ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘এবারের বাজেট জনগণের জীবনমান উন্নয়ন-ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে’-অর্থ উপদেষ্টা Logo রং-চং দিয়ে ঈদে ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে দেখলে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo বগুড়ায় মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড স্থাপনের দাবিতে শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন Logo চট্টগ্রামের সাবেক এমপি ছালামের ফ্যাক্টরিতে কেএনএফের পোশাক, আটক ৪ Logo বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার ৫ জামাতের সময়সূচি Logo আস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর Logo ফ্যাসিজম পুরোপুরি বিদায়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার: জামায়াতে আমির Logo হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সালাহউদ্দিন আহমদের অভিযোগ Logo ৭ জনকে আসামি করে গুমের অভিযোগ জমা দিলেন সালাহউদ্দিন Logo পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশালায়

হাসিনা আমলে অনেক বিচারকই রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলেছে : রিজভী

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৮:১০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • 151

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনকালে অনেক বিচারক রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলেছেন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের কথা শুনে মনে হতো তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাকি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক? আমরা তার মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখতে পাইনি।’

শনিবার (২ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আমরা তো দেখেছি প্রধান বিচারপতিকে তরবারি উপহার দিচ্ছেন সাবেক গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান। ছাত্রলীগের ছেলেরা গিয়ে ফুল দিচ্ছে প্রধান বিচারপতিকে। পৃথিবীতে কোথাও নজির আছে এই ধরনের ঘটনার? অর্থাৎ এটাই হচ্ছে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী সরকার। কর্তৃত্ববাদী সরকার তার কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে আইন, বিচার প্রশাসন- সবকিছুকে একাকার করেছিলেন। শেখ হাসিনা বাকশালকে নতুন আঙ্গিকে বাস্তবায়ন করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘একদিকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে অন্যদিকে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে করতে নিশ্চিত করতে হবে। এই দুটিকে সামনে রেখেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। সীমান্তে হত্যা হচ্ছে প্রতিদিন। এক দিন দুই দিন পর পর ঠাকুরগাঁও সীমান্ত, লালমনিরহাট সীমান্ত, হবিগঞ্জের সীমান্ত রক্তাক্ত হচ্ছে। ফেলানীর মতো অনেক কিশোরীর লাশ কাঁটাতারের উপর ঝুলেছে।

কিন্তু গত সরকার তার একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি। পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী এই কাজগুলো করছে। এতটাই নতজানু ছিল শেখ হাসিনা, সীমান্তে রক্তাক্ত হলেও একটা প্রতিবাদ করতেও সাহস পায়নি। নিজের দেশের গণতন্ত্রের জন্য যারা কথা বলেছে তাদের জায়গা হয়েছে আয়নাঘরে অথবা তাদেরকে বছরের পর বছর কাটাতে হয়েছে কারাগারে।’

বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘এদেশের গণতন্ত্রের প্রতি জাতীয়তাবাদের প্রতি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি গণতন্ত্রের জন্য আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন তাকে একটি জরাজীর্ণ কারাগারের মধ্যে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। যার স্বামী এদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন, যিনি এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ছিলেন, তার সহধর্মিণী আপসহীন নেত্রীকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল কারাগারে- বছরের পর বছর।

সেরকম পরিস্থিতি যেন বাংলাদেশে আর না হয় সেই কারণে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।’‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত করতে হলে আইনের শাসন রুল অফ ল এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে গণতন্ত্র। মানুষের শেষ আশ্রয় হচ্ছে বিচার বিভাগ।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জহুরুল হক, কর্নেল তৌহিদ পাঠান, কর্নেল আব্দুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুল রহমান প্রমুখ।

‘এবারের বাজেট জনগণের জীবনমান উন্নয়ন-ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে’-অর্থ উপদেষ্টা

হাসিনা আমলে অনেক বিচারকই রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলেছে : রিজভী

আপডেট সময় ০৮:১০:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনকালে অনেক বিচারক রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলেছেন মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের কথা শুনে মনে হতো তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাকি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক? আমরা তার মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখতে পাইনি।’

শনিবার (২ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আমরা তো দেখেছি প্রধান বিচারপতিকে তরবারি উপহার দিচ্ছেন সাবেক গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান। ছাত্রলীগের ছেলেরা গিয়ে ফুল দিচ্ছে প্রধান বিচারপতিকে। পৃথিবীতে কোথাও নজির আছে এই ধরনের ঘটনার? অর্থাৎ এটাই হচ্ছে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী সরকার। কর্তৃত্ববাদী সরকার তার কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে আইন, বিচার প্রশাসন- সবকিছুকে একাকার করেছিলেন। শেখ হাসিনা বাকশালকে নতুন আঙ্গিকে বাস্তবায়ন করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘একদিকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে অন্যদিকে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে করতে নিশ্চিত করতে হবে। এই দুটিকে সামনে রেখেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। সীমান্তে হত্যা হচ্ছে প্রতিদিন। এক দিন দুই দিন পর পর ঠাকুরগাঁও সীমান্ত, লালমনিরহাট সীমান্ত, হবিগঞ্জের সীমান্ত রক্তাক্ত হচ্ছে। ফেলানীর মতো অনেক কিশোরীর লাশ কাঁটাতারের উপর ঝুলেছে।

কিন্তু গত সরকার তার একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি। পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী এই কাজগুলো করছে। এতটাই নতজানু ছিল শেখ হাসিনা, সীমান্তে রক্তাক্ত হলেও একটা প্রতিবাদ করতেও সাহস পায়নি। নিজের দেশের গণতন্ত্রের জন্য যারা কথা বলেছে তাদের জায়গা হয়েছে আয়নাঘরে অথবা তাদেরকে বছরের পর বছর কাটাতে হয়েছে কারাগারে।’

বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘এদেশের গণতন্ত্রের প্রতি জাতীয়তাবাদের প্রতি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি গণতন্ত্রের জন্য আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন তাকে একটি জরাজীর্ণ কারাগারের মধ্যে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। যার স্বামী এদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন, যিনি এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ছিলেন, তার সহধর্মিণী আপসহীন নেত্রীকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল কারাগারে- বছরের পর বছর।

সেরকম পরিস্থিতি যেন বাংলাদেশে আর না হয় সেই কারণে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।’‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত করতে হলে আইনের শাসন রুল অফ ল এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে গণতন্ত্র। মানুষের শেষ আশ্রয় হচ্ছে বিচার বিভাগ।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জহুরুল হক, কর্নেল তৌহিদ পাঠান, কর্নেল আব্দুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুল রহমান প্রমুখ।