ঢাকা ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সীমান্তে ‘পুশ ইন’ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতকে চিঠি বাংলাদেশের Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু, আহত মা হাসপাতালে Logo কামরাঙ্গীরচরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ Logo আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করায় উদ্বিগ্ন ভারত Logo আ.লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টির শাসন দেখার কিছু নেই: চরমোনাই পীর Logo মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৯৮ পেয়ে প্রথম হলেন জবি শিবির নেতা Logo ক্ষেপণাস্ত্রের কথা ভেবে পাকিস্তান অনেকদিন ঘুমাতে পারবে না: মোদি Logo জাতীয় স্বার্থের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না: বিডা চেয়ারম্যান Logo সুন্দরগঞ্জে প্রেসক্লাবের বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo মুক্তাগাছায় আওয়ামী লীগ নেতা ভিপি মানিক গ্রেফতার

বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্য রিজভীর দুঃখ প্রকাশ

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৩:৫২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • 73

বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো নিয়ে করা বক্তব্য সংশোধনী দিয়েছে বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিৎ হয়নি’ বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি।

বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত ওই সংশোধনী বক্তব্যে বলা হয়েছে, “আজ ১২ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার সকাল ১০-৩০ মিনিটে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচতলায় বিএনপি আয়োজিত ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিৎ হয়নি’ মর্মে একটি সংবাদ অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে।

আজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’ মর্মে একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।

আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত, ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোন কার্যকারিতা থাকতে পারে না।

অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিৎ নয়। অনাকাঙ্খিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।”
এর আগে তিনি তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, তার (শেখ মুজিবুর রহমান) ছবি নামিয়ে ফেলা উচিত হয়নি। খন্দকার মোশতাক নামিয়েছিলেন, জিয়াউর রহমান তুলেছিলেন।

রিজভী বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর খন্দকার মোশতাক শেখ মুজিবের ছবি নামিয়ে নিল। জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলেন। জিয়াউর রহমান কিন্তু বঙ্গভবনে শেখ মুজিবের ছবি ফিরিয়ে আনেন।’

তার এই বক্তব্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সীমান্তে ‘পুশ ইন’ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতকে চিঠি বাংলাদেশের

বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্য রিজভীর দুঃখ প্রকাশ

আপডেট সময় ০৩:৫২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো নিয়ে করা বক্তব্য সংশোধনী দিয়েছে বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিৎ হয়নি’ বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি।

বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত ওই সংশোধনী বক্তব্যে বলা হয়েছে, “আজ ১২ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার সকাল ১০-৩০ মিনিটে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচতলায় বিএনপি আয়োজিত ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিৎ হয়নি’ মর্মে একটি সংবাদ অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে।

আজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’ মর্মে একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।

আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত, ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোন কার্যকারিতা থাকতে পারে না।

অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিৎ নয়। অনাকাঙ্খিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।”
এর আগে তিনি তার বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, তার (শেখ মুজিবুর রহমান) ছবি নামিয়ে ফেলা উচিত হয়নি। খন্দকার মোশতাক নামিয়েছিলেন, জিয়াউর রহমান তুলেছিলেন।

রিজভী বলেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর খন্দকার মোশতাক শেখ মুজিবের ছবি নামিয়ে নিল। জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলেন। জিয়াউর রহমান কিন্তু বঙ্গভবনে শেখ মুজিবের ছবি ফিরিয়ে আনেন।’

তার এই বক্তব্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।