ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

ইসরায়েরি হামলায় লেবাননে এক রাতে নিহত ৫২

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:৩০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • 106

ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে লেবাননের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর বালবেক এবং তার সংলগ্ন গ্রামগুলোতে নিহত হয়েছেন ৫২ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭২ জন।

শুক্রবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা এনএনএ জানিয়েছে এ তথ্য।

এছাড়া একই সময় লেবাননের রাজধানীয় বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলি এলাকা দাহিয়েহতে বোমা বর্ষণ করেছে বিমান বাহিনী। তাদের নিক্ষিপ্ত বোমায় দাহিয়েহর কয়েক ডজন ভবন ধ্বংসও হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি। অভিযান শুরুর আগে দাহিয়েহর বাসিন্দাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ইসরায়েলি সেনারা।

এক প্রতিবেদনে লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা এনএনএ জানায়, বৃহস্পতিবার-শুক্রবারের হামলায় নিহতদের সবাই উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর বালবেক ও মাকনেহ শহর এবং এ দু’শহরের সংলগ্ন গ্রাম বুদায়, দৌরিস, আমহাজ, তারায়াহ এবং কামাতিয়েহর বাসিন্দা।

লেবানন এবং ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের দুই প্রতিবেশী দেশ। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পাশেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল। দেশটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের মূল উদ্দেশ্য সশস্ত্র ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করা। ইরানের প্রত্যক্ষ মদত ও সহায়তায় ১৯৮৫ সালে গঠিত এই গোষ্ঠীটি তার জন্মলগ্ন থেকে ইসরায়েলকে ধ্বংসের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। হিজবুল্লাহর সদর দপ্তর এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলোর প্রায় সবই দক্ষিণ লেবাননে অবস্থিত।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর সেখানে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। আইডিএফ অভিযান শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় প্রতিদিন রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

ইসরায়েরি হামলায় লেবাননে এক রাতে নিহত ৫২

আপডেট সময় ০৯:৩০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে লেবাননের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর বালবেক এবং তার সংলগ্ন গ্রামগুলোতে নিহত হয়েছেন ৫২ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭২ জন।

শুক্রবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা এনএনএ জানিয়েছে এ তথ্য।

এছাড়া একই সময় লেবাননের রাজধানীয় বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলি এলাকা দাহিয়েহতে বোমা বর্ষণ করেছে বিমান বাহিনী। তাদের নিক্ষিপ্ত বোমায় দাহিয়েহর কয়েক ডজন ভবন ধ্বংসও হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি। অভিযান শুরুর আগে দাহিয়েহর বাসিন্দাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ইসরায়েলি সেনারা।

এক প্রতিবেদনে লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা এনএনএ জানায়, বৃহস্পতিবার-শুক্রবারের হামলায় নিহতদের সবাই উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর বালবেক ও মাকনেহ শহর এবং এ দু’শহরের সংলগ্ন গ্রাম বুদায়, দৌরিস, আমহাজ, তারায়াহ এবং কামাতিয়েহর বাসিন্দা।

লেবানন এবং ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের দুই প্রতিবেশী দেশ। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পাশেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল। দেশটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের মূল উদ্দেশ্য সশস্ত্র ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করা। ইরানের প্রত্যক্ষ মদত ও সহায়তায় ১৯৮৫ সালে গঠিত এই গোষ্ঠীটি তার জন্মলগ্ন থেকে ইসরায়েলকে ধ্বংসের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। হিজবুল্লাহর সদর দপ্তর এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলোর প্রায় সবই দক্ষিণ লেবাননে অবস্থিত।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর সেখানে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। আইডিএফ অভিযান শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় প্রতিদিন রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ।