ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুন্সীগঞ্জে মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের আমৃত্যু কারাদণ্ড Logo দেশের অরাজক পরিস্থিতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় অন্তর্বতী সরকারের- রাকিব Logo ভালুকায় মা সহ দুই মেয়েকে জবাই করে হত্যা Logo সড়কের বেহাল দশা, লক্ষ্মীপুরের স্থানীয়রা পড়েছেন প্রকৌঁশলীর গায়েবানা জানাজা Logo অযৌক্তিক ধর্মঘট নিয়ে প্রতিবাদ করায় তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ Logo বিএনপি এখন চাঁদাবাজের দলে পরিণত হয়েছে, অভিযোগ নাহিদ ইসলামের Logo ‘মানিকগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভে জামায়াত-শিবিরকে হুঁশিয়ারি Logo ঢাবির হলের ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা এক শিক্ষার্থীর Logo চাঁদাবাজির মামলায় মৌলভীবাজারে বিএনপি নেতা কারাগারে Logo রেললাইনে ট্রাক বিকল, ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ

রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর আদর্শ ব্যতীত জাতির সামগ্রিক উন্নতি বাস্তবায়ন অসম্ভব : মঞ্জুরুল ইসলাম

রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর আদর্শ ব্যতীত জাতির সামগ্রিক উন্নতি বাস্তবায়ন অসম্ভব : মঞ্জুরুল ইসলাম

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “একটি জাতির প্রকৃত উন্নতি নির্ভর করে তার নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং নেতৃত্বের গুণাবলির উপর। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানবজাতির জন্য যে আদর্শ রেখে গেছেন, তা পৃথিবীর সর্বোত্তম নৈতিক শিক্ষা ও জীবনের দিকনির্দেশনা হিসেবে পরিগণিত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ শুধু একটি নির্দিষ্ট যুগ বা জাতির জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি পরিপূর্ণ দৃষ্টান্ত। তাঁর পথনির্দেশনা ছাড়া জাতির সার্বিক উন্নতি ও মানবিক মূল্যবোধের প্রসার অসম্ভব।

আজ ৯ নভেম্বর (শনিবার) বিকালে রাজধানীর মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা কর্তৃক আয়োজিত ‘সিরাত সেমিনার ও সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা পুরস্কার প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর জীবন ও কর্মের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এমন সব গুণাবলি গড়ে তুলেছেন যা আজকের সমাজে শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয়। তিনি মানবিক মূল্যবোধ, আত্মসম্মানবোধ এবং দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে সমাজে ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর নীতি ও আদর্শ ছাড়া যে উন্নয়ন সম্ভব, তা কেবল বাহ্যিকভাবে উন্নত হতে পারে; তবে তা কখনোই স্থায়ী ও স্বচ্ছ হবে না। কারণ, যে সমাজের ভিত্তি নৈতিকতাহীন, সেখানে শান্তি ও সমৃদ্ধির বিকাশ স্থায়ী হতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “আধুনিক সমাজে নৈতিক অবক্ষয়, অসৎ ব্যবসায়িক আচরণ, সামাজিক দায়িত্বে অবহেলা এবং নেতৃত্বের সংকট জাতির জন্য গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর শিক্ষা অনুযায়ী সত্য, সততা, ন্যায়বিচার ও নৈতিকতার মূলনীতিগুলি যদি জাতির জীবনে প্রতিষ্ঠিত না হয়, তবে কোনো উন্নয়নই মানুষের প্রকৃত কল্যাণ ও জাতির স্থায়ী উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট নয়।”

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন যে, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে সৎ ও সত্যবাদী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায়িক সততা, পরিবারে দায়িত্বশীলতা এবং সামাজিক সহমর্মিতা তাঁর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়েছিল। আজকের সমাজে এই মূল্যবোধগুলি পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া জাতির সার্বিক উন্নতি সম্ভব নয়। প্রকৃত অর্থে উন্নত জাতি গঠনে নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের বিকল্প নেই, যা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর আদর্শে পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান।

তাই, যদি আমরা জাতির সামগ্রিক উন্নতি এবং মানবিক মূল্যবোধের সত্যিকারের বিকাশ চাই, তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদর্শ অনুসরণ করা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। তাঁর পথনির্দেশনা শুধু আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য নয়, বরং ব্যক্তিগত, সামাজিক, এবং রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের জন্যও অপরিহার্য।

ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আসিফ আব্দুল্লার সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুর মান্নান।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের আমৃত্যু কারাদণ্ড

রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর আদর্শ ব্যতীত জাতির সামগ্রিক উন্নতি বাস্তবায়ন অসম্ভব : মঞ্জুরুল ইসলাম

আপডেট সময় ১০:৫৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “একটি জাতির প্রকৃত উন্নতি নির্ভর করে তার নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং নেতৃত্বের গুণাবলির উপর। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানবজাতির জন্য যে আদর্শ রেখে গেছেন, তা পৃথিবীর সর্বোত্তম নৈতিক শিক্ষা ও জীবনের দিকনির্দেশনা হিসেবে পরিগণিত। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ শুধু একটি নির্দিষ্ট যুগ বা জাতির জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি পরিপূর্ণ দৃষ্টান্ত। তাঁর পথনির্দেশনা ছাড়া জাতির সার্বিক উন্নতি ও মানবিক মূল্যবোধের প্রসার অসম্ভব।

আজ ৯ নভেম্বর (শনিবার) বিকালে রাজধানীর মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখা কর্তৃক আয়োজিত ‘সিরাত সেমিনার ও সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা পুরস্কার প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর জীবন ও কর্মের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এমন সব গুণাবলি গড়ে তুলেছেন যা আজকের সমাজে শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয়। তিনি মানবিক মূল্যবোধ, আত্মসম্মানবোধ এবং দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে সমাজে ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর নীতি ও আদর্শ ছাড়া যে উন্নয়ন সম্ভব, তা কেবল বাহ্যিকভাবে উন্নত হতে পারে; তবে তা কখনোই স্থায়ী ও স্বচ্ছ হবে না। কারণ, যে সমাজের ভিত্তি নৈতিকতাহীন, সেখানে শান্তি ও সমৃদ্ধির বিকাশ স্থায়ী হতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “আধুনিক সমাজে নৈতিক অবক্ষয়, অসৎ ব্যবসায়িক আচরণ, সামাজিক দায়িত্বে অবহেলা এবং নেতৃত্বের সংকট জাতির জন্য গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর শিক্ষা অনুযায়ী সত্য, সততা, ন্যায়বিচার ও নৈতিকতার মূলনীতিগুলি যদি জাতির জীবনে প্রতিষ্ঠিত না হয়, তবে কোনো উন্নয়নই মানুষের প্রকৃত কল্যাণ ও জাতির স্থায়ী উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট নয়।”

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন যে, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে সৎ ও সত্যবাদী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায়িক সততা, পরিবারে দায়িত্বশীলতা এবং সামাজিক সহমর্মিতা তাঁর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়েছিল। আজকের সমাজে এই মূল্যবোধগুলি পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া জাতির সার্বিক উন্নতি সম্ভব নয়। প্রকৃত অর্থে উন্নত জাতি গঠনে নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের বিকল্প নেই, যা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর আদর্শে পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান।

তাই, যদি আমরা জাতির সামগ্রিক উন্নতি এবং মানবিক মূল্যবোধের সত্যিকারের বিকাশ চাই, তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদর্শ অনুসরণ করা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। তাঁর পথনির্দেশনা শুধু আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য নয়, বরং ব্যক্তিগত, সামাজিক, এবং রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের জন্যও অপরিহার্য।

ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার সভাপতি মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আসিফ আব্দুল্লার সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুর মান্নান।