ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

জুলাই গণহত্যার দ্রুত বিচার কার্যকরের দাবিতে সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রণয়নের আহ্বান : ছাত্রশিবির সভাপতি

জুলাইয়ের গণহত্যার দ্রুত বিচার কার্যকরের লক্ষ্যে স্পষ্ট রূপরেখা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে ‘ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর কর্তৃক আয়োজিত ফ্যাসীবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি উত্থাপন করেন।

মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “অভ্যুত্থানের তিন মাস পার হলেও আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। চব্বিশের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা যে বর্বর হামলা চালিয়েছে, তাতে হাজারো প্রাণ ঝরে গেছে, যা ইতিহাসে নজিরবিহীন। রংপুরের শহীদ আবু সঈদ, ঢাকার শহীদ মুগ্ধসহ অসংখ্য ছাত্রজনতা ও ছাত্রশিবির কর্মীকে শহীদ করা হয়েছে। এই গণহত্যায় রাষ্ট্রের সকল শক্তি প্রয়োগ করে ছাত্রজনতার ওপর নিপীড়ন চালানো হয়েছে।”

তিনি বলেন, “তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের কারণে জাতি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, এবং এখনো তারা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের আর বরদাশত করবে না। আমরা দাবি করছি, চব্বিশে যারা এই গণহত্যার সাথে জড়িত, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে বাংলার মাটিতে বিচার করা হোক।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীরা যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তা তখনই পূর্ণ হবে, যখন এই হত্যাযজ্ঞের নায়কদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। আমরা দেশের বিচারব্যবস্থা ও সামগ্রিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদেরও বিচার দাবি করছি।”

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যা শাহাবাগ থেকে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট হয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এসে শেষ হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

জুলাই গণহত্যার দ্রুত বিচার কার্যকরের দাবিতে সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রণয়নের আহ্বান : ছাত্রশিবির সভাপতি

আপডেট সময় ০৮:১৯:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

জুলাইয়ের গণহত্যার দ্রুত বিচার কার্যকরের লক্ষ্যে স্পষ্ট রূপরেখা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম। আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে ‘ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর কর্তৃক আয়োজিত ফ্যাসীবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি উত্থাপন করেন।

মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “অভ্যুত্থানের তিন মাস পার হলেও আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। চব্বিশের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা যে বর্বর হামলা চালিয়েছে, তাতে হাজারো প্রাণ ঝরে গেছে, যা ইতিহাসে নজিরবিহীন। রংপুরের শহীদ আবু সঈদ, ঢাকার শহীদ মুগ্ধসহ অসংখ্য ছাত্রজনতা ও ছাত্রশিবির কর্মীকে শহীদ করা হয়েছে। এই গণহত্যায় রাষ্ট্রের সকল শক্তি প্রয়োগ করে ছাত্রজনতার ওপর নিপীড়ন চালানো হয়েছে।”

তিনি বলেন, “তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের কারণে জাতি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, এবং এখনো তারা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের জনগণ তাদের আর বরদাশত করবে না। আমরা দাবি করছি, চব্বিশে যারা এই গণহত্যার সাথে জড়িত, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে বাংলার মাটিতে বিচার করা হোক।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীরা যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তা তখনই পূর্ণ হবে, যখন এই হত্যাযজ্ঞের নায়কদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। আমরা দেশের বিচারব্যবস্থা ও সামগ্রিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদেরও বিচার দাবি করছি।”

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যা শাহাবাগ থেকে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট হয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এসে শেষ হয়।