ঢাকা ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল বিশ্বকাপে যায়গা না পাওয়া দল মহররমের চাঁদ দেখা যায়নি, আশুরা ১৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি মুক্তির বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হামাস চলমান আন্দোলনকে আদালত বিরোধী বলা দেশকে মেধাশূণ্য করার নামান্তর: ইসলামী আন্দোলন নারীর গোসলের ভিডিও করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক পুলিশ সদস্য ডুয়েট শিক্ষার্থী রিফাত-তাওহীদ এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সক্রিয় চাঁদাবাজ চক্র রাতের আঁধারে ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ বগুড়ায় স্বপ্নপূরণ স্কুলে দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টি থেকে এমপি হলেন ২২ বছরের স্যাম কার্লিং কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে সংবিধানবিরোধী: জি এম কাদের

নিজেদের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত হামাসের

নিজেদের বানানো ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ‘আল-ইয়াসিন’ ব্যবহার করে ইসরায়েলের স্থল হামলা প্রতিহত করার দাবি করেছেন হামাসের যোদ্ধারা। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) গাজায় ইসরায়েলের স্থল হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সম্প্রতিকালে গাজায় স্থল হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহতের পর প্রতিশোধ হিসেবে দেশটি গত ২৪ দিন ধরে গাজায় নির্বিচার বিমানহামলা চালাচ্ছে। পাশাপাশি সীমিত আকারে স্থল হামলাও চালানো হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে গতকাল গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না জানিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এটা যুদ্ধের সময়’। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী সোমবার থেকে গাজার উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে যাওয়া সড়ক লক্ষ্য করে দুটি ভিন্ন অবস্থান থেকে স্থল হামলা চালায়। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের সেনারা হামাসের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর এক সদস্যকে উদ্ধার করেছে। ইসরায়েলের দাবি, ৭ অক্টোবর ২৩৯ জনকে জিম্মি করে হামাস।

অপরদিকে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে আজ ভোরে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ হয় বলে জানা যায়। আল-কাসাম ব্রিগেডে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী চারটি সামরিক গাড়ি নিয়ে দক্ষিণ গাজায় হামলা চালাচ্ছিল। গাড়িগুলোতে মেশিনগান বসানো ছিল। আল-কাসাম স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আল-ইয়াসিন ১০৫ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলের এই হামলা প্রতিহত করেছে। উত্তর-পশ্চিম গাজায় দুটি ইসরায়েলি ট্যাংক ও একটি বুলডোজারের বিরুদ্ধেও একই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানায় আল-কাসাম ব্রিগেড।

যুদ্ধক্ষেত্রের এসব প্রতিবেদন রয়টার্স যাচাই করতে পারেনি। এ বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর কাছে মন্তব্য চাওয়া হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। পৃথকভাবে ইসরায়েল দাবি করেছে, আজ তাদের সেনাবাহিনী হামাসের মাটির নিচের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কে হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত এক দিনে আইডিএফ প্রায় ৩০০ অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল মাটির নিচে অবস্থিত ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ছোঁড়ার অবকাঠামো ও হামাসের সামরিক কমপাউন্ড।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামাসের যোদ্ধারা মেশিন গান ও ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রত্যুত্তর দেয়। সেনাবাহিনীরা হামাসের যোদ্ধাদের হত্যা করেছে এবং বিমানবাহিনীকে তাদের অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে গতকাল পর্যন্ত ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৮ হাজার ৩০৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩ হাজার ৪৫৭ জনই শিশু। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানান, গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১৪ লাখই গৃহহীন হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ইসরায়েলের শীর্ষ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির জোরালো দাবি আসছে।

সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী স্থল হামলার ক্ষেত্রে ধীরে চলার নীতি অনুসরণ করছে। তারা আশা করছে, হামাস জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী হতে পারে।

ট্যাগস :

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল বিশ্বকাপে যায়গা না পাওয়া দল

নিজেদের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত হামাসের

আপডেট সময় ০৩:০২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

নিজেদের বানানো ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ‘আল-ইয়াসিন’ ব্যবহার করে ইসরায়েলের স্থল হামলা প্রতিহত করার দাবি করেছেন হামাসের যোদ্ধারা। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) গাজায় ইসরায়েলের স্থল হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সম্প্রতিকালে গাজায় স্থল হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ১ হাজার ৪০০ ইসরায়েলি নিহতের পর প্রতিশোধ হিসেবে দেশটি গত ২৪ দিন ধরে গাজায় নির্বিচার বিমানহামলা চালাচ্ছে। পাশাপাশি সীমিত আকারে স্থল হামলাও চালানো হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে গতকাল গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে না জানিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এটা যুদ্ধের সময়’। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী সোমবার থেকে গাজার উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে যাওয়া সড়ক লক্ষ্য করে দুটি ভিন্ন অবস্থান থেকে স্থল হামলা চালায়। তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের সেনারা হামাসের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর এক সদস্যকে উদ্ধার করেছে। ইসরায়েলের দাবি, ৭ অক্টোবর ২৩৯ জনকে জিম্মি করে হামাস।

অপরদিকে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে আজ ভোরে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ হয় বলে জানা যায়। আল-কাসাম ব্রিগেডে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী চারটি সামরিক গাড়ি নিয়ে দক্ষিণ গাজায় হামলা চালাচ্ছিল। গাড়িগুলোতে মেশিনগান বসানো ছিল। আল-কাসাম স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আল-ইয়াসিন ১০৫ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলের এই হামলা প্রতিহত করেছে। উত্তর-পশ্চিম গাজায় দুটি ইসরায়েলি ট্যাংক ও একটি বুলডোজারের বিরুদ্ধেও একই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানায় আল-কাসাম ব্রিগেড।

যুদ্ধক্ষেত্রের এসব প্রতিবেদন রয়টার্স যাচাই করতে পারেনি। এ বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর কাছে মন্তব্য চাওয়া হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। পৃথকভাবে ইসরায়েল দাবি করেছে, আজ তাদের সেনাবাহিনী হামাসের মাটির নিচের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কে হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত এক দিনে আইডিএফ প্রায় ৩০০ অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল মাটির নিচে অবস্থিত ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ছোঁড়ার অবকাঠামো ও হামাসের সামরিক কমপাউন্ড।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামাসের যোদ্ধারা মেশিন গান ও ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রত্যুত্তর দেয়। সেনাবাহিনীরা হামাসের যোদ্ধাদের হত্যা করেছে এবং বিমানবাহিনীকে তাদের অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে গতকাল পর্যন্ত ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৮ হাজার ৩০৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩ হাজার ৪৫৭ জনই শিশু। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানান, গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১৪ লাখই গৃহহীন হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ইসরায়েলের শীর্ষ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির জোরালো দাবি আসছে।

সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী স্থল হামলার ক্ষেত্রে ধীরে চলার নীতি অনুসরণ করছে। তারা আশা করছে, হামাস জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী হতে পারে।