ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা Logo পরিবেশের প্রতি প্রতিশ্রুতি:সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রশিবিরের বৃক্ষরোপণ অভিযান Logo এডওয়ার্ড কলেজে ছাত্রশিবিরের বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি পালন Logo মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখানে বিদ্যুৎ বিল কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫ Logo পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তিন বছর পূর্তি আজ Logo ‘অভ্যুত্থানের ঐক্য এখন নেই বলেই বাংলাদেশে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে’ Logo ‘সাহসিকতার সঙ্গে লড়েছে’ ইরান, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Logo ভারতীয় নাগরিককে ‘জুলাই যোদ্ধা’ বানিয়ে অপপ্রচার, Logo মাকে হত্যার দায়ে মাদকাসক্ত ছেলে গ্রেপ্তার Logo উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় বিক্ষোভ

বাগেরহাটে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

বাগেরহাটে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সজীব তরফদারকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে সজীবের মাথায় চারটি গুলি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার বাগেরহাট-রামপাল আঞ্চলিক সড়কের মির্জাপুর আমতলা মসজিদের সামনে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত সজিব তরফদার ডেমা গ্রামের মৃত সিদ্দিক তরফদারের ছেলে। তিনি ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। এলাকাবাসী জানান, চাচা কামাল তরফদারকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে বাগেরহাট-রামপাল সড়ক দিয়ে বাগেরহাট শহরে যাচ্ছিলেন সজিব তরফদার। দুপুর ২টার দিকে মির্জাপুর আমতলা মসজিদের সামনে পৌঁছালে কিছু লোক তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। তারা গুলি করে ও কুপিয়ে সজিব তরফদারকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এসময় গুলিতে মোটরসাইকেলে থাকা নিহতের চাচা কামাল তরফদার আহত হন। তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হত্যাকণ্ডের তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যা, এর পেছনে যারা রয়েছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

সজিবের বড় ভাই নাজমুল তরফদার বলেন, ‌‘সজিব বাড়ি থেকে বাগেরহাটে যাচ্ছিল। সঙ্গে চাচা ছিলেন। হামলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে দেখি আমার ভাইয়ের মাথায় চারটি গুলি লেগেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক বলেন, ‘সজিব তরফদার জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। সে কারণেও তার প্রতিপক্ষরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।’

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ বলেন, ‘ধারণা করছি, শটগান দিয়ে গুলি করে তাকে (সজিব তরফদার) হত্যা করা হয়েছে। হত্যা নিশ্চিত করতে একাধিক দল ছিল, হত্যাকারীরা মুখোশ পড়া ছিল। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। খুব দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নের নির্ভরযোগ্য অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা

বাগেরহাটে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা

আপডেট সময় ০৮:৫০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সজীব তরফদারকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে সজীবের মাথায় চারটি গুলি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার বাগেরহাট-রামপাল আঞ্চলিক সড়কের মির্জাপুর আমতলা মসজিদের সামনে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত সজিব তরফদার ডেমা গ্রামের মৃত সিদ্দিক তরফদারের ছেলে। তিনি ডেমা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। এলাকাবাসী জানান, চাচা কামাল তরফদারকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে বাগেরহাট-রামপাল সড়ক দিয়ে বাগেরহাট শহরে যাচ্ছিলেন সজিব তরফদার। দুপুর ২টার দিকে মির্জাপুর আমতলা মসজিদের সামনে পৌঁছালে কিছু লোক তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। তারা গুলি করে ও কুপিয়ে সজিব তরফদারকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এসময় গুলিতে মোটরসাইকেলে থাকা নিহতের চাচা কামাল তরফদার আহত হন। তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হত্যাকণ্ডের তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তারা নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যা, এর পেছনে যারা রয়েছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

সজিবের বড় ভাই নাজমুল তরফদার বলেন, ‌‘সজিব বাড়ি থেকে বাগেরহাটে যাচ্ছিল। সঙ্গে চাচা ছিলেন। হামলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে দেখি আমার ভাইয়ের মাথায় চারটি গুলি লেগেছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক বলেন, ‘সজিব তরফদার জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। সে কারণেও তার প্রতিপক্ষরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।’

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ বলেন, ‘ধারণা করছি, শটগান দিয়ে গুলি করে তাকে (সজিব তরফদার) হত্যা করা হয়েছে। হত্যা নিশ্চিত করতে একাধিক দল ছিল, হত্যাকারীরা মুখোশ পড়া ছিল। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। খুব দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’