ঢাকা ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ৫ আগস্টেই চালু হবে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: উপদেষ্টা ফারুকী Logo এই বিচার প্রতিশোধের জন্য নয়, ভবিষ্যতের প্রতিজ্ঞা: তাজুল ইসলাম Logo আজ মেজর সিনহা হত্যার রায়: লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড চায় এলাকাবাসী Logo গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাসের প্রতিক্রিয়া ‘অগ্রহণযোগ্য’: যুক্তরাষ্ট্র Logo চট্টগ্রামে ‘আমাদের ওবায়েদ ভাই’ শীর্ষক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo আমিরে জামায়াতকে নিয়ে ভুয়া তথ্য ও অপপ্রচার, নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি Logo বিএনপিকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: জয়নুল আবদিন Logo ছাত্রদের উপদেষ্টা পরিষদে রাখা ‘বিরাট ভুল’ হয়েছে: হাফিজ Logo মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার Logo ‘নির্ধারিত হাসিলের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না’

ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি ভারতীয় সংস্থা এবং দুই ভারতীয় নাগরিকসহ ১২টিরও বেশি দেশের প্রায় ৪০০টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহায়তা দেওয়ার জন্য বুধবার (৩০ অক্টোবর) এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধে সহায়তা করার অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৪০০টি সংস্থা ও ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।’

১২টি দেশের মধ্যে ভারতের পাশাপাশি চীন, হংকং, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

এসব সংস্থা রাশিয়াকে সেই সব পণ্য সরবরাহ করছে, যেগুলো যুদ্ধ ও শান্তি উভয় সময়েই কাজে লাগে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাসেন্ড এভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪-এর মার্চ পর্যন্ত ৭০০টি শিপমেন্ট রাশিয়ায় পাঠিয়েছে তারা। এসব শিপমেন্টে ২ লাখ ডলারের সিএইচপিএল পণ্য রয়েছে।

এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বানানো বিমানের যন্ত্রাংশও রয়েছে। এ ছাড়া সিএইচপিএল পণ্য সরবরাহ করেছে আরেকটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাস্ক ট্রান্স। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার সংস্থাকে তারা তিন লাখ ডলার মূল্যের সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা আরেক প্রতিষ্ঠান টিএসএমডি, তারা ৪ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পণ্য রাশিয়ায় পাঠিয়েছে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব পণ্য যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে সহায়তা করেছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে যেসব সংস্থার মালিক সেগুলো কোনোভাবে ব্যবহার করতে পারবে না।

এ ছাড়া দুই ভারতীয় নাগরিকেও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। তারা হলেন বিবেক কুমার মিশ্র ও সুধীর কুমার।

উভয়ই দিল্লিভিত্তিক সংস্থা অ্যাসেন্ড এভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক পদে রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞ দেশগুলোর সরকার ও বেসরকারি খাত গুলোকে সতর্ক বার্তা দিবে। বার্তাটি হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো উপেক্ষা করলে তা মোকাবেলা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রুশ সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।

৫ আগস্টেই চালু হবে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: উপদেষ্টা ফারুকী

ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৬:৩৬:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি ভারতীয় সংস্থা এবং দুই ভারতীয় নাগরিকসহ ১২টিরও বেশি দেশের প্রায় ৪০০টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় সহায়তা দেওয়ার জন্য বুধবার (৩০ অক্টোবর) এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধে সহায়তা করার অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৪০০টি সংস্থা ও ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।’

১২টি দেশের মধ্যে ভারতের পাশাপাশি চীন, হংকং, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

এসব সংস্থা রাশিয়াকে সেই সব পণ্য সরবরাহ করছে, যেগুলো যুদ্ধ ও শান্তি উভয় সময়েই কাজে লাগে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাসেন্ড এভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪-এর মার্চ পর্যন্ত ৭০০টি শিপমেন্ট রাশিয়ায় পাঠিয়েছে তারা। এসব শিপমেন্টে ২ লাখ ডলারের সিএইচপিএল পণ্য রয়েছে।

এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বানানো বিমানের যন্ত্রাংশও রয়েছে। এ ছাড়া সিএইচপিএল পণ্য সরবরাহ করেছে আরেকটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাস্ক ট্রান্স। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার সংস্থাকে তারা তিন লাখ ডলার মূল্যের সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা আরেক প্রতিষ্ঠান টিএসএমডি, তারা ৪ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পণ্য রাশিয়ায় পাঠিয়েছে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এসব পণ্য যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে সহায়তা করেছে বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে যেসব সংস্থার মালিক সেগুলো কোনোভাবে ব্যবহার করতে পারবে না।

এ ছাড়া দুই ভারতীয় নাগরিকেও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। তারা হলেন বিবেক কুমার মিশ্র ও সুধীর কুমার।

উভয়ই দিল্লিভিত্তিক সংস্থা অ্যাসেন্ড এভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক পদে রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞ দেশগুলোর সরকার ও বেসরকারি খাত গুলোকে সতর্ক বার্তা দিবে। বার্তাটি হচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো উপেক্ষা করলে তা মোকাবেলা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রুশ সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।