ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির Logo সিভাসুতে বিচারহীনতার প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় পেঁচিয়ে অবস্থান কর্মসূচি Logo ‘প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় নির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে’ Logo ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির বিজয় র‍্যালি: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নতুন প্রত্যয় Logo ফতহে গণভবনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিকদের বিএনপির নয়, দেশ ও জনগণের হতে হবে: আমীর খসরু Logo এদেশের মানুষ চাঁদাবাজদের সাথে আর জোট দেখতে চায় না-অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল Logo আগামীর শাসকদের হাসিনার পরিণতি মনে রাখতে হবে: আসিফ মাহমুদ Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে সিইসিকে চিঠি দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Logo বিএনপির আয়োজনে ৫ আগস্ট বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে

‘আমার কোনো সমস্যা নেই’ বললেন শিক্ষার্থীদের পেটানো ছাত্রলীগ নেতা

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • 157

শিক্ষার্থীদের পেটানো ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জিহাদ আহম্মেদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো ছাত্রলীগের এক নেতা বললেন- ‘আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি’। জাতীয় একটি গণমাধ্যমের হাতে আসা একটি ভিডিও থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জিহাদ আহম্মেদ। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। পটুয়াখালীর বাউফল পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী তিনি (আগের কমিটি ভাঙার পরে জুন মাসে সিভি জমা দিয়েছিল)।

ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, গত ১৬ জুলাই ঢাবি ছাত্র-ছাত্রীদের বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে জিহাদ আহম্মেদ। হামলার সময় তার হিংস্রতার দৃশ্য ভিডিওতে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।

সেদিন বিক্ষোভের সময় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ঢাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলায় বহিরাগতরাও যোগ দেয়। তাদের নৃশংস হামলায় ঢাবির প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হন। ওইদিন হাসপাতালে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পেটায় বহিরাগত ছাত্রলীগ। জিহাদও তাদের মধ্যে অন্যতম একজন।

ঢাকায় গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন জিহাদ। ১৬ জুলাই ঢাবিতে তার কর্মকাণ্ডের কারণে নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। আজ পর্যন্ত তিনি নিজ ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। বাউফলে ছাত্রলীগের একাংশের সব সভা-সমাবেশে প্রথম কাতারে দেখা যেত তাকে। বাউফল সরকারি কলেজে পড়াকালীন মারপিটসহ উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তিনি।

ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ আহম্মেদের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিন বলেন, আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি। সেদিন আমরা কয়েকজন ছিলাম। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য করেছি, নাহলে ওরা আমাদেরকেই মেরে ফেলত। ইউনিভার্সিটি থেকে ভর্তি বাতিল করেছি, ওখানে যাওয়া নিজের জীবনের রিস্ক, তাই যাইনি।

বাউফল উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মুনতাসীর তাসরিপ বলেন, ঢাবিতে হামলার মধ্য দিয়েই দেশ উত্তপ্ত হয়। ওই হামলা চালায় ছাত্রলীগ। বাউফলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যে বহিরাগতরা হামলায় জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে। তারা এখনও নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, যে ঘটনায় আমরা তাকে অভিযুক্ত করব, সেই ঘটনা আমার থানা অঞ্চলে হতে হবে। অন্য থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেই থানা চাইলে আমরা সহযোগিতা করতে পারি।

জনপ্রিয় সংবাদ

টিএসসিতে শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারে না: নাছির

‘আমার কোনো সমস্যা নেই’ বললেন শিক্ষার্থীদের পেটানো ছাত্রলীগ নেতা

আপডেট সময় ০৯:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো ছাত্রলীগের এক নেতা বললেন- ‘আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি’। জাতীয় একটি গণমাধ্যমের হাতে আসা একটি ভিডিও থেকে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম জিহাদ আহম্মেদ। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। পটুয়াখালীর বাউফল পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী তিনি (আগের কমিটি ভাঙার পরে জুন মাসে সিভি জমা দিয়েছিল)।

ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, গত ১৬ জুলাই ঢাবি ছাত্র-ছাত্রীদের বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে জিহাদ আহম্মেদ। হামলার সময় তার হিংস্রতার দৃশ্য ভিডিওতে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।

সেদিন বিক্ষোভের সময় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ঢাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলায় বহিরাগতরাও যোগ দেয়। তাদের নৃশংস হামলায় ঢাবির প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হন। ওইদিন হাসপাতালে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পেটায় বহিরাগত ছাত্রলীগ। জিহাদও তাদের মধ্যে অন্যতম একজন।

ঢাকায় গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন জিহাদ। ১৬ জুলাই ঢাবিতে তার কর্মকাণ্ডের কারণে নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। আজ পর্যন্ত তিনি নিজ ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। বাউফলে ছাত্রলীগের একাংশের সব সভা-সমাবেশে প্রথম কাতারে দেখা যেত তাকে। বাউফল সরকারি কলেজে পড়াকালীন মারপিটসহ উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তিনি।

ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ আহম্মেদের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিন বলেন, আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি। সেদিন আমরা কয়েকজন ছিলাম। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য করেছি, নাহলে ওরা আমাদেরকেই মেরে ফেলত। ইউনিভার্সিটি থেকে ভর্তি বাতিল করেছি, ওখানে যাওয়া নিজের জীবনের রিস্ক, তাই যাইনি।

বাউফল উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মুনতাসীর তাসরিপ বলেন, ঢাবিতে হামলার মধ্য দিয়েই দেশ উত্তপ্ত হয়। ওই হামলা চালায় ছাত্রলীগ। বাউফলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যে বহিরাগতরা হামলায় জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে। তারা এখনও নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, যে ঘটনায় আমরা তাকে অভিযুক্ত করব, সেই ঘটনা আমার থানা অঞ্চলে হতে হবে। অন্য থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেই থানা চাইলে আমরা সহযোগিতা করতে পারি।