ঢাকা ০৩:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারী ফুটবলারদের সমস্যার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে : আসিফ মাহমুদ

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা খুব ধৈর্য সহকারে নারী ফুটবলারদের কথা শুনেছেন। বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেছেন এবং সেগুলো লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য বলেছেন। সেগুলো আমরা লিখিত পেলে খুব দ্রুত ব্যবস্থা যাতে নিতে পারি। নারী ফুটবলারদের সমস্যার বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। আসিফ মাহমুদ বলেন, নারী ফুটবলাররা প্রত্যেকের সাইন করা জার্সি এবং ফুটবল প্রধান উপদেষ্টাকে গিফট করেছেন। প্রধান উপদেষ্টাসহ আমরা সবাই নারী ফুটবলারদের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করেছি।

নারী ফুটবলারদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আবাসন সমস্যা, অনুশীলন, বেতন কাঠামোসহ সব কিছু নিয়ে কথা হয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে ওনারা (ফুটবলার) আমাদেরকে তাদের সমস্যাগুলো লিখিতভাবে দেবেন। সেটা আমি সরাসরি স্যারকে পৌঁছে দেবো। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, নারী ফুটবলাররা জানিয়েছেন যে, ক্যাম্পটা সারা বছর চলার কারণে এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে। সেটাকে যেন সারা বছর চলমান রাখা যায়, সে আবদার তারা করেছেন। ‘বাফুফের নতুন কমিটির সঙ্গে মিলে নারী ফুটবল দলের সমস্যা এবং ফুটবলের যে সমস্যা সবগুলো আমরা সমাধান করব।’

তিনি বলেন, বাফুফের সভাপতি দেশে ছিলেন না, যে কারণে বাফুফের কেউ আজকে নেই। আমার কাছে যে ২৫ জনের তালিকা এসেছে, আমরা তাদেরকে এখানে আনার ব্যবস্থা করেছি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে চেষ্টা করব। আমরা বাহির থেকে দেখি যে টিক্রেটের এত পি আর, এত কিছু, তাদের কিন্তু সমস্যা আছে। যেগুলো ছোট ছোট সমস্যা। স্পোর্টসের স্টেকহোল্ডার হচ্ছে আমাদের খেলোয়াড়রা। তারাই সবার ঊর্ধ্বে থাকবে। সবার ঊর্ধ্বে ছিল কমিটির মেম্বাররা, সেটা আর হবে না। এটা অন্তত আমার সময় নিশ্চিত করব ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, আমি যতটুকু জানি যে দুই মাসের স্যালারি ডিউ আছে। আপনারা জানেন এতদিন বাফুফে সালাউদ্দিন সাহেবের কমিটি ছিল। এখন নতুন কমিটি এসেছে, নতুন কমিটির সঙ্গে আমরা এই কথাগুলো ওয়ার্ক আউট করব। ভবিষ্যতেও যেন ডিউ না হয়। বাফুফের বিশাল অঙ্কের ঋণ রয়েছে, কেন হলো এরকম? কোন কোন জায়গায় আর্থিক অনিয়ম হয়েছে আপনারাই (মিডিয়া) বিভিন্ন সময়ে বলেছেন। সেগুলো নিয়ে অলরেডি নতুন কমিটিকে অডিট করার জন্য বলেছি। যদি কোথাও অনিয়ম হয়ে থাকে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। এর আগে বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

নেপালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ জিতে গত বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেদিন সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের বরণ করে নিতে বাফুফে ভবনে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে অপেক্ষা করছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। বিকেল ৪টায় বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে করে রওয়ানা দেওয়ার তিন ঘণ্টা পর বাফুফে ভবনে এসে পৌঁছায় সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা।

বাফুফে ভবনে পৌঁছালে সাবিনাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা। ফুটবলারদের বরণ করার পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেন উপদেষ্টা। সাফজয়ী বীরদেরকে মোট ১ কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা তাৎক্ষণিক পুরস্কারের চেক তুলে দেন সাফজয়ী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হাতে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন

নারী ফুটবলারদের সমস্যার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে : আসিফ মাহমুদ

আপডেট সময় ০১:৫৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা খুব ধৈর্য সহকারে নারী ফুটবলারদের কথা শুনেছেন। বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেছেন এবং সেগুলো লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য বলেছেন। সেগুলো আমরা লিখিত পেলে খুব দ্রুত ব্যবস্থা যাতে নিতে পারি। নারী ফুটবলারদের সমস্যার বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার সংবর্ধনা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। আসিফ মাহমুদ বলেন, নারী ফুটবলাররা প্রত্যেকের সাইন করা জার্সি এবং ফুটবল প্রধান উপদেষ্টাকে গিফট করেছেন। প্রধান উপদেষ্টাসহ আমরা সবাই নারী ফুটবলারদের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করেছি।

নারী ফুটবলারদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আবাসন সমস্যা, অনুশীলন, বেতন কাঠামোসহ সব কিছু নিয়ে কথা হয়েছে। দুই-তিন দিনের মধ্যে ওনারা (ফুটবলার) আমাদেরকে তাদের সমস্যাগুলো লিখিতভাবে দেবেন। সেটা আমি সরাসরি স্যারকে পৌঁছে দেবো। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, নারী ফুটবলাররা জানিয়েছেন যে, ক্যাম্পটা সারা বছর চলার কারণে এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে। সেটাকে যেন সারা বছর চলমান রাখা যায়, সে আবদার তারা করেছেন। ‘বাফুফের নতুন কমিটির সঙ্গে মিলে নারী ফুটবল দলের সমস্যা এবং ফুটবলের যে সমস্যা সবগুলো আমরা সমাধান করব।’

তিনি বলেন, বাফুফের সভাপতি দেশে ছিলেন না, যে কারণে বাফুফের কেউ আজকে নেই। আমার কাছে যে ২৫ জনের তালিকা এসেছে, আমরা তাদেরকে এখানে আনার ব্যবস্থা করেছি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে চেষ্টা করব। আমরা বাহির থেকে দেখি যে টিক্রেটের এত পি আর, এত কিছু, তাদের কিন্তু সমস্যা আছে। যেগুলো ছোট ছোট সমস্যা। স্পোর্টসের স্টেকহোল্ডার হচ্ছে আমাদের খেলোয়াড়রা। তারাই সবার ঊর্ধ্বে থাকবে। সবার ঊর্ধ্বে ছিল কমিটির মেম্বাররা, সেটা আর হবে না। এটা অন্তত আমার সময় নিশ্চিত করব ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, আমি যতটুকু জানি যে দুই মাসের স্যালারি ডিউ আছে। আপনারা জানেন এতদিন বাফুফে সালাউদ্দিন সাহেবের কমিটি ছিল। এখন নতুন কমিটি এসেছে, নতুন কমিটির সঙ্গে আমরা এই কথাগুলো ওয়ার্ক আউট করব। ভবিষ্যতেও যেন ডিউ না হয়। বাফুফের বিশাল অঙ্কের ঋণ রয়েছে, কেন হলো এরকম? কোন কোন জায়গায় আর্থিক অনিয়ম হয়েছে আপনারাই (মিডিয়া) বিভিন্ন সময়ে বলেছেন। সেগুলো নিয়ে অলরেডি নতুন কমিটিকে অডিট করার জন্য বলেছি। যদি কোথাও অনিয়ম হয়ে থাকে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। এর আগে বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

নেপালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ জিতে গত বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেদিন সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের বরণ করে নিতে বাফুফে ভবনে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে অপেক্ষা করছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। বিকেল ৪টায় বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে করে রওয়ানা দেওয়ার তিন ঘণ্টা পর বাফুফে ভবনে এসে পৌঁছায় সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা।

বাফুফে ভবনে পৌঁছালে সাবিনাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা। ফুটবলারদের বরণ করার পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেন উপদেষ্টা। সাফজয়ী বীরদেরকে মোট ১ কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা তাৎক্ষণিক পুরস্কারের চেক তুলে দেন সাফজয়ী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হাতে।