রাজধানীর মিরপুরে একটি পোশাক কারখানার বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত কর্মীদের ওপর স্থানীয় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বেশ কয়েকজন পোশাককর্মী আহত হন। এরপরই পোশাককর্মীরা পোশাক কারখানায় হামলা চালান এবং গলি থেকে বের হয়ে মূল সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় আশপাশের পোশাক কারখানার কর্মীরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এখনও (দুপুর ১টা পর্যন্ত) আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।
স্থানীয় ইপিলিয়ন গ্রুপের পোশাককর্মীদের অভিযোগ, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করার সময় ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা–কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তবে অভিযোগ সম্পর্কে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কারও সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ইপিলিয়ন গ্রুপের ওই কারখানার কর্মীরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে কারখানার সামনের গলিতে বিক্ষোভ করছিলেন। তখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের একদল নেতা-কর্মী তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় কয়েকজন আহত হন। এতে পোশাককর্মীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ইপিলিয়নের কারখানার আশপাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে পল্লবী মেট্রো রেলস্টেশন এলাকার সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন পোশাককর্মীরা। শ্রমিকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে অবস্থান করছেন। তাঁরা গলিতে ইপিলিয়ন কারখানা ও আশপাশের ভবনের সিসিটিভি ভাঙচুর করেছেন। মিরপুর-পল্লবীর মূল সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ইপিলিয়ন কারখানার শ্রমিক চম্পা খাতুন বলেন, সকালে বেতন বাড়ানোর বিষয় নিয়ে ইপিলিয়ন গ্রুপের প্রশাসনের সঙ্গে তাঁরা কথা বলছিলেন। এ সময় তাঁদের ওপর হামলা হয়। তাঁদের অনেকেই আহত হয়েছেন।
পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর হামলা হওয়ার পর তাঁরা রাস্তায় নেমে এসেছেন।