ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চকরিয়া থানায় যুবকের মৃত্যু: এএসআইসহ ৩ পুলিশ প্রত্যাহার Logo ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে ব্যর্থ, পদত্যাগ করলেন ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী Logo কিশোরগঞ্জে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, দুই নেতাকে বহিষ্কার Logo জাকসুতে কর্মী সংকটে প্যানেল ঘোষণা করতে পারছে না বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো Logo আজ ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার Logo দেশকে বিরাজনীতিকরণে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয়: মির্জা আব্বাস Logo লিটনকে অধিনায়ক করে এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা Logo নীতি পরিপন্থী কার্যকলাপের জন্য মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি নেতার পদ স্থগ Logo ফ্যাসিবাদী বিজেপি’ ও মোদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন থালাপতি বিজয় Logo শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে গ্রেপ্তার

বগুড়ায় মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ডিপ ফ্রিজে রাখে ছেলে

হাত খরচের টাকা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের কারণে নিজের মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ছেলে। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গত ১০ নভেম্বর ডিপ ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ উম্মে সালমা খাতুন (৫০) হত্যাকান্ডের ঘটনায়।

এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাঁচপীড় অড়োবাড়ী এলাকা থেকে মা হত্যাকারী ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে (১৯) আটক করে র‌্যাব সদস্যরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সাদ তার মাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে। সে দুপচাঁচিয়া ডিএস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ, উপজেলা ঈমাম-মোয়াজ্জিম সমিতির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ঈমাম মাওলানা এসএম আজিজুর রহমানের ছেলে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সিপিএসসি র‌্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে এ তথ্য জানান। র‌্যাব’র এই কর্মকর্তা জানান, ছেলে সাদের সাথে তার মা উম্মে সালমার হাত খরচের টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

সে বাড়ি থেকে প্রতিদিন ৫শ’ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত হাত খরচ নিতো। ঘটনার দিনও বিষয়টি নিয়ে তার মায়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এতে সে রাগ করে না খেয়ে মাদ্রাসায় চলে যায়। সকাল ১১টায় ক্লাসের বিরতিতে সে বাড়ি ফিরে এসে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মাকে রান্না ঘরে পিছন দিক থেকে নাক-মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর তার দু’হাত ওড়না দিয়ে বেঁধে বাসার ডিপ ফ্রিজে রেখে ডাকাতির ঘটনা সাজানোর জন্য আলমারিতে কুড়াল দিয়ে আঘাত করে। পরে মেইন গেটে তালা দিয়ে বের হয়ে যায়। পরে আবার সে বাড়িতে এসে তার মাকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে তার বাবাকে ফোন দেয়। পরে তার বাবা মাওলানা আজিজুর রহমান বাড়িতে এসে ডিপ ফ্রিজ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

চকরিয়া থানায় যুবকের মৃত্যু: এএসআইসহ ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

বগুড়ায় মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ডিপ ফ্রিজে রাখে ছেলে

আপডেট সময় ০৮:৪৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

হাত খরচের টাকা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের কারণে নিজের মাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ছেলে। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গত ১০ নভেম্বর ডিপ ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ উম্মে সালমা খাতুন (৫০) হত্যাকান্ডের ঘটনায়।

এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাঁচপীড় অড়োবাড়ী এলাকা থেকে মা হত্যাকারী ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে (১৯) আটক করে র‌্যাব সদস্যরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সাদ তার মাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে। সে দুপচাঁচিয়া ডিএস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ, উপজেলা ঈমাম-মোয়াজ্জিম সমিতির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ঈমাম মাওলানা এসএম আজিজুর রহমানের ছেলে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সিপিএসসি র‌্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে এ তথ্য জানান। র‌্যাব’র এই কর্মকর্তা জানান, ছেলে সাদের সাথে তার মা উম্মে সালমার হাত খরচের টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

সে বাড়ি থেকে প্রতিদিন ৫শ’ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত হাত খরচ নিতো। ঘটনার দিনও বিষয়টি নিয়ে তার মায়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এতে সে রাগ করে না খেয়ে মাদ্রাসায় চলে যায়। সকাল ১১টায় ক্লাসের বিরতিতে সে বাড়ি ফিরে এসে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মাকে রান্না ঘরে পিছন দিক থেকে নাক-মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর তার দু’হাত ওড়না দিয়ে বেঁধে বাসার ডিপ ফ্রিজে রেখে ডাকাতির ঘটনা সাজানোর জন্য আলমারিতে কুড়াল দিয়ে আঘাত করে। পরে মেইন গেটে তালা দিয়ে বের হয়ে যায়। পরে আবার সে বাড়িতে এসে তার মাকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে তার বাবাকে ফোন দেয়। পরে তার বাবা মাওলানা আজিজুর রহমান বাড়িতে এসে ডিপ ফ্রিজ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।