যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত যে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে তাতে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের প্রক্ষেপণে (প্রজেকশন) এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ২০৭টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট জিততে পারেন বলে আভাস মিলছে।
অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট কমালা হ্যারিস মাত্র ৯১টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন। তাতে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস নির্বাচনের আগে পাওয়া যাচ্ছিল, তা এখন মনে হচ্ছে।
কারণ, ট্রাম্পের তুলনায় এখন পর্যন্ত ঠিক অর্ধেক ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে চলেছেন। তবে বলা যায় না। এখনও পরিস্থিতি ঘুরে যেতে পারে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা সুদূরপরাহত বলেই মনে হচ্ছে। কারণ, ট্রাম্প যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন তাতে তাকে ধরে ফেলা কমালার জন্য খুবই খুবই কঠিন।
সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বলছে, নির্বাচনে নারীরা কমালা হ্যারিসকে সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনের আগে লিঙ্গভিত্তিক যে ব্যবধানের কথা বলা হয়েছিল এক্ষেত্রে সেটা প্রকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। শতকরা ৫৪ ভাগ নারী এখন পর্যন্ত কমালাকে সমর্থন দিয়েছেন বলে বলা হচ্ছে। অন্যদিকে ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন শতকরা ৪৪ ভাগ নারী। কিন্তু কমালা হ্যারিস এই হিসাবে এগিয়ে থাকলেও নারীদের ভোটের ক্ষেত্রে কমালা এবং ট্রাম্পের মধ্যে ব্যবধান খুব বেশি নয়। এর আগে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শতকরা ৫৭ ভাগ নারী ভোট দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। সেই হিসাবে নারীদের ভোট কম পেয়েছেন কমালা।
জাতীয় বুথফেরত জরিপ অনুযায়ী, নির্বাচনের ফল প্রতি মুহূর্তেই আপডেট হচ্ছে। ফলে আমরা যে ফল প্রকাশ করছি তা স্থির নয় বা চূড়ান্ত নয়। এ ফল যেকোনো মুহূর্তে বদলে যেতে পারে। বিশেষ করে যে সুইং স্টেটগুলোর দিকে সবার চোখ, সেখান থেকে এখনও পরিষ্কার তথ্য মিলছে না। অন্যদিকে জাতিগত দিক দিয়ে ট্রাম্পকে বেশি ভোট দিয়েছেন শ্বেতাঙ্গরা। আর কৃষ্ণাঙ্গরা বেশি ভোট দিয়েছেন কমালাকে। তিনি এগিয়ে আছেন হিস্প্যানিক ভোটারদের ভোটেও। একই সঙ্গে কলেজ পড়ুয়া ও তরুণ ভোটারদের দিক দিয়েও তিনি এগিয়ে।