হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজের ভূমিকা সরে দাড়ানো ঘোষণা দিয়েছে কাতার।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার পালাবদলের পরপরই এমন সিদ্ধান্তের কথা জানাল দেশটি। কাতারের এক সরকারি কর্মকর্তার বরাতে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
বিবিসিতে বলা হয়, তবে যদি হামাস ও ইসরাইল নিজ থেকে ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে তাদের সঙ্গে পুনরায় কাজ শুরু করবে দোহা। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছে যেহেতু হামাস যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবে রাজি হয়নি তাই কাতারে তাদের কার্যলয় থাকা উচিৎ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত জানানোর পর কাতার মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব থেকে নিজের ভূমিকা স্থগিত করার ঘোষণা দিল।
দেশটি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব পালন করবে না তারা। শুধু তাই নয়, রাজধানী দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় নিয়ে সতর্ক করে কাতার বলেছে, এ কার্যালয়ের আর কোনো প্রয়োজন নেই। কাতারের এমন ভূমিকার আগাম বার্তা আগেই জানিয়েছিল দেশটি। তারা ১০ দিন আগে উভয় পক্ষকে জানায়, যদি যুদ্ধবিরতির সর্বশেষ প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ হয় তাহলে তারা হামাস ও ইসরাইলের মধ্যস্থতাকরীর ভূমিকা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবে।
তবেকাতার বলেছ, হামাস-ইসরাইল চাইলে তারা পুনরায় যুদ্ধ অবসানে সদিচ্ছা ও গুরুত্ব দেখাবে। ওবামা প্রশাসনের অনুরোধে ২০১২ সালে কাতারের রাজধানীতে হামাস তাদের রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপনের সুযোগ পেয়েছিল। তবে শনিবার বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে যে, কাতারে হামাসের কার্যালয় বন্ধে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যাতে সাড়া দিয়েছে দোহা। মার্কিন কর্মকর্তার মতে, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বানে হমাস সাড়া না দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কোনো দেশের রাজধানীতে তাদের আশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না।
প্রসঙ্গত, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে বন্দী থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আশার আলো দেখা যায়নি।