ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আমদানি পণ্য ও ডলারের দাম কমার প্রভাব নেই বাজারে

ভোক্তার পকেট লুট

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:২৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • 45

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

যুগান্তর:

ভোক্তার পকেট লুট
আমদানি পণ্য ও ডলারের দাম কমার প্রভাব নেই বাজারে
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি অপরিশোধিত চিনি ৫৪ টাকা, দেশে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। প্রতি কেজিতে বাড়তি যাচ্ছে ৮১ থেকে ৮৬ টাকা
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম নিম্নমুখী। চলতি বছরের বাকি সময়ে পণ্যের দাম আরও কমবে। আগামী ২ বছর কমার এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আগামী বছরেই পণ্যের দাম আরও কমে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার কারণে আমদানি খরচ কমে গেছে। আমদানির দায় পরিশোধে ডলারের দামও কমেছে। চাল, পেঁয়াজসহ বেশকিছু আমদানি পণ্যের শুল্ক কমানো হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম কমায় পণ্য পরিবহণে জাহাজ ভাড়াসহ অন্যান্য খাতেও পরিবহণ ব্যয় কমেছে। সব মিলে পণ্যের আমদানি ব্যয়ও কমে যাচ্ছে। এতে আমদানি নির্ভর পণ্যের দাম বাজারে কমার কথা। কিন্তু পণ্যের দাম তো কমেইনি, উলটো আরও বেড়েছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে আমদানি পণ্যের দাম কমা, ডলারের দাম হ্রাস ও শুল্ক কমার কারণে পণ্য আমদানির খরচ যেভাবে কমেছে, সেই মুনাফার সবটুকুই চলে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের পকেটে। পাশাপাশি পণ্যের দাম বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরা আরও বাড়তি মুনাফা নিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করছেন। ভোক্তার পকেট লুট করে ব্যবসায়ীরা নিজেদের পকেট ভরছেন। এতে ভোক্তার জীবিকা নির্বাহ করতে নাভিশ্বাস উঠেছে।মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। চলতি বছরের মধ্যে খাদ্যপণ্যের দাম আরও ৯ শতাংশ কমবে। জ্বালানি তেলের দাম কমে প্রতি ব্যারেল ৭৩ ডলারে আসবে। পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের দামও কমবে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত পণ্যের দাম কমতেই থাকবে। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে আসবে। এ কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচসহ পরিবহণ ব্যয়ও কমে যাবে। এসব কারণে কমে যাবে পণ্যের দামও।

নয়াদিগন্ত:

ঐক্যবদ্ধ জাতিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে : ডা: শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ঐক্যবদ্ধ জাতিকে বিভক্ত করার কঠিন ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। বিভক্ত জাতি কখনো রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর নয়। আগামীর বাংলাদেশ গঠনে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
গতকাল রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে জামায়াত ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নবনির্বাচিত আমিরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা: শফিকুর রহমান আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামীর মতো আর কারো উপর বিচারের নামে জুলুম না হোক। যে যার কর্মের ফল বিচারের মাধ্যমে পেলেই বিচারহীনতা সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে। ফলে ভুক্তভোগী মজলুম ন্যায়বিচার পাবে। আওয়ামী লীগ মানুষকে পশুর মতো হত্যা করেছে। শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ কেউ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের গণহত্যা থেকে রক্ষা পায়নি। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ কেবলমাত্র চারদলীয় জোটের ঐক্যের ফাটল সৃষ্টি করে নিজেদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পরিষ্কার করতে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। যারা কথায় কথায় সংবিধানের দোহাই দেয় তারা নিজেদের তৈরি করা সংবিধান নিজেরাই মানেনি। কোনো হত্যা মামলা বাদির সম্মতি ছাড়া প্রত্যাহার বা বাতিল করার ক্ষমতা কারোর নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করেই ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলা বাতিল করে দিয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখান থেকেই শুরু হয়েছে।

প্রথম আলো:

পুলিশের নিষেধাজ্ঞা মেনে দুই পক্ষের কর্মসূচি স্থগিত

রাজনৈতিক উত্তেজনা
জাপার কার্যালয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পর সমাবেশের ঘোষণা। একই কর্মসূচি দেয় ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতা।ঢাকায় জাতীয় পার্টির (জাপা) সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কাকরাইলে দলের প্রধান কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পরও আজ শনিবার সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল জাপা। সেই সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয় ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতা’র ব্যানারে। এ পরিস্থিতিতে আজ কাকরাইলসহ আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

পুলিশের নিষেধাজ্ঞার পর জাতীয় পার্টি তাদের আজকের সমাবেশ স্থগিত করেছে। দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা সমাবেশের কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’

অন্যদিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার ব্যানারে জাপার সমাবেশ প্রতিহত করার পাল্টা সমাবেশ কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তা ছাত্র অধিকার পরিষদের (নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন) সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশের সিদ্ধান্তকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। এই নিষেধাজ্ঞার পরও জাতীয় পার্টি সভা-সমাবেশ করতে চাইলে আমরা বসে থাকব না।’

জাপাকে ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে। ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র–শ্রমিক জনতার ব্যানারে একদল কর্মী মিছিল নিয়ে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর তাঁদের সঙ্গে জাপা কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে জাপা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন নেতা তাঁদের ফেসবুক পেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে সেখানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে জাপা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষেরই দাবি—তারা আগে হামলার শিকার হয়ে প্রতিরোধ করেছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি
নাজুক অবস্থায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিপ্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মাঝে মাঝেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে দুর্বৃত্তদের। তারা হামলে পড়ছে প্রতিপক্ষ কিংবা সাধারণ মানুষের ওপর। সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য ভেদ করা বুলেটে সাধারণ মানুষের নির্মম মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। আবার দুর্বৃত্তের অনেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে লিপ্ত হচ্ছে চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্যসহ নানা অপরাধে। এদের অনেকেই পতিত সরকারের অনেক নেতার অধীনে কাজ করেছেন দীর্ঘ সময়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। তবে দলীয় পরিচয় দেখে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে সমাজে। উল্টো অরাজক পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ইসরাইল হাওলাদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় পোলারাইজেশন হচ্ছে এমন তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। বিগত সরকার আমলের দুর্বৃত্তদের শূন্যস্থান পূরণের চেষ্টা চলছে, সব খবরই আমরা পাচ্ছি। দুর্বৃত্তদেরও আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা চলছে। যৌথ বাহিনীর অপারেশনও অব্যাহত রয়েছে।’ গত বুধবার দুপুরে পল্লবীর বাউনিয়া বাঁধে ২০-৩০ জন মিলে এক ব্যক্তিকে মারধর করছিলেন। নারীসহ স্থানীয় লোকজন মারধরের শিকার ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। এতে আয়েশা আক্তার (২৬) নামে এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পুলিশ বলছে, স্থানীয় মোমিন ও মামুন গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন। এরা চিহ্নিত মাদক কারবারি। ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ৮/এ সড়কের মাথায় হঠাৎ হেলমেট পরিহিত চার দুর্বৃত্ত রাসেল নামে এক পথচারীকে জাপটে ধরে। তিনি ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করলে একজন ফাঁকা গুলি করে। ব্যাগটি কেড়ে নিয়ে চারজন মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী রাসেল সাতমসজিদ সড়কের কেয়ারি প্লাজায় অবস্থিত বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ডেল্টা ব্যুরো ডি চেঞ্জের ব্যবস্থাপক। তাঁর অভিযোগ, ব্যাগে ছিল প্রতিষ্ঠানের ৫০ লাখ টাকা, যা ওই দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায়।

কালের কন্ঠ:

কিশোর গ্যাংয়ে বাড়ছে অপরাধ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে হঠাৎ করে অপরাধ বেড়েছে। পুলিশের মূল্যায়ন হচ্ছে—এর মূলে রয়েছে কিশোর-তরুণ গ্যাং। হত্যা, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি দখল থেকে শুরু করে এসব অপরাধী সুযোগ পেলেই নারীদেরও উত্ত্যক্ত করছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যেকোনো স্পটে এ ধরনের সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড ঘটলেই তাদের নামটা শুরুতেই উচ্চারিত হচ্ছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে কয়েক হাজার কিশোর-তরুণ অপরাধীর তালিকা বানিয়ে পুলিশ এরই মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযানেও নেমেছে। পুলিশের একাধিক প্রতিবেদনে কিশোর-তরুণ অপরাধীদের ব্যাপারে এ ধরনের নেতিবাচক তথ্য উঠে এসেছে।
বিগত সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলের আগে রাজধানীতে অন্তত ১২৭টি কিশোর গ্যাং গ্রুপ সক্রিয় ছিল। সারা দেশে ছিল ২৩৭টি।

মানবজমিন:

তবুও চড়া চালের বাজার
ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম খুচরায় কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারিতে বস্তাপ্রতি বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। রাজধানীর কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ওদিকে চালের দাম ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে প্রধান এই খাদ্যপণ্যটির আমদানি ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সম্প্রতি বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় ৮ লাখ ৩৯ হাজার টন। যদিও বাজারে এখনো চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে আমদানির মাধ্যমে বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ না নিলে দেশে খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৬ই আগস্ট থেকে ১৫ই অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দুই দফা বন্যা দেখা দেয়। এতে আট লাখ ৩৯ হাজার টন চালের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।

খাদ্য অধিদপ্তরও চালের সরবরাহ ঘাটতির কথা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, তাদের গুদামে এখন চালের মজুদ ১০ লাখ টনের নিচে, যা গত ১৫ই আগস্ট ছিল প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টন। সরকারিভাবে বিতরণ বাড়ানোয় মজুদ কমছে। যে হারে চাল বরাদ্দের পরিকল্পনা রয়েছে, এতে আগামী বছরের জুলাই নাগাদ প্রয়োজনের তুলনায় ১১ লাখ টন চালের ঘাটতি হতে পারে। নিরাপত্তা মজুদ এবং সম্ভাব্য ঘাটতি বিবেচনায় ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা দরকার।

দৈনিক সংগ্রাম:

৩৬৩টিতে বসছে প্রশাসক প্যানেল চেয়ারম্যান ১০৫৩ 
তোফাজ্জল হোসাইন কামাল : দেশে এখন ইউনিয়ন পরিষদ আছে ৪ হাজার ৫৮০টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৬৪ জন চেয়ারম্যান নিয়মিত অফিস করছেন। বাকি ১ হাজার ৪১৬ ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক। আর কত সংখ্যক ইউপি সদস্য বা মেম্বার অনুপস্থিত, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৩৬৩ টিতে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বাকি ১ হাজার ৫৩ টিতে বসানো হচ্ছে প্যানেল চেয়ারম্যান।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের এক হাজার ৪১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার (সদস্য) গাঢাকা দেন। এরা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান-মেম্বার। জনপ্রতিনিধি না থাকায় সেবাপ্রার্থী মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ৩৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ ও এক হাজার ৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব পালনের জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে দেশের মোট চার হাজার ৫৮০টি ইউনিয়নের মধ্যে কতটিতে বর্তমানে চেয়ারম্যান-মেম্বার অনুপস্থিত রয়েছেন তার তথ্য চেয়ে গত ৬ অক্টোবর জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চিঠি পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ডিসিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, সরকার পতনের পর দেশের এক হাজার ৪১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা অনুপস্থিত রয়েছেন, যা মোট ইউনিয়ন পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ। এই চেয়ারম্যানদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কের পাশাপাশি নিজেদের ওপর হামলা হওয়ার আশঙ্কায় কার্যালয়ে যাচ্ছেন না।

কালবেলা:

সমবায় অধিদপ্তর জিম্মি ১২ জনে
সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রধান দায়িত্ব দেশের উন্নয়ন ও জনগণের সেবা নিশ্চিতের জন্য কাজ করা। কিন্তু সেই দায়িত্ব ভুলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা ব্যস্ত থাকেন অনিয়ম-দুর্নীতি, লুটপাট ও ক্ষমতার দাপটে পদোন্নতি বাগিয়ে নেওয়ার অসম প্রতিযোগিতায়! এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক এক মন্ত্রীর মদদপুষ্ট একটি সিন্ডিকেট। প্রভাব খাটিয়ে তারা অধিদপ্তর, জেলা ও থানা পর্যায়ে দায়িত্ব নিজেদের কবজায় রাখা, চুক্তিতে সমিতির নির্বাচন, নিয়োগ-বাণিজ্য, নিয়মবহির্ভূতভাবে পদ সৃষ্টি, ঘুষের বিনিময়ে পদোন্নতি, উন্নয়নের নামে সমিতির কোষাগারশূন্য, জাল সনদে চাকরি নেওয়াসহ বহুবিধ অপকর্ম করেও আছেন বহাল তবিয়তে। সবকিছু জেনেও হেলদোল নেই অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শরিফুল ইসলামের। সিন্ডিকেটের সদস্যদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধেও। তাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরও নেওয়া হয় না কোনো ব্যবস্থা।

বরং অনিয়মের প্রতিবাদ করায় অনেককে বছরে দুই থেকে তিনবার বদলি করে হয়রানি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের আশীর্বাদপুষ্টরাই ঢাকার ভেতরে পোস্টিংসহ সব সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েও সুফল মেলেনি।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শুরু থেকেই সমবায় অধিদপ্তরে চলছে সিন্ডিকেটের অঘোষিত রাজত্ব! শরিফুল ইসলাম ডিজি হয়ে আসার পর সিন্ডিকেট ভাঙার উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো হোতাদের সঙ্গে খাতির জমিয়ে তাদের আরও অনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন এবং নিজেও নিয়েছেন। এই লেনদেন জারি রাখতে সাবেক মন্ত্রীর মদদে ওই সিন্ডিকেটকে আরও শক্তিশালী করেছেন শরিফুল।

দেশরুপান্তর:

বিএনপির নির্বাচনমুখী ঐক্য চিন্তা
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেওয়ার তাগিদ দিচ্ছে বিএনপি। এর পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের এলাকায় সাংগঠনিক কর্মকা- ও জনসংযোগে সহায়তা করার জন্য স্থানীয় নেতাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সমমনা ও অন্যান্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করছে দলটি।

সম্প্রতি রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ, সংবিধান বাতিল ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি বিএনপির সায় পায়নি। সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি বলেছে, এ উদ্যোগের পেছনে ষড়যন্ত্র আছে। এতে করে নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে এবং এর সুযোগ নিতে পারে ক্ষমতাচ্যুত গোষ্ঠী। পাশাপাশি বিএনপি এসব ইস্যুতে না গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি করেছে।

বিএনপির একাধিক সূত্র বলেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো নির্ধারণ হয়নি। তবে নির্বাচনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে রাখার কৌশলের অংশ হিসেবে ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের আরও সক্রিয় রাখতে আগামী মাসে দেশের সব মহানগরসহ বিভাগীয় জেলাগুলোতে ১০ দিনের কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মাঠপর্যায়ে কাজ করতে না পারা বিএনপি ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে তৃণমূলে সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে দলের কর্মকা- পরিচালনা করছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাংগঠনিকভাবে মাঠে থাকার নির্দেশনা রয়েছে। একইভাবে নির্বাচন ঘিরে ঐক্য জোরালো করতে উদ্যোগ নিয়েছে।

সমকাল:

জুলাইয়ে বেওয়ারিশ দাফন দ্বিগুণ
ব্যান্ডেজে মোড়ানো পুরো মাথা। সেখানে লেখা– ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’। কপালেও সাদা ব্যান্ডেজ। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় উত্তরায় আহত হন তিনি। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল আগারগাঁও নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে। মাথার হাড় ভেঙে যাওয়ায় ব্যান্ডেজের ওপর লেখা হয়েছিল সতর্কবাণী। গত ২২ জুলাই রাতে হাসপাতালে মারা যান তিনি। পরিচয় না মেলায় বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রায়েরবাজার কবরস্থানে।

শুধু এই যুবক নন, গত জুলাই মাসে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে ৮১ জনের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয় রায়েরবাজার কবরস্থানে। আগের বা পরের মাসগুলোর গড় বিবেচনায় এই সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি।

শুধু বেওয়ারিশ দাফন দ্বিগুণ নয়, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহেই বেওয়ারিশ লাশ দাফনের সংখ্যা ৪৫। আগস্টে পুরো মাসে এ সংখ্যা ছিল ৩৪ এবং সেপ্টেম্বরে ৩৪ জন। জুনে বেওয়ারিশ দাফন করা হয় ৪৮ জনকে। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রতি মাসে তারা গড়ে ৩৫-৪০ জনের বেওয়ারিশ লাশ দাফন করেন। কিন্তু জুলাই মাসে সংখ্যাটি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

আমদানি পণ্য ও ডলারের দাম কমার প্রভাব নেই বাজারে

ভোক্তার পকেট লুট

আপডেট সময় ০৭:২৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

যুগান্তর:

ভোক্তার পকেট লুট
আমদানি পণ্য ও ডলারের দাম কমার প্রভাব নেই বাজারে
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি অপরিশোধিত চিনি ৫৪ টাকা, দেশে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। প্রতি কেজিতে বাড়তি যাচ্ছে ৮১ থেকে ৮৬ টাকা
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম নিম্নমুখী। চলতি বছরের বাকি সময়ে পণ্যের দাম আরও কমবে। আগামী ২ বছর কমার এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আগামী বছরেই পণ্যের দাম আরও কমে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার কারণে আমদানি খরচ কমে গেছে। আমদানির দায় পরিশোধে ডলারের দামও কমেছে। চাল, পেঁয়াজসহ বেশকিছু আমদানি পণ্যের শুল্ক কমানো হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম কমায় পণ্য পরিবহণে জাহাজ ভাড়াসহ অন্যান্য খাতেও পরিবহণ ব্যয় কমেছে। সব মিলে পণ্যের আমদানি ব্যয়ও কমে যাচ্ছে। এতে আমদানি নির্ভর পণ্যের দাম বাজারে কমার কথা। কিন্তু পণ্যের দাম তো কমেইনি, উলটো আরও বেড়েছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে আমদানি পণ্যের দাম কমা, ডলারের দাম হ্রাস ও শুল্ক কমার কারণে পণ্য আমদানির খরচ যেভাবে কমেছে, সেই মুনাফার সবটুকুই চলে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের পকেটে। পাশাপাশি পণ্যের দাম বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরা আরও বাড়তি মুনাফা নিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করছেন। ভোক্তার পকেট লুট করে ব্যবসায়ীরা নিজেদের পকেট ভরছেন। এতে ভোক্তার জীবিকা নির্বাহ করতে নাভিশ্বাস উঠেছে।মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। চলতি বছরের মধ্যে খাদ্যপণ্যের দাম আরও ৯ শতাংশ কমবে। জ্বালানি তেলের দাম কমে প্রতি ব্যারেল ৭৩ ডলারে আসবে। পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের দামও কমবে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত পণ্যের দাম কমতেই থাকবে। এর মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে আসবে। এ কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচসহ পরিবহণ ব্যয়ও কমে যাবে। এসব কারণে কমে যাবে পণ্যের দামও।

নয়াদিগন্ত:

ঐক্যবদ্ধ জাতিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে : ডা: শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ঐক্যবদ্ধ জাতিকে বিভক্ত করার কঠিন ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। বিভক্ত জাতি কখনো রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর নয়। আগামীর বাংলাদেশ গঠনে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
গতকাল রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে জামায়াত ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নবনির্বাচিত আমিরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা: শফিকুর রহমান আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামীর মতো আর কারো উপর বিচারের নামে জুলুম না হোক। যে যার কর্মের ফল বিচারের মাধ্যমে পেলেই বিচারহীনতা সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে। ফলে ভুক্তভোগী মজলুম ন্যায়বিচার পাবে। আওয়ামী লীগ মানুষকে পশুর মতো হত্যা করেছে। শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ কেউ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের গণহত্যা থেকে রক্ষা পায়নি। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ কেবলমাত্র চারদলীয় জোটের ঐক্যের ফাটল সৃষ্টি করে নিজেদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পরিষ্কার করতে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। যারা কথায় কথায় সংবিধানের দোহাই দেয় তারা নিজেদের তৈরি করা সংবিধান নিজেরাই মানেনি। কোনো হত্যা মামলা বাদির সম্মতি ছাড়া প্রত্যাহার বা বাতিল করার ক্ষমতা কারোর নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করেই ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলা বাতিল করে দিয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখান থেকেই শুরু হয়েছে।

প্রথম আলো:

পুলিশের নিষেধাজ্ঞা মেনে দুই পক্ষের কর্মসূচি স্থগিত

রাজনৈতিক উত্তেজনা
জাপার কার্যালয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পর সমাবেশের ঘোষণা। একই কর্মসূচি দেয় ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতা।ঢাকায় জাতীয় পার্টির (জাপা) সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কাকরাইলে দলের প্রধান কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পরও আজ শনিবার সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল জাপা। সেই সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয় ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতা’র ব্যানারে। এ পরিস্থিতিতে আজ কাকরাইলসহ আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

পুলিশের নিষেধাজ্ঞার পর জাতীয় পার্টি তাদের আজকের সমাবেশ স্থগিত করেছে। দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা সমাবেশের কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’

অন্যদিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার ব্যানারে জাপার সমাবেশ প্রতিহত করার পাল্টা সমাবেশ কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তা ছাত্র অধিকার পরিষদের (নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন) সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশের সিদ্ধান্তকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। এই নিষেধাজ্ঞার পরও জাতীয় পার্টি সভা-সমাবেশ করতে চাইলে আমরা বসে থাকব না।’

জাপাকে ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে। ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র–শ্রমিক জনতার ব্যানারে একদল কর্মী মিছিল নিয়ে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর তাঁদের সঙ্গে জাপা কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে জাপা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুজন নেতা তাঁদের ফেসবুক পেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে সেখানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে জাপা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষেরই দাবি—তারা আগে হামলার শিকার হয়ে প্রতিরোধ করেছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি
নাজুক অবস্থায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিপ্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মাঝে মাঝেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলছে দুর্বৃত্তদের। তারা হামলে পড়ছে প্রতিপক্ষ কিংবা সাধারণ মানুষের ওপর। সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য ভেদ করা বুলেটে সাধারণ মানুষের নির্মম মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। আবার দুর্বৃত্তের অনেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে লিপ্ত হচ্ছে চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্যসহ নানা অপরাধে। এদের অনেকেই পতিত সরকারের অনেক নেতার অধীনে কাজ করেছেন দীর্ঘ সময়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। তবে দলীয় পরিচয় দেখে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে সমাজে। উল্টো অরাজক পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ইসরাইল হাওলাদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় পোলারাইজেশন হচ্ছে এমন তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। বিগত সরকার আমলের দুর্বৃত্তদের শূন্যস্থান পূরণের চেষ্টা চলছে, সব খবরই আমরা পাচ্ছি। দুর্বৃত্তদেরও আইডেন্টিফাই করার চেষ্টা চলছে। যৌথ বাহিনীর অপারেশনও অব্যাহত রয়েছে।’ গত বুধবার দুপুরে পল্লবীর বাউনিয়া বাঁধে ২০-৩০ জন মিলে এক ব্যক্তিকে মারধর করছিলেন। নারীসহ স্থানীয় লোকজন মারধরের শিকার ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। এতে আয়েশা আক্তার (২৬) নামে এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পুলিশ বলছে, স্থানীয় মোমিন ও মামুন গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন। এরা চিহ্নিত মাদক কারবারি। ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ৮/এ সড়কের মাথায় হঠাৎ হেলমেট পরিহিত চার দুর্বৃত্ত রাসেল নামে এক পথচারীকে জাপটে ধরে। তিনি ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করলে একজন ফাঁকা গুলি করে। ব্যাগটি কেড়ে নিয়ে চারজন মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী রাসেল সাতমসজিদ সড়কের কেয়ারি প্লাজায় অবস্থিত বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ডেল্টা ব্যুরো ডি চেঞ্জের ব্যবস্থাপক। তাঁর অভিযোগ, ব্যাগে ছিল প্রতিষ্ঠানের ৫০ লাখ টাকা, যা ওই দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায়।

কালের কন্ঠ:

কিশোর গ্যাংয়ে বাড়ছে অপরাধ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে হঠাৎ করে অপরাধ বেড়েছে। পুলিশের মূল্যায়ন হচ্ছে—এর মূলে রয়েছে কিশোর-তরুণ গ্যাং। হত্যা, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি দখল থেকে শুরু করে এসব অপরাধী সুযোগ পেলেই নারীদেরও উত্ত্যক্ত করছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যেকোনো স্পটে এ ধরনের সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড ঘটলেই তাদের নামটা শুরুতেই উচ্চারিত হচ্ছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে কয়েক হাজার কিশোর-তরুণ অপরাধীর তালিকা বানিয়ে পুলিশ এরই মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযানেও নেমেছে। পুলিশের একাধিক প্রতিবেদনে কিশোর-তরুণ অপরাধীদের ব্যাপারে এ ধরনের নেতিবাচক তথ্য উঠে এসেছে।
বিগত সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলের আগে রাজধানীতে অন্তত ১২৭টি কিশোর গ্যাং গ্রুপ সক্রিয় ছিল। সারা দেশে ছিল ২৩৭টি।

মানবজমিন:

তবুও চড়া চালের বাজার
ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম খুচরায় কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারিতে বস্তাপ্রতি বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। রাজধানীর কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ওদিকে চালের দাম ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে প্রধান এই খাদ্যপণ্যটির আমদানি ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সম্প্রতি বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় ৮ লাখ ৩৯ হাজার টন। যদিও বাজারে এখনো চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে আমদানির মাধ্যমে বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ না নিলে দেশে খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৬ই আগস্ট থেকে ১৫ই অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দুই দফা বন্যা দেখা দেয়। এতে আট লাখ ৩৯ হাজার টন চালের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।

খাদ্য অধিদপ্তরও চালের সরবরাহ ঘাটতির কথা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, তাদের গুদামে এখন চালের মজুদ ১০ লাখ টনের নিচে, যা গত ১৫ই আগস্ট ছিল প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টন। সরকারিভাবে বিতরণ বাড়ানোয় মজুদ কমছে। যে হারে চাল বরাদ্দের পরিকল্পনা রয়েছে, এতে আগামী বছরের জুলাই নাগাদ প্রয়োজনের তুলনায় ১১ লাখ টন চালের ঘাটতি হতে পারে। নিরাপত্তা মজুদ এবং সম্ভাব্য ঘাটতি বিবেচনায় ১০ লাখ টন চাল আমদানি করা দরকার।

দৈনিক সংগ্রাম:

৩৬৩টিতে বসছে প্রশাসক প্যানেল চেয়ারম্যান ১০৫৩ 
তোফাজ্জল হোসাইন কামাল : দেশে এখন ইউনিয়ন পরিষদ আছে ৪ হাজার ৫৮০টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৬৪ জন চেয়ারম্যান নিয়মিত অফিস করছেন। বাকি ১ হাজার ৪১৬ ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক। আর কত সংখ্যক ইউপি সদস্য বা মেম্বার অনুপস্থিত, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৩৬৩ টিতে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বাকি ১ হাজার ৫৩ টিতে বসানো হচ্ছে প্যানেল চেয়ারম্যান।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের এক হাজার ৪১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার (সদস্য) গাঢাকা দেন। এরা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান-মেম্বার। জনপ্রতিনিধি না থাকায় সেবাপ্রার্থী মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ৩৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ ও এক হাজার ৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব পালনের জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে দেশের মোট চার হাজার ৫৮০টি ইউনিয়নের মধ্যে কতটিতে বর্তমানে চেয়ারম্যান-মেম্বার অনুপস্থিত রয়েছেন তার তথ্য চেয়ে গত ৬ অক্টোবর জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চিঠি পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ডিসিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, সরকার পতনের পর দেশের এক হাজার ৪১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা অনুপস্থিত রয়েছেন, যা মোট ইউনিয়ন পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ। এই চেয়ারম্যানদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কের পাশাপাশি নিজেদের ওপর হামলা হওয়ার আশঙ্কায় কার্যালয়ে যাচ্ছেন না।

কালবেলা:

সমবায় অধিদপ্তর জিম্মি ১২ জনে
সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রধান দায়িত্ব দেশের উন্নয়ন ও জনগণের সেবা নিশ্চিতের জন্য কাজ করা। কিন্তু সেই দায়িত্ব ভুলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা ব্যস্ত থাকেন অনিয়ম-দুর্নীতি, লুটপাট ও ক্ষমতার দাপটে পদোন্নতি বাগিয়ে নেওয়ার অসম প্রতিযোগিতায়! এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক এক মন্ত্রীর মদদপুষ্ট একটি সিন্ডিকেট। প্রভাব খাটিয়ে তারা অধিদপ্তর, জেলা ও থানা পর্যায়ে দায়িত্ব নিজেদের কবজায় রাখা, চুক্তিতে সমিতির নির্বাচন, নিয়োগ-বাণিজ্য, নিয়মবহির্ভূতভাবে পদ সৃষ্টি, ঘুষের বিনিময়ে পদোন্নতি, উন্নয়নের নামে সমিতির কোষাগারশূন্য, জাল সনদে চাকরি নেওয়াসহ বহুবিধ অপকর্ম করেও আছেন বহাল তবিয়তে। সবকিছু জেনেও হেলদোল নেই অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শরিফুল ইসলামের। সিন্ডিকেটের সদস্যদের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধেও। তাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরও নেওয়া হয় না কোনো ব্যবস্থা।

বরং অনিয়মের প্রতিবাদ করায় অনেককে বছরে দুই থেকে তিনবার বদলি করে হয়রানি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের আশীর্বাদপুষ্টরাই ঢাকার ভেতরে পোস্টিংসহ সব সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েও সুফল মেলেনি।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শুরু থেকেই সমবায় অধিদপ্তরে চলছে সিন্ডিকেটের অঘোষিত রাজত্ব! শরিফুল ইসলাম ডিজি হয়ে আসার পর সিন্ডিকেট ভাঙার উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো হোতাদের সঙ্গে খাতির জমিয়ে তাদের আরও অনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন এবং নিজেও নিয়েছেন। এই লেনদেন জারি রাখতে সাবেক মন্ত্রীর মদদে ওই সিন্ডিকেটকে আরও শক্তিশালী করেছেন শরিফুল।

দেশরুপান্তর:

বিএনপির নির্বাচনমুখী ঐক্য চিন্তা
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেওয়ার তাগিদ দিচ্ছে বিএনপি। এর পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের এলাকায় সাংগঠনিক কর্মকা- ও জনসংযোগে সহায়তা করার জন্য স্থানীয় নেতাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সমমনা ও অন্যান্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করছে দলটি।

সম্প্রতি রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ, সংবিধান বাতিল ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি বিএনপির সায় পায়নি। সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি বলেছে, এ উদ্যোগের পেছনে ষড়যন্ত্র আছে। এতে করে নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে এবং এর সুযোগ নিতে পারে ক্ষমতাচ্যুত গোষ্ঠী। পাশাপাশি বিএনপি এসব ইস্যুতে না গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি করেছে।

বিএনপির একাধিক সূত্র বলেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো নির্ধারণ হয়নি। তবে নির্বাচনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে রাখার কৌশলের অংশ হিসেবে ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের আরও সক্রিয় রাখতে আগামী মাসে দেশের সব মহানগরসহ বিভাগীয় জেলাগুলোতে ১০ দিনের কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মাঠপর্যায়ে কাজ করতে না পারা বিএনপি ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে তৃণমূলে সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে দলের কর্মকা- পরিচালনা করছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাংগঠনিকভাবে মাঠে থাকার নির্দেশনা রয়েছে। একইভাবে নির্বাচন ঘিরে ঐক্য জোরালো করতে উদ্যোগ নিয়েছে।

সমকাল:

জুলাইয়ে বেওয়ারিশ দাফন দ্বিগুণ
ব্যান্ডেজে মোড়ানো পুরো মাথা। সেখানে লেখা– ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’। কপালেও সাদা ব্যান্ডেজ। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় উত্তরায় আহত হন তিনি। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল আগারগাঁও নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে। মাথার হাড় ভেঙে যাওয়ায় ব্যান্ডেজের ওপর লেখা হয়েছিল সতর্কবাণী। গত ২২ জুলাই রাতে হাসপাতালে মারা যান তিনি। পরিচয় না মেলায় বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রায়েরবাজার কবরস্থানে।

শুধু এই যুবক নন, গত জুলাই মাসে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে ৮১ জনের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয় রায়েরবাজার কবরস্থানে। আগের বা পরের মাসগুলোর গড় বিবেচনায় এই সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি।

শুধু বেওয়ারিশ দাফন দ্বিগুণ নয়, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহেই বেওয়ারিশ লাশ দাফনের সংখ্যা ৪৫। আগস্টে পুরো মাসে এ সংখ্যা ছিল ৩৪ এবং সেপ্টেম্বরে ৩৪ জন। জুনে বেওয়ারিশ দাফন করা হয় ৪৮ জনকে। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রতি মাসে তারা গড়ে ৩৫-৪০ জনের বেওয়ারিশ লাশ দাফন করেন। কিন্তু জুলাই মাসে সংখ্যাটি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়।