ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আওয়ামী স্বৈরাচারের চেয়েও এই স্বৈরাচার ভয়াবহ : কাদের সিদ্দিকী Logo কর্ণফুলী নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার Logo ডাকসু নির্বাচনে: উমামা ফাতেমার প্যানেলে ছাত্রলীগের দুই মুখ Logo ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটির তারিখ পরিবর্তন Logo এনসিপিকে বর্জন সহ হাসনাত-সারজিসকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আলটিমেটাম Logo দুবাই প্রিন্সেস শেখা মাহরা-ফ্রেঞ্চ মনটানার বাগদানের ঘোষণা Logo অক্টোবরে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু: শেখ বশিরউদ্দীন Logo ‘সকল সরকারই গাদ্দারি করেছে, মানুষ জামায়াতে ইসলামীর দিকেই তাকিয়ে আছে’ Logo এত দুর্বল সরকার আগে দেখেছেন? প্রশ্ন মাসুদ কামালের Logo রোজার আগেই নির্বাচন, ঘোষণা করা হলো রোডম্যাপ

‘আমার কোনো সমস্যা নেই’ বললেন শিক্ষার্থীদের পেটানো ছাত্রলীগ নেতা

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • 178

শিক্ষার্থীদের পেটানো ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জিহাদ আহম্মেদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো ছাত্রলীগের এক নেতা বললেন- ‘আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি’। জাতীয় একটি গণমাধ্যমের হাতে আসা একটি ভিডিও থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জিহাদ আহম্মেদ। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। পটুয়াখালীর বাউফল পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী তিনি (আগের কমিটি ভাঙার পরে জুন মাসে সিভি জমা দিয়েছিল)।

ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, গত ১৬ জুলাই ঢাবি ছাত্র-ছাত্রীদের বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে জিহাদ আহম্মেদ। হামলার সময় তার হিংস্রতার দৃশ্য ভিডিওতে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।

সেদিন বিক্ষোভের সময় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ঢাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলায় বহিরাগতরাও যোগ দেয়। তাদের নৃশংস হামলায় ঢাবির প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হন। ওইদিন হাসপাতালে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পেটায় বহিরাগত ছাত্রলীগ। জিহাদও তাদের মধ্যে অন্যতম একজন।

ঢাকায় গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন জিহাদ। ১৬ জুলাই ঢাবিতে তার কর্মকাণ্ডের কারণে নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। আজ পর্যন্ত তিনি নিজ ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। বাউফলে ছাত্রলীগের একাংশের সব সভা-সমাবেশে প্রথম কাতারে দেখা যেত তাকে। বাউফল সরকারি কলেজে পড়াকালীন মারপিটসহ উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তিনি।

ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ আহম্মেদের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিন বলেন, আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি। সেদিন আমরা কয়েকজন ছিলাম। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য করেছি, নাহলে ওরা আমাদেরকেই মেরে ফেলত। ইউনিভার্সিটি থেকে ভর্তি বাতিল করেছি, ওখানে যাওয়া নিজের জীবনের রিস্ক, তাই যাইনি।

বাউফল উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মুনতাসীর তাসরিপ বলেন, ঢাবিতে হামলার মধ্য দিয়েই দেশ উত্তপ্ত হয়। ওই হামলা চালায় ছাত্রলীগ। বাউফলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যে বহিরাগতরা হামলায় জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে। তারা এখনও নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, যে ঘটনায় আমরা তাকে অভিযুক্ত করব, সেই ঘটনা আমার থানা অঞ্চলে হতে হবে। অন্য থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেই থানা চাইলে আমরা সহযোগিতা করতে পারি।

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী স্বৈরাচারের চেয়েও এই স্বৈরাচার ভয়াবহ : কাদের সিদ্দিকী

‘আমার কোনো সমস্যা নেই’ বললেন শিক্ষার্থীদের পেটানো ছাত্রলীগ নেতা

আপডেট সময় ০৯:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো ছাত্রলীগের এক নেতা বললেন- ‘আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি’। জাতীয় একটি গণমাধ্যমের হাতে আসা একটি ভিডিও থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জিহাদ আহম্মেদ। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। পটুয়াখালীর বাউফল পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী তিনি (আগের কমিটি ভাঙার পরে জুন মাসে সিভি জমা দিয়েছিল)।

ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, গত ১৬ জুলাই ঢাবি ছাত্র-ছাত্রীদের বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে জিহাদ আহম্মেদ। হামলার সময় তার হিংস্রতার দৃশ্য ভিডিওতে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।

সেদিন বিক্ষোভের সময় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ঢাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলায় বহিরাগতরাও যোগ দেয়। তাদের নৃশংস হামলায় ঢাবির প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হন। ওইদিন হাসপাতালে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পেটায় বহিরাগত ছাত্রলীগ। জিহাদও তাদের মধ্যে অন্যতম একজন।

ঢাকায় গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন জিহাদ। ১৬ জুলাই ঢাবিতে তার কর্মকাণ্ডের কারণে নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। আজ পর্যন্ত তিনি নিজ ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। বাউফলে ছাত্রলীগের একাংশের সব সভা-সমাবেশে প্রথম কাতারে দেখা যেত তাকে। বাউফল সরকারি কলেজে পড়াকালীন মারপিটসহ উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তিনি।

ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ আহম্মেদের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিন বলেন, আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি। সেদিন আমরা কয়েকজন ছিলাম। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য করেছি, নাহলে ওরা আমাদেরকেই মেরে ফেলত। ইউনিভার্সিটি থেকে ভর্তি বাতিল করেছি, ওখানে যাওয়া নিজের জীবনের রিস্ক, তাই যাইনি।

বাউফল উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মুনতাসীর তাসরিপ বলেন, ঢাবিতে হামলার মধ্য দিয়েই দেশ উত্তপ্ত হয়। ওই হামলা চালায় ছাত্রলীগ। বাউফলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যে বহিরাগতরা হামলায় জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে। তারা এখনও নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, যে ঘটনায় আমরা তাকে অভিযুক্ত করব, সেই ঘটনা আমার থানা অঞ্চলে হতে হবে। অন্য থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেই থানা চাইলে আমরা সহযোগিতা করতে পারি।