ঢাকা ১১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারা ছিল আ. লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল: হাছান মাহমুদ

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারা ছিল আ. লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল: হাছান মাহমুদ

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারা আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এটা আমার দলের অভিমত না। ব্যক্তি হাছান মাহমুদের অভিমত। বিএনপি অবশ্যই সব সময় নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে।

কিন্তু যেহেতু আমরা দায়িত্বে ছিলাম আমাদের এ জায়গায় ব্যর্থতা ছিল যে, বিএনপিকে আমরা একোমডেট করে নির্বাচনে আনতে ব্যর্থ হয়েছি। সেটি ২০১৪ ও ২০২৪ সালে নির্বাচনে আনতে না পারাটা আমাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতা।
রবিবার (৪ নভেম্বর) লন্ডনভিত্তিক ‘চ্যানেল এস’ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, যদিও বিএনপি সব সময় নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার পথে হেঁটেছে।

তারপরও আমি মনে করি আমরা যেহেতু সরকারে ছিলাম তাদেরকে আনতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা। যদিও-বা তারা সব সময় আমাদের এভাবে ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেটি আমাদেরও ব্যর্থতা। এটি আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।

এটা আমার দলীয় বক্তব্য নয়।

দলীয় ফোরামে কি এ বিষয়টি পরামর্শ হিসেবে সামনে এনেছিলেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দলীয় ফোরামে নানা সময় নানা কথা হয়েছে। সেখানে বিশদ আলোচনা হয়েছে এমন না। তবে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার ব্যাপারে অবশ্যই আলোচনা হয়েছে। বিএনপিকে নির্বাচনে আনা, বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, বিএনপির প্রয়োজন- সে নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে।

এসময় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির সঙ্গে কাজ করতে তার দল আগ্রহী বলেও জানান হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আমি বিএনপির সাথে অনেকক্ষেত্রে একমত। দেশের ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ প্রয়োজন হলে বিএনপির সঙ্গে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রস্তুত। বিএনপি যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছে, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, সেটির সাথে আমরা একমত এবং প্রয়োজনে বিএনপির সাথে একযোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা কাজ করব।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির অনেক বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত। আমরা এক-এগারোর সরকারের সঙ্গে একযোগেই কিন্তু গণতন্ত্রে ফিরিয়ে আনার জন্য, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আমরা আন্দোলন করেছিলাম এবং গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের আপত্তির বিষয়েও কথা বলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যে বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার আমরা কারা?’ এই যে প্রশ্ন তুলেছেন, আমি এটির সাথে একমত। এমনকি ছাত্রলীগকে কাগজে নিষিদ্ধ করার পর সেটির বিরুদ্ধেও তারা বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তাদের এই বক্তব্যের সাথে একমত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবসহ তাদের শীর্ষ নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা- এই বক্তব্যের সাথে আমি পুরোপুরি একমত। এছাড়াও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ প্রশ্ন থেকে শুরু করে দেশে যাতে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি না হয়, এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থানকেও সাধুবাদ জানাই।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারা ছিল আ. লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল: হাছান মাহমুদ

আপডেট সময় ০৩:০২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারা আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এটা আমার দলের অভিমত না। ব্যক্তি হাছান মাহমুদের অভিমত। বিএনপি অবশ্যই সব সময় নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে।

কিন্তু যেহেতু আমরা দায়িত্বে ছিলাম আমাদের এ জায়গায় ব্যর্থতা ছিল যে, বিএনপিকে আমরা একোমডেট করে নির্বাচনে আনতে ব্যর্থ হয়েছি। সেটি ২০১৪ ও ২০২৪ সালে নির্বাচনে আনতে না পারাটা আমাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতা।
রবিবার (৪ নভেম্বর) লন্ডনভিত্তিক ‘চ্যানেল এস’ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, যদিও বিএনপি সব সময় নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার পথে হেঁটেছে।

তারপরও আমি মনে করি আমরা যেহেতু সরকারে ছিলাম তাদেরকে আনতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা। যদিও-বা তারা সব সময় আমাদের এভাবে ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেটি আমাদেরও ব্যর্থতা। এটি আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।

এটা আমার দলীয় বক্তব্য নয়।

দলীয় ফোরামে কি এ বিষয়টি পরামর্শ হিসেবে সামনে এনেছিলেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দলীয় ফোরামে নানা সময় নানা কথা হয়েছে। সেখানে বিশদ আলোচনা হয়েছে এমন না। তবে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার ব্যাপারে অবশ্যই আলোচনা হয়েছে। বিএনপিকে নির্বাচনে আনা, বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, বিএনপির প্রয়োজন- সে নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে।

এসময় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির সঙ্গে কাজ করতে তার দল আগ্রহী বলেও জানান হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আমি বিএনপির সাথে অনেকক্ষেত্রে একমত। দেশের ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ প্রয়োজন হলে বিএনপির সঙ্গে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রস্তুত। বিএনপি যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছে, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, সেটির সাথে আমরা একমত এবং প্রয়োজনে বিএনপির সাথে একযোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা কাজ করব।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির অনেক বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত। আমরা এক-এগারোর সরকারের সঙ্গে একযোগেই কিন্তু গণতন্ত্রে ফিরিয়ে আনার জন্য, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আমরা আন্দোলন করেছিলাম এবং গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের আপত্তির বিষয়েও কথা বলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যে বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার আমরা কারা?’ এই যে প্রশ্ন তুলেছেন, আমি এটির সাথে একমত। এমনকি ছাত্রলীগকে কাগজে নিষিদ্ধ করার পর সেটির বিরুদ্ধেও তারা বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তাদের এই বক্তব্যের সাথে একমত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবসহ তাদের শীর্ষ নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা- এই বক্তব্যের সাথে আমি পুরোপুরি একমত। এছাড়াও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ প্রশ্ন থেকে শুরু করে দেশে যাতে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি না হয়, এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থানকেও সাধুবাদ জানাই।