ঢাকা ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ২ শতাংশ

বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ২ শতাংশ

আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানায়, গত অক্টোবরে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে ১৮ মাসে সর্বোচ্চ হয়েছে। ভোজ্য তেলসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়ায় সার্বিক বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

সংস্থা জানায়, গত অক্টোবরে খাদ্যপণ্যে মূল্যসূচক ছিল ১২৭.৪ পয়েন্ট, যা গত সেপ্টেম্বরের চেয়ে ২.০ শতাংশ বেশি এবং এক বছর আগের একই সময়ের চেয়ে ৫.৫ শতাংশ বেশি।

জুলাইয়ের পর টানা তিন মাস এই সূচক বেড়েছে। মাংস, দুগ্ধজাত খাদ্য, শস্য, উদ্ভিজ্জ তেল ও চিনির দামের ভিত্তিতে এই সূচক প্রণয়ন করা হয়। গত মাসে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে উদ্ভিজ্জ তেলের দাম। উত্পাদন শঙ্কায় সেপ্টেম্বরের চেয়ে দাম বেড়েছে ৭.৩ শতাংশ।

এই দাম দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। পাম, সয় ও সূর্যমুখী ও রেপসিডের দাম বেড়েছে। তবে গত মাসে আবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য চালের দাম কমেছে ৫.৬ শতাংশ। এর বিপরীতে চিনির দাম বেড়েছে ২.৬ শতাংশ এবং দুগ্ধপণ্যের দাম বেড়েছে ১.৯ শতাংশ, ২০২০ সালে এফএওর গড় খাদ্যমূল্যসূচক ছিল ৯৮.১ পয়েন্ট।

২০২১ ও ২০২২ সালে তা অনেকটা বেড়ে যায়। ২০২১ সালে এই সূচকের মান দাঁড়ায় ১২৫.৭ পয়েন্ট। ২০২২ সালে তা আরো বেড়ে দাঁড়ায় ১৪৪.৫ পয়েন্ট। সেবার মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যসূচক অনেকটা বেড়ে যায়। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মূল্যস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে।

বিশেষ করে খাদ্যমূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের দুর্দশার অন্ত ছিল না।

এরপর মূল্যসূচক আবার কমেছে। ২০২৩ সালে এই সূচকের মান দাঁড়ায় ১২৪.৫ পয়েন্ট। চলতি বছর এই সূচকের সর্বনিম্ন মান ছিল ফেব্রুয়ারিতে ১১৭.৪ পয়েন্ট; সর্বোচ্চ গত অক্টোবর মাসে ১২৭.৪ পয়েন্ট।

জনপ্রিয় সংবাদ

কলকাতায় তারকাদের মধ্যমণি হয়ে উঠলেন শাকিব খান

বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ২ শতাংশ

আপডেট সময় ১০:০২:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানায়, গত অক্টোবরে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে ১৮ মাসে সর্বোচ্চ হয়েছে। ভোজ্য তেলসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়ায় সার্বিক বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

সংস্থা জানায়, গত অক্টোবরে খাদ্যপণ্যে মূল্যসূচক ছিল ১২৭.৪ পয়েন্ট, যা গত সেপ্টেম্বরের চেয়ে ২.০ শতাংশ বেশি এবং এক বছর আগের একই সময়ের চেয়ে ৫.৫ শতাংশ বেশি।

জুলাইয়ের পর টানা তিন মাস এই সূচক বেড়েছে। মাংস, দুগ্ধজাত খাদ্য, শস্য, উদ্ভিজ্জ তেল ও চিনির দামের ভিত্তিতে এই সূচক প্রণয়ন করা হয়। গত মাসে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে উদ্ভিজ্জ তেলের দাম। উত্পাদন শঙ্কায় সেপ্টেম্বরের চেয়ে দাম বেড়েছে ৭.৩ শতাংশ।

এই দাম দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। পাম, সয় ও সূর্যমুখী ও রেপসিডের দাম বেড়েছে। তবে গত মাসে আবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য চালের দাম কমেছে ৫.৬ শতাংশ। এর বিপরীতে চিনির দাম বেড়েছে ২.৬ শতাংশ এবং দুগ্ধপণ্যের দাম বেড়েছে ১.৯ শতাংশ, ২০২০ সালে এফএওর গড় খাদ্যমূল্যসূচক ছিল ৯৮.১ পয়েন্ট।

২০২১ ও ২০২২ সালে তা অনেকটা বেড়ে যায়। ২০২১ সালে এই সূচকের মান দাঁড়ায় ১২৫.৭ পয়েন্ট। ২০২২ সালে তা আরো বেড়ে দাঁড়ায় ১৪৪.৫ পয়েন্ট। সেবার মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যসূচক অনেকটা বেড়ে যায়। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মূল্যস্ফীতি রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে।

বিশেষ করে খাদ্যমূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের দুর্দশার অন্ত ছিল না।

এরপর মূল্যসূচক আবার কমেছে। ২০২৩ সালে এই সূচকের মান দাঁড়ায় ১২৪.৫ পয়েন্ট। চলতি বছর এই সূচকের সর্বনিম্ন মান ছিল ফেব্রুয়ারিতে ১১৭.৪ পয়েন্ট; সর্বোচ্চ গত অক্টোবর মাসে ১২৭.৪ পয়েন্ট।