বগুড়ার টিএমএসএস টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আলী হোসেন সৌরভ (২০) এর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার ঠেঙ্গামারা এলাকায় বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, নিহতের স্বজনসহ এলাকার কয়েকশ’ নারী-পুরুষ এতে অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তারা সৌরভ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলার নিশিন্দারা ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি শাহিনুর রহমান টম্পী, নিশিন্দারা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জুলফিকার সরকার, ইকবাল হোসেন তালুকদার, জাকির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রেজাউল করিম, সজিব, নিহত সৌরভের পিতা আব্দুল মোমিন, মা আলেফ বানু, বড় ভাই আলী হাসান শাওন প্রমূখ।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে নিহতের মা আলেফ বানু বলেন, আমার ছেলেকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আমি এখনো কোন বিচার পাইনি। আমার নিষ্পাপ নির্দোষ সন্তান সৌরভের হত্যাকারীদের দ্রুত খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে ঠেঙ্গামারা এলাকার একটি দোকানে চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে বসেছিলেন সৌরভ। এ সময় সেখানে মোটরসাইকেল যোগে তাদের আরও কয়েকজন বন্ধু আসে এবং তাদের সঙ্গে চলে যান সৌরভ। কিছুক্ষণ পর সৌরভকে নিয়ে যাওয়া এক বন্ধু মোবাইলে তার স্বজনদের জানায়, সৌরভের বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাকে টিএমএসএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে সৌরভের মরদেহ দেখতে পান। তবে যারা ভর্তি করেছে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। টিএমএসএস মেডিকেল কলেজে তার মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় গত রোববার দুপুরে নিহতের পিতা আব্দুল মোমিন বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত আলী হোসেন সৌরভ টিএমএসএস টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ওই এলাকার আব্দুল মোমিনের ছেলে।