ঢাকা ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ‍যুদ্ধ বন্ধে প্রয়োজনীয় সবকিছু করব: কমলা হ্যারিস

গাজায় ‍যুদ্ধ বন্ধে প্রয়োজনীয় সবকিছু করব: কমলা হ্যারিস

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনীত প্রার্থী কমলা হ্যারিস। নির্বাচনের মাত্র দুইদিন আগে গতকাল রোববার ‘সুইং স্টেট’ হিসেবে পরিচিত মিশিগানের ইস্ট ল্যানসিংয়ে একটি সমাবেশে ভাষণ দেন তিনি। প্রায় ২ লাখ আরব আমেরিকানদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে কমলা হ্যারিস হ্যারিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ করার জন্য তার ক্ষমতায় সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সোমবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

হ্যারিস বলেছেন, ‘গাজায় মৃত্যু ও ধ্বংসের মাত্রা এবং লেবাননে বেসামরিক হতাহত ও বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে এই বছরটি কঠিন ছিল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে, আমি গাজার যুদ্ধের অবসান ঘটাতে, ইসরায়েলি জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণ যেন তাদের মর্যাদার অধিকার উপলব্ধি করতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য আমার ক্ষমতার সবকিছুই করব।’

মিশিগানের আরব-মার্কিন বংশোদ্ভূত নাগরিকদের ভোটের হিস্যা পেতেই এমন ঘোষণা দিয়েছেন কমলা হ্যারিস। কেননা গত শুক্রবার আরব-আমেরিকানদের সামনে হাজির হয়েছিলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহৎ আরব-আমেরিকান জনবহুল এলাকা ডেয়ারবর্ন শহরে সফর করেন তিনি। সেখানে তিনি গাজায় যুদ্ধের পেছনে ডেমোক্র্যাটদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

মিশিগানে প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার নিবন্ধিত মুসলিম ভোটার রয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে সমর্থন করেছিলেন। এবারও তাদের থেকে একই ধরনের সমর্থন আশা করছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা।

তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের জন্য মিশিগানে আরব-আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে বাইডেন-কমলা প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ রয়েছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণী রাজ্যগুলো ‘সুইং স্টেট’ হিসেবে পরিচিত। এ বছর সাতটি স্টেটকে সুইং বলা হচ্ছে। এগুলো হলো অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিন।

হোয়াইট হাউসে জয়ী হওয়ার জন্য কে ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পাবে তা নির্ধারণ করবে এই সাতটি সুইং স্টেট। এর মধ্যে মিশিগানেই রয়েছে ১৫টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। ট্রাম্প বা হ্যারিসের জয়ের ক্ষেত্রে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গাজায় ‍যুদ্ধ বন্ধে প্রয়োজনীয় সবকিছু করব: কমলা হ্যারিস

আপডেট সময় ০৮:১২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনীত প্রার্থী কমলা হ্যারিস। নির্বাচনের মাত্র দুইদিন আগে গতকাল রোববার ‘সুইং স্টেট’ হিসেবে পরিচিত মিশিগানের ইস্ট ল্যানসিংয়ে একটি সমাবেশে ভাষণ দেন তিনি। প্রায় ২ লাখ আরব আমেরিকানদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে কমলা হ্যারিস হ্যারিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শেষ করার জন্য তার ক্ষমতায় সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

সোমবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

হ্যারিস বলেছেন, ‘গাজায় মৃত্যু ও ধ্বংসের মাত্রা এবং লেবাননে বেসামরিক হতাহত ও বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণে এই বছরটি কঠিন ছিল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে, আমি গাজার যুদ্ধের অবসান ঘটাতে, ইসরায়েলি জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ফিলিস্তিনি জনগণ যেন তাদের মর্যাদার অধিকার উপলব্ধি করতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য আমার ক্ষমতার সবকিছুই করব।’

মিশিগানের আরব-মার্কিন বংশোদ্ভূত নাগরিকদের ভোটের হিস্যা পেতেই এমন ঘোষণা দিয়েছেন কমলা হ্যারিস। কেননা গত শুক্রবার আরব-আমেরিকানদের সামনে হাজির হয়েছিলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহৎ আরব-আমেরিকান জনবহুল এলাকা ডেয়ারবর্ন শহরে সফর করেন তিনি। সেখানে তিনি গাজায় যুদ্ধের পেছনে ডেমোক্র্যাটদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

মিশিগানে প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার নিবন্ধিত মুসলিম ভোটার রয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে সমর্থন করেছিলেন। এবারও তাদের থেকে একই ধরনের সমর্থন আশা করছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা।

তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের জন্য মিশিগানে আরব-আমেরিকান ভোটারদের মধ্যে বাইডেন-কমলা প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ রয়েছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণী রাজ্যগুলো ‘সুইং স্টেট’ হিসেবে পরিচিত। এ বছর সাতটি স্টেটকে সুইং বলা হচ্ছে। এগুলো হলো অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিন।

হোয়াইট হাউসে জয়ী হওয়ার জন্য কে ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পাবে তা নির্ধারণ করবে এই সাতটি সুইং স্টেট। এর মধ্যে মিশিগানেই রয়েছে ১৫টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। ট্রাম্প বা হ্যারিসের জয়ের ক্ষেত্রে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।