এতিমখানায় যখন সরকারী বরাদ্দ ছাড় দেয়া হয় তখন প্রত্যেক এতিমখানা থেকে ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়ে থাকেন তিনি। ঘুষ না দিলে প্রতিষ্ঠান অনুমোদন বাতিলের হুমকি দেন আনোয়ারুল করিম। এছাড়া শিশু পরিবারের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকেও ঘুষ নিয়ে থাকেন এ দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারই অফিসের অনেক কর্মকর্তা জানায় , দীর্ঘ ৮ বছর একই অফিসে চাকরি করার সুবাদে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্ণীতিসহ সহকর্মী ও সুবিধাভোগীরদের সাথে উগ্র আচরণ করে থাকেন আনোয়ারুল করিম। অভিযোগের বিষয়ে তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রথমে কিছু বলে তারপরে রাগারাগি শুরু করে ফোন কেটে দেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাজারে কমছে চালের দাম,বন্দরে ঢুকছে ভারতীয় চাল বোঝাই শত শত ট্রাক

গাজীপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়

আওয়ামীপন্থী আনোয়ারুল করিমের নেতৃত্বে চলছে দূর্নীতি ও অপকর্মের মহাউৎসব

আপডেট সময় ১০:৫৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

আগেরমতই অনিয়ম, দূর্নীতি ও ঘুষবাণিজ্যের মত অপকর্ম চালানোর অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আওয়ামীপন্থী ডিডি আনোয়ারুল করিমের বিরুদ্ধে। পদ-পদবী ও ক্ষমতার অপব্যাবহার করে সুকৌশলে ফাইল আটকে দিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন, প্রাতিষ্ঠানিক দূর্নীতি ও অনিয়মকে পুঁজি করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

অবৈধ পন্থায় উপার্জিত অর্থে উপ-পরিচালক আনোয়ারুল করিম নামে-বেনামে অঢেল সম্পদের মালিকও বনে গেছেন। তার এসব অপকর্মের সহযোগী হিসেবে আছেন ফিল্ড সুপাভাইজার মামুনুর রশিদ ও ইউনিয়ন সমাজকর্মী নয়নচন্দ্র সরকার। ইতোমধ্যে তাকে অপসারণে সমাজসেবা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন একই অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা।

জানা যায়, আওয়ামীপন্থী ডিডি আনোয়ারুল করিম গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার একজন অফিস সহায়ককে অনত্র সরিয়ে উক্তস্থানে নিজের একজন ঘনিষ্ট আত্মীয়কে নিয়োগ দেন। যিনি শ্রীপুর সমাজসেবা অফিসের এতিমখানা ফান্ডের ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আত্মসাত করে আত্মগোপনে চলে যায়। এ নিয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রচারও হয়। অভিযোগ রয়েছে এ অর্থ আত্মসাতে সরাসারি জড়িত ডিডি আনোয়ারুল করিম।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের জমি ক্রয়ের বরাদ্দ থেকে ক্রয়মূল্য বেশি দেখিয়ে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আনোয়ারুল করিম। এছাড়া প্রতিটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন অনুমোদন দিতে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় তাকে। না দিলে তিনি কোনো ফাইলে স্বাক্ষর করেননা।

জানা যায়, এতিমখানায় যখন সরকারী বরাদ্দ ছাড় দেয়া হয় তখন প্রত্যেক এতিমখানা থেকে ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়ে থাকেন তিনি। ঘুষ না দিলে প্রতিষ্ঠান অনুমোদন বাতিলের হুমকি দেন আনোয়ারুল করিম। এছাড়া শিশু পরিবারের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকেও ঘুষ নিয়ে থাকেন এ দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারই অফিসের অনেক কর্মকর্তা জানায় , দীর্ঘ ৮ বছর একই অফিসে চাকরি করার সুবাদে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্ণীতিসহ সহকর্মী ও সুবিধাভোগীরদের সাথে উগ্র আচরণ করে থাকেন আনোয়ারুল করিম। অভিযোগের বিষয়ে তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি প্রথমে কিছু বলে তারপরে রাগারাগি শুরু করে ফোন কেটে দেন।