ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে‘গোপন বৈঠক’করেন ৭০ ইউপি সদস্য,গ্রেপ্তার ১৯

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ১০:৫৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪
  • 46

কক্সবাজারের কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেলে ‘গোপন বৈঠক’করেন আওয়ামী লীগপন্থিসহ ৭০ জন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য। এর মধ্যে এজহার ভুক্ত মামলার আসামী থাকায় থাকায় ১৯ জন ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে এক আবাসিক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে বৈঠক চলাকালীন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমান।

সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার ইউপি সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলেন ওই ইউপি সদস্যরা। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে সভাটি পণ্ড করে দেয়। ঘণ্টাব্যাপী পুলিশ হল রুম ঘেরাও করে রাখে।

আটক হওয়া টেকনাফ সদর ইউপি সদস্য জহির আহমেদ জানায়, জেলার ইউপি সদস্যের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনর আলোচনা সভা ছিল। আমরা প্রায় ৭০ জনের মত ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলাম। সেখানে দেশের ক্লান্তিকালে কীভাবে কাজ করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। হঠাৎ অতর্কিতভাবে পুলিশ ও সমন্বয়করা ঢুকে আমাদের আটক করেন। আমাদের যদি গোপন বৈঠক থাকতো, তাহলে সড়কের পাশে হোটেলে এতবড় অনুষ্ঠান হতো না। আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, আওয়ামীপন্থি ইউপি সদস্যরা গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদে ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। বৈঠকে ৭০ জন ইউপি সদস্য উপস্থিত থাকলেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৯ জনকে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারে‘গোপন বৈঠক’করেন ৭০ ইউপি সদস্য,গ্রেপ্তার ১৯

আপডেট সময় ১০:৫৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেলে ‘গোপন বৈঠক’করেন আওয়ামী লীগপন্থিসহ ৭০ জন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য। এর মধ্যে এজহার ভুক্ত মামলার আসামী থাকায় থাকায় ১৯ জন ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে এক আবাসিক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে বৈঠক চলাকালীন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমান।

সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার ইউপি সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলেন ওই ইউপি সদস্যরা। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে সভাটি পণ্ড করে দেয়। ঘণ্টাব্যাপী পুলিশ হল রুম ঘেরাও করে রাখে।

আটক হওয়া টেকনাফ সদর ইউপি সদস্য জহির আহমেদ জানায়, জেলার ইউপি সদস্যের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনর আলোচনা সভা ছিল। আমরা প্রায় ৭০ জনের মত ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলাম। সেখানে দেশের ক্লান্তিকালে কীভাবে কাজ করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। হঠাৎ অতর্কিতভাবে পুলিশ ও সমন্বয়করা ঢুকে আমাদের আটক করেন। আমাদের যদি গোপন বৈঠক থাকতো, তাহলে সড়কের পাশে হোটেলে এতবড় অনুষ্ঠান হতো না। আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, আওয়ামীপন্থি ইউপি সদস্যরা গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদে ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। বৈঠকে ৭০ জন ইউপি সদস্য উপস্থিত থাকলেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৯ জনকে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।