ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

লড়াকু সংগ্রহ করেও হার মানতে হলো আফগান ব্যাটারদের কাছে

লড়াকু সংগ্রহ করেও হার মানতে হলো আফগান ব্যাটারদের কাছে

যেন সুদে-আসলে বুঝে নিলেন। প্রথম দুই ওয়ানডেতে দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে না পারা আফগান ব্যাটার আজ ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। তার দুর্দান্ত ইনিংসে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিয়েছে আফগানিস্তান। শারজায় আজ গুরবাজের কাছেই ‘অলিখিত’ ফাইনালে হেরেছে বাংলাদেশ।

২২ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে আজ থামাতেই পাচ্ছিলেন না মুস্তাফিজুর রহমান-শরিফুল ইসলামরা। কোনো বলেই কাবু করতে পারছিলেন না তারা। উল্টো তার ব্যাটে পিষ্ট হয়েছেন। ২২তম ওভারে অবশ্য থেমে যেতে পারত গুরবাজের ইনিংস।

৫৬ রানে ব্যাটিং করার সময় ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের করা ওয়াইড বলে স্ট্যাম্পিং করতে পারেননি জাকের আলি অনিক। শেষে অবশ্য আউট হয়েছেন তিনি। মিরাজের বলেই জাকির হাসানকে ক্যাচ দিলে থেমে যায় তার ১০১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি।

যা সাজিয়েছেন ৫ চার ও ৭ ছক্কায়। ওপেনিংয়ে নেমে একপ্রান্ত আগলে রেখে চার-ছক্কার খেলায় মত্ত হন গুরবাজ। সতীর্থরা নিয়মিত বিরতিতে আউট হলেও তিনি প্রথম দুই ম্যাচের হিসাব নেওয়ার জন্যই যেন দাঁড়িয়ে যান। চতুর্থ উইকেটে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সঙ্গে কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে প্রায় নিয়ে যান তিনি। যখন আউট হলেন তখন আফগানদের জয়ের জন্য যে আর প্রয়োজন ছিল ৬১ রান।

এর আগে সেদিকউল্লাহ আতালের সঙ্গেও ওপেনিংয়ে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন গুরবাজ। ৪১ রানের এক জুটি। গুরবাজের পর দ্রুত গুলবাদিন নাইবকে আউট করে বাংলাদেশ ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিল। তবে শেষে ঠিকই জয়ের হাসি হেসেছে আফগানরা। শেষটা টেনেছেন ওমরজাই ও মোহাম্মদ নবী। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়ে আফগানদের ৫ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন দুজনে। নবীর ৩৪ রানের বিপরীতে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই। বাংলাদেশের হয়ে ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত নাহিদ ও মুস্তাফিজ।

শারজায় টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত এক ইনিংসে ২৪৪ রান করে। তবে দল হারায় ২ রানের মতো জয়ের আক্ষেপও থেকে গেল অভিজ্ঞ ব্যাটারের। ৯৮ রানে আউট হওয়ায় যে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পাননি। অবশ্যই এই ম্যাচেই অধিনায়কত্বে অভিষেক হওয়ায় মিরাজের ৬৬ রানের অবদানও কম ছিল না। শেষ পর্যন্ত দল হারায় সবার অবদানই কম হয়েছে। ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে আফগানদের সেরা বোলার ওমরজাই।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

লড়াকু সংগ্রহ করেও হার মানতে হলো আফগান ব্যাটারদের কাছে

আপডেট সময় ১২:১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

যেন সুদে-আসলে বুঝে নিলেন। প্রথম দুই ওয়ানডেতে দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে না পারা আফগান ব্যাটার আজ ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। তার দুর্দান্ত ইনিংসে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিয়েছে আফগানিস্তান। শারজায় আজ গুরবাজের কাছেই ‘অলিখিত’ ফাইনালে হেরেছে বাংলাদেশ।

২২ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে আজ থামাতেই পাচ্ছিলেন না মুস্তাফিজুর রহমান-শরিফুল ইসলামরা। কোনো বলেই কাবু করতে পারছিলেন না তারা। উল্টো তার ব্যাটে পিষ্ট হয়েছেন। ২২তম ওভারে অবশ্য থেমে যেতে পারত গুরবাজের ইনিংস।

৫৬ রানে ব্যাটিং করার সময় ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজের করা ওয়াইড বলে স্ট্যাম্পিং করতে পারেননি জাকের আলি অনিক। শেষে অবশ্য আউট হয়েছেন তিনি। মিরাজের বলেই জাকির হাসানকে ক্যাচ দিলে থেমে যায় তার ১০১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি।

যা সাজিয়েছেন ৫ চার ও ৭ ছক্কায়। ওপেনিংয়ে নেমে একপ্রান্ত আগলে রেখে চার-ছক্কার খেলায় মত্ত হন গুরবাজ। সতীর্থরা নিয়মিত বিরতিতে আউট হলেও তিনি প্রথম দুই ম্যাচের হিসাব নেওয়ার জন্যই যেন দাঁড়িয়ে যান। চতুর্থ উইকেটে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সঙ্গে কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে প্রায় নিয়ে যান তিনি। যখন আউট হলেন তখন আফগানদের জয়ের জন্য যে আর প্রয়োজন ছিল ৬১ রান।

এর আগে সেদিকউল্লাহ আতালের সঙ্গেও ওপেনিংয়ে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন গুরবাজ। ৪১ রানের এক জুটি। গুরবাজের পর দ্রুত গুলবাদিন নাইবকে আউট করে বাংলাদেশ ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিল। তবে শেষে ঠিকই জয়ের হাসি হেসেছে আফগানরা। শেষটা টেনেছেন ওমরজাই ও মোহাম্মদ নবী। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়ে আফগানদের ৫ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন দুজনে। নবীর ৩৪ রানের বিপরীতে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই। বাংলাদেশের হয়ে ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত নাহিদ ও মুস্তাফিজ।

শারজায় টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের দুর্দান্ত এক ইনিংসে ২৪৪ রান করে। তবে দল হারায় ২ রানের মতো জয়ের আক্ষেপও থেকে গেল অভিজ্ঞ ব্যাটারের। ৯৮ রানে আউট হওয়ায় যে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পাননি। অবশ্যই এই ম্যাচেই অধিনায়কত্বে অভিষেক হওয়ায় মিরাজের ৬৬ রানের অবদানও কম ছিল না। শেষ পর্যন্ত দল হারায় সবার অবদানই কম হয়েছে। ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে আফগানদের সেরা বোলার ওমরজাই।