ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জামালপুর জেলা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সির গ্রেফতার Logo আগের মত মিডিয়া এখনো নিয়ন্ত্রিত: নাহিদ ইসলাম Logo সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে যা বলছে ভারত Logo ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের কঠোর শাস্তি চাইলেন নাহিদ ইসলাম Logo ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ জারির দাবিতে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি Logo এনসিপি-গণঅধিকার একীভূত হওয়ার গুঞ্জন, যা বলছেন নেতারা Logo আমাদের লাল বাস ট্র্যাকিং অ্যাপ উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে ডাকসু নেতারা Logo ভারতের জলসীমানায় আটক ১৩ বাংলাদেশি Logo শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নাহিদ ইসলামের দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু Logo শিক্ষকদের ভাতা বাড়াতে অর্থ উপদেষ্টাকে শিক্ষা উপদেষ্টার চিঠি

‘আমার কোনো সমস্যা নেই’ বললেন শিক্ষার্থীদের পেটানো ছাত্রলীগ নেতা

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • 197

শিক্ষার্থীদের পেটানো ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জিহাদ আহম্মেদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো ছাত্রলীগের এক নেতা বললেন- ‘আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি’। জাতীয় একটি গণমাধ্যমের হাতে আসা একটি ভিডিও থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জিহাদ আহম্মেদ। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। পটুয়াখালীর বাউফল পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী তিনি (আগের কমিটি ভাঙার পরে জুন মাসে সিভি জমা দিয়েছিল)।

ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, গত ১৬ জুলাই ঢাবি ছাত্র-ছাত্রীদের বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে জিহাদ আহম্মেদ। হামলার সময় তার হিংস্রতার দৃশ্য ভিডিওতে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।

সেদিন বিক্ষোভের সময় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ঢাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলায় বহিরাগতরাও যোগ দেয়। তাদের নৃশংস হামলায় ঢাবির প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হন। ওইদিন হাসপাতালে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পেটায় বহিরাগত ছাত্রলীগ। জিহাদও তাদের মধ্যে অন্যতম একজন।

ঢাকায় গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন জিহাদ। ১৬ জুলাই ঢাবিতে তার কর্মকাণ্ডের কারণে নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। আজ পর্যন্ত তিনি নিজ ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। বাউফলে ছাত্রলীগের একাংশের সব সভা-সমাবেশে প্রথম কাতারে দেখা যেত তাকে। বাউফল সরকারি কলেজে পড়াকালীন মারপিটসহ উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তিনি।

ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ আহম্মেদের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিন বলেন, আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি। সেদিন আমরা কয়েকজন ছিলাম। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য করেছি, নাহলে ওরা আমাদেরকেই মেরে ফেলত। ইউনিভার্সিটি থেকে ভর্তি বাতিল করেছি, ওখানে যাওয়া নিজের জীবনের রিস্ক, তাই যাইনি।

বাউফল উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মুনতাসীর তাসরিপ বলেন, ঢাবিতে হামলার মধ্য দিয়েই দেশ উত্তপ্ত হয়। ওই হামলা চালায় ছাত্রলীগ। বাউফলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যে বহিরাগতরা হামলায় জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে। তারা এখনও নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, যে ঘটনায় আমরা তাকে অভিযুক্ত করব, সেই ঘটনা আমার থানা অঞ্চলে হতে হবে। অন্য থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেই থানা চাইলে আমরা সহযোগিতা করতে পারি।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুর জেলা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সির গ্রেফতার

‘আমার কোনো সমস্যা নেই’ বললেন শিক্ষার্থীদের পেটানো ছাত্রলীগ নেতা

আপডেট সময় ০৯:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো ছাত্রলীগের এক নেতা বললেন- ‘আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি’। জাতীয় একটি গণমাধ্যমের হাতে আসা একটি ভিডিও থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জিহাদ আহম্মেদ। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। পটুয়াখালীর বাউফল পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী তিনি (আগের কমিটি ভাঙার পরে জুন মাসে সিভি জমা দিয়েছিল)।

ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, গত ১৬ জুলাই ঢাবি ছাত্র-ছাত্রীদের বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে জিহাদ আহম্মেদ। হামলার সময় তার হিংস্রতার দৃশ্য ভিডিওতে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।

সেদিন বিক্ষোভের সময় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ঢাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলায় বহিরাগতরাও যোগ দেয়। তাদের নৃশংস হামলায় ঢাবির প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হন। ওইদিন হাসপাতালে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পেটায় বহিরাগত ছাত্রলীগ। জিহাদও তাদের মধ্যে অন্যতম একজন।

ঢাকায় গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন জিহাদ। ১৬ জুলাই ঢাবিতে তার কর্মকাণ্ডের কারণে নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। আজ পর্যন্ত তিনি নিজ ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। বাউফলে ছাত্রলীগের একাংশের সব সভা-সমাবেশে প্রথম কাতারে দেখা যেত তাকে। বাউফল সরকারি কলেজে পড়াকালীন মারপিটসহ উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তিনি।

ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ আহম্মেদের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিন বলেন, আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি। সেদিন আমরা কয়েকজন ছিলাম। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য করেছি, নাহলে ওরা আমাদেরকেই মেরে ফেলত। ইউনিভার্সিটি থেকে ভর্তি বাতিল করেছি, ওখানে যাওয়া নিজের জীবনের রিস্ক, তাই যাইনি।

বাউফল উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মুনতাসীর তাসরিপ বলেন, ঢাবিতে হামলার মধ্য দিয়েই দেশ উত্তপ্ত হয়। ওই হামলা চালায় ছাত্রলীগ। বাউফলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যে বহিরাগতরা হামলায় জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে। তারা এখনও নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, যে ঘটনায় আমরা তাকে অভিযুক্ত করব, সেই ঘটনা আমার থানা অঞ্চলে হতে হবে। অন্য থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেই থানা চাইলে আমরা সহযোগিতা করতে পারি।