ঢাকা ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লগি-বৈঠা দিয়ে নৌকা নয় মানুষ হত্যা করার আদেশ দিয়েছিলো হাসিনা-রফিকুল ইসলাম খান

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৮:১৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • 23

লগি বৈঠা দিয়ে নৌকা নয়,মানুষ হত্যা করার আদেশ দিয়েছিলো হাসিনা, ঢাকা শহরে নৌকা চলে না,তাহলে লগি-বৈঠা আনার আদেশ দেওয়া হয়েছিলো কেন? নৌকা নয় মানুষ হত্যার জন্য সারা দেশ থেকে লগি-বৈঠা এসেছিলো।আর সাপের মত পিটিয়ে হত্যা করার পর লাশের উপর নৃত্য করেছিলো তাই ২৮ অক্টোবর খুনিদের বাংলাদেশে জায়গায় হবে না।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার স্টেশন চত্ত্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ এ সিরাজগঞ্জ শহর জামায়াত শাখার উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর সারা দেশের লগি বৈঠার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের প্রতিবাদ সমাবেশে এ সব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,২৮ অক্টোবর খুনিদের বাংলাদেশে জায়গায় হবে না। খুনিদের বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না। ২৮ ই অক্টোবর হত্যা কান্ডের পর ২০০৮ সালে খুনি হাসিনার কথা নির্বাচন হয়ে অবৈধ ভাবে সরকার গঠন করা হয়েছে। ২০০৯ সালে ৫৭ জন সেনাসদস্য হত্যা করেছে হাসিনা সরকার। নিহত সেনাদের পরিবার সংবাদ সম্মেলনে করে হাসিনা কে দায়ি করে । ২০০৬ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে লগী বৈঠা নিয়ে আসতে বলেছিল হাসিনা। তিনি আরো বলেন লগি বৈঠা দিয়ে নৌকা চালানো আর মানুষ হত্যা করা যায়। এই দেশের মানুষ রক্ত দিতে পারে এই দেশের মানুষ জীবন দিতে পারে এই দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে পারে

খান সাহেব আরও বলেন ,জামায়াত ইসলামীর ক্ষমতা এলে আমরা এই দেশে সন্ত্রাস মুক্ত চুরি মুক্ত , জিনা মুক্ত, চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি মুক্ত করবে । দেশের মহিলাদের ঘরে বসে রাখবে না। আমরা এমন ব্যাবস্থা করবো একা রমণী রাস্তা দিয়ে হেটে যাবে । মহিলাদের বিদ্যালয় আলাদা হবে, কলেজ আলাদা হবে, তাঁরা বাজারে যাবে ব্যাবসা করবে কোন বাধা থাকবে ।

কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ খুনি সরকার শেখ হাসিনা সহ সকল খুনী অপরাধীদের আইনের এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।ফ্যাসিস স্বৈরাচারী খুনি শেখ হাসিনা সরকার জামায়াত -শিবির নেতা-কর্মীদের নির্মূল করার জন্য হামলা, মামলা, জেল, জুলুম, হুলিয়া, লুঠপাট, অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন অপহরনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে ছিল। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও শিবিরের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে না পেরে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছিল, দেশের ছাত্র-জনতা গণ অভ্যূত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠানোর পর দেশের জনগণ আজ আওয়ামী লীগকেই নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে। আওয়ামী লীগের সকল খুনি, অপরাধী, অর্থ পাচারকারী, লুন্ঠন কারীদের বিচার করতে হবে

সিরাজগঞ্জ শহর শাখার আমীর অধ্যাপক মোঃ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ মোস্তফা মাহমুদ এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা’র আমীর জননেতা অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ শাহীনুর আলম,জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ আলী আলম, নায়েবে আমীর মাওলানা মোঃ আব্দুস ছালাম, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মোঃ জাহিদুল ইসলাম, জেলা শাখার প্রচার শাখার প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ শহিদুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি অ্যাডঃ মাসুদুর রহমান, জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডঃ মোঃ ছাইদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা মোঃ আতাউর রহমান খান, উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মোঃ শাহজাহান খান,বেলকুচি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ আরিফুল ইসলাম সোহেল, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আলহাজ উদ্দিন,ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ শহর শাখার সভাপতি মোঃ তারিকুল ইসলাম প্রমুখ

এ সময়ে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার বিভিন্ন ইউনিটের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৯৫, লেবাননে ৪৫

লগি-বৈঠা দিয়ে নৌকা নয় মানুষ হত্যা করার আদেশ দিয়েছিলো হাসিনা-রফিকুল ইসলাম খান

আপডেট সময় ০৮:১৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

লগি বৈঠা দিয়ে নৌকা নয়,মানুষ হত্যা করার আদেশ দিয়েছিলো হাসিনা, ঢাকা শহরে নৌকা চলে না,তাহলে লগি-বৈঠা আনার আদেশ দেওয়া হয়েছিলো কেন? নৌকা নয় মানুষ হত্যার জন্য সারা দেশ থেকে লগি-বৈঠা এসেছিলো।আর সাপের মত পিটিয়ে হত্যা করার পর লাশের উপর নৃত্য করেছিলো তাই ২৮ অক্টোবর খুনিদের বাংলাদেশে জায়গায় হবে না।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার স্টেশন চত্ত্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ এ সিরাজগঞ্জ শহর জামায়াত শাখার উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর সারা দেশের লগি বৈঠার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের প্রতিবাদ সমাবেশে এ সব কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,২৮ অক্টোবর খুনিদের বাংলাদেশে জায়গায় হবে না। খুনিদের বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না। ২৮ ই অক্টোবর হত্যা কান্ডের পর ২০০৮ সালে খুনি হাসিনার কথা নির্বাচন হয়ে অবৈধ ভাবে সরকার গঠন করা হয়েছে। ২০০৯ সালে ৫৭ জন সেনাসদস্য হত্যা করেছে হাসিনা সরকার। নিহত সেনাদের পরিবার সংবাদ সম্মেলনে করে হাসিনা কে দায়ি করে । ২০০৬ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে লগী বৈঠা নিয়ে আসতে বলেছিল হাসিনা। তিনি আরো বলেন লগি বৈঠা দিয়ে নৌকা চালানো আর মানুষ হত্যা করা যায়। এই দেশের মানুষ রক্ত দিতে পারে এই দেশের মানুষ জীবন দিতে পারে এই দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে পারে

খান সাহেব আরও বলেন ,জামায়াত ইসলামীর ক্ষমতা এলে আমরা এই দেশে সন্ত্রাস মুক্ত চুরি মুক্ত , জিনা মুক্ত, চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি মুক্ত করবে । দেশের মহিলাদের ঘরে বসে রাখবে না। আমরা এমন ব্যাবস্থা করবো একা রমণী রাস্তা দিয়ে হেটে যাবে । মহিলাদের বিদ্যালয় আলাদা হবে, কলেজ আলাদা হবে, তাঁরা বাজারে যাবে ব্যাবসা করবে কোন বাধা থাকবে ।

কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ খুনি সরকার শেখ হাসিনা সহ সকল খুনী অপরাধীদের আইনের এনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।ফ্যাসিস স্বৈরাচারী খুনি শেখ হাসিনা সরকার জামায়াত -শিবির নেতা-কর্মীদের নির্মূল করার জন্য হামলা, মামলা, জেল, জুলুম, হুলিয়া, লুঠপাট, অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন অপহরনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে ছিল। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও শিবিরের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে না পেরে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছিল, দেশের ছাত্র-জনতা গণ অভ্যূত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠানোর পর দেশের জনগণ আজ আওয়ামী লীগকেই নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে। আওয়ামী লীগের সকল খুনি, অপরাধী, অর্থ পাচারকারী, লুন্ঠন কারীদের বিচার করতে হবে

সিরাজগঞ্জ শহর শাখার আমীর অধ্যাপক মোঃ আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ মোস্তফা মাহমুদ এর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা’র আমীর জননেতা অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ শাহীনুর আলম,জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ আলী আলম, নায়েবে আমীর মাওলানা মোঃ আব্দুস ছালাম, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মোঃ জাহিদুল ইসলাম, জেলা শাখার প্রচার শাখার প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ শহিদুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি অ্যাডঃ মাসুদুর রহমান, জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডঃ মোঃ ছাইদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা মোঃ আতাউর রহমান খান, উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মোঃ শাহজাহান খান,বেলকুচি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ আরিফুল ইসলাম সোহেল, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আলহাজ উদ্দিন,ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ শহর শাখার সভাপতি মোঃ তারিকুল ইসলাম প্রমুখ

এ সময়ে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার বিভিন্ন ইউনিটের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন