হেমন্তকাল প্রায় শেষ এরপরই আসবে শীতকাল। যদিও শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে এখন থেকেই। কারণ এখনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিমেল হাওয়া ও কুয়াশার দেখা মিলেছে।আবহাওয়া অফিস বলছে, চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া কুয়াশা জানান দিচ্ছে আর কিছু দিন পরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জাঁকিয়ে পড়বে শীত।
নভেম্বর-ডিসেম্বর-জানুয়ারি এই তিন মাসের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস বলছে , শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসতে পারে, এতে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়,এবারের শীত মৌসুমে দেশে ৮ থেকে ১০টি মৃদু (তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২-৩টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে।
পূর্বাভাস বলছে, পুরোদমে শীত আসবে ডিসেম্বরের শুরু থেকে। উত্তরাঞ্চলে এ সময় থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীত অনুভূত হতে পারে। যদিও এরই মধ্যে গ্রামাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। তবে রাজধানীতে ভারী শীত আসতে পারে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে।
ভারী শীতের সময়ে টানা ৩ থেকে ৪ দিন শীত পড়ে, আবার তাপমাত্রা বেড়ে যায়। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাসে এরকম দেখা যায়। গত মৌসুমে খুব বেশি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ছিল না, কিন্ত কুয়াশার কারণে পরিবেশ অস্বাভাবিক ছিল।
ভারী শীতের আগে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসময় বঙ্গোপসাগরে ২ থেকে ৫টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১-২টি নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।