ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অস্তিত্ব রক্ষায় রংপুরে পার্টি অফিস পাহারা দিচ্ছেন জাপা নেতাকর্মীরা Logo মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ Logo যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে: খামেনি Logo সরকার কোনো গোষ্ঠীর কাছে দায়বদ্ধ নয় : জ্বালানি উপদেষ্টা Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কমিটি ঘোষণা Logo মাহমুদুর রহমানকে ক্ষমা চাইতে ৭ দিনের সময় দিল ইসকন Logo তিন দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবেন সোহেল তাজ Logo আন্তর্জাতিক আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা Logo নারী ফুটবলারদের সমস্যার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে : আসিফ মাহমুদ Logo ট্রাম্পের মন্তব্যের‘স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর’হাত আছে -বাংলাদেশ সরকারের প্রেসসচিব

তিন দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবেন সোহেল তাজ

তিন দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবেন সোহেল তাজ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। জেল হত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবি রয়েছে স্মারকলিপিতে। গতকাল শুক্রবার (১ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা জানান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ। সোহেল তাজ তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, আগামী ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় জেল হত্যা দিবস।

দেখতে দেখতে ৪৯ বছর পার হয়ে গেলো অথচ এখন পর্যন্ত জাতির চার বীর যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম, আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না!
তাই সোহেল তাজ তিনটি দাবি তুলে ধরেন:

১. যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এ দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
২. ৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সোহেল তাজ লিখেন, ‘আমি মনে করি, আমার এ তিন দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক এবং এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সবার প্রাণের দাবি। সেই লক্ষ্যে আমার পরবর্তী কর্মসূচি, আগামী ৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আমি অবস্থান নেব এবং পরবর্তীতে পদযাত্রা করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেব।’

তিনি আরো লিখেন, ‘হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থেকে বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার উদ্দেশ্যে হেটে যাত্রা শুরু করব। এ সমাবেশে স্বাধীনতা/মুক্তিযুদ্ধের/বৈষম্যবিরোধী চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে অংশ নেওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’

অস্তিত্ব রক্ষায় রংপুরে পার্টি অফিস পাহারা দিচ্ছেন জাপা নেতাকর্মীরা

তিন দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবেন সোহেল তাজ

আপডেট সময় ০২:৪২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। জেল হত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবি রয়েছে স্মারকলিপিতে। গতকাল শুক্রবার (১ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা জানান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ। সোহেল তাজ তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, আগামী ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় জেল হত্যা দিবস।

দেখতে দেখতে ৪৯ বছর পার হয়ে গেলো অথচ এখন পর্যন্ত জাতির চার বীর যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম, আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না!
তাই সোহেল তাজ তিনটি দাবি তুলে ধরেন:

১. যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এ দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
২. ৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

সোহেল তাজ লিখেন, ‘আমি মনে করি, আমার এ তিন দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক এবং এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সবার প্রাণের দাবি। সেই লক্ষ্যে আমার পরবর্তী কর্মসূচি, আগামী ৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আমি অবস্থান নেব এবং পরবর্তীতে পদযাত্রা করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেব।’

তিনি আরো লিখেন, ‘হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থেকে বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার উদ্দেশ্যে হেটে যাত্রা শুরু করব। এ সমাবেশে স্বাধীনতা/মুক্তিযুদ্ধের/বৈষম্যবিরোধী চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে অংশ নেওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’