ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাথায় কাদেরের হাত তাতেই শতকোটি

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • 21

আজকের প্রত্রিকা গুলোর প্রদান প্রধান খবর

দেশরুপান্তর:

মাথায় কাদেরের হাত তাতেই শতকোটি
সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত ছিলেন সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তার চলাচল, কাজকর্ম ছিল রাজনৈতিক নেতাদের মতো। ওবায়দুল কাদেরের আশীর্বাদপুষ্ট এই কর্মকর্তা হয়েছেন শত শত কোটি টাকার মালিকও। স্ত্রী মাহমুদা আক্তার পান্নাকে এমপি বানানোর স্বপ্নও ছিল তার। সেই লক্ষ্যে স্ত্রীকে দিয়ে চালাতেন একটি অনিবন্ধিত এনজিও; যার কাজ ছিল মূলত সবুজের কালো টাকা সাদা করা।

সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে ওবায়দুল কাদেরের আস্থাভাজন হিসেবে অত্যন্ত একরোখা ও দাপুটে কর্মকর্তা হিসেবেই পরিচিতি ছিল তার। অবশ্য সরকার বদলের পর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের ঢাকা সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে করা হয়েছে জয়দেবপুর-বেদগ্রাম-ভূলতা-মদনপুর বাইপাস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক।অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৯ সালের পর থেকে ঘুরেফিরে সড়ক বিভাগের মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা এই তিন কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন সবুজ খান। আট বছর টানা দায়িত্বে ছিলেন অধিদপ্তরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে।

ইনকিলাব:

আ.লীগ রেজিমে মেগা প্রকল্পের নামে উন্নয়নের চেয়ে বিদেশে বেশি পাচার হয়েছে
জাতীয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মূলে রাজনৈতিক বিবেচনায় পক্ষপাতদুষ্ট মেগা প্রকল্প। যা বাস্তবায়নে মেগা চুরি হয়েছে। বিগত সরকারের সময়ে অনাচারী অর্থনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাচারী অর্থনীতি সৃষ্টি করা হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা কমিশনে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির কাছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সুপারিশ বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আওয়ামী লীগ রেজিমে যতটুকু অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে তার চেয়ে বেশি বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এটার বিপরীতে উন্নয়নের একটি বয়ান সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই অনাচারী অর্থনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাচারী রাজনীতির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। এটার ফলে অনাচারের যে চক্রাকার আবহ সৃষ্টি হয়েছিল, তা ভাঙার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংস্কার না হলে আমাদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, কর্মদক্ষতা এবং সুশাসনের পথে বাধা সৃষ্টি হবে। আমরা বর্তমান যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছি, ভবিষ্যতেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন হবে তা নির্ধারণ করবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তাদের কতটা স্বস্তি দিচ্ছে। অর্থাৎ এ সংস্কারগুলোর পরিধি, ধারাবাহিকতা এবং গতি কী হবে, তা নির্ধারিত হবে সরকার বর্তমান অর্থনীতির কতখানি আশ্বস্ত থাকে এবং জনগণ কতখানি স্বস্তিতে থাকে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

মিরপুরে অরাজকতা
গার্মেন্ট শ্রমিকদের বিক্ষোভে তুলকালাম, সেনাবাহিনী পুলিশের গাড়িতে আগুন, দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধরাজধানীর মিরপুর-১৪ ও কাফরুল এলাকায় শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন গার্মেন্ট শ্রমিকরা। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মৌসুমি গার্মেন্টের শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপরই আশপাশের কারখানার শ্রমিকরাও বিক্ষোভ শুরু করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে গার্মেন্ট শ্রমিকদের সংঘর্ষে তুলকালাম কান্ড ঘটে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলিবর্ষণ করা হয়। ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ গার্মেন্ট শ্রমিকরা প্রথমে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও পরে আগুন দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে লাগা আগুন নেভান। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। এতে আল আমিন হোসেন (১৭) ও মোছা. ঝুমা আক্তার (১৫) নামে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। গুলিবিদ্ধ দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নয়াদিগন্ত:

দণ্ডিত হলেই হাসিনাকে ফেরত আনা হবে
– সরকারি গাড়ির সংখ্যা কত, অনুসন্ধান করবে সরকার
– অস্ট্রেলিয়া ভিসা সেন্টার নয়াদিল্লি থেকে ঢাকায় আসবে
– অধিভুক্ত সাত কলেজের জন্য আলাদা রেজিস্ট্রার থাকবেসরকারি গাড়ির সংখ্যা কত তা অনুসন্ধান করবে সরকার। এজন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে গাড়ির সংখ্যা চাওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ভিসা অফিস ঢাকায় স্থাপন করা হবে। স্থায়ীভাবে এ অফিস খোলার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অভিবাসী অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভেতরে একটি পৃথক সচিবালয় স্থাপন করা হবে। ওই দফতর থেকে অধিভুক্ত কলেজগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বাংলাদেশ ফুটবল দলের ছেলে এবং মেয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে বিদ্যমান বেতনবৈষম্য দূর করা হবে। এ ছাড়া অপেক্ষমাণ ১৮ হাজার বাংলাদেশী শিগগিরই মালয়েশিয়া যাওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠনের মধ্যে দিয়ে সরকারের নির্বাচনী অভিযাত্র শুরু হয়ে গেছে। অন্য দিকে পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ট্রাইব্যুনালের রায়ে দণ্ডিত হলেই তাকে বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় ফেরত চাওয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো: শফিকুল আলম এসব কথা বলেন। এ সময় উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস সচিব জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নির্ধারিত এজেন্ডার বাইরে উল্লিখিত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকার প্রয়োজনে গাড়ি ক্রয় করে। প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের দৈনন্দিন কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহৃত হয়। সরকার এ পর্যন্ত কত গাড়ি ক্রয় করেছে। কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে গত গাড়ি কেনা হয়েছে। গাড়িগুলোর বর্তমান অবস্থা কি? গাড়িগুলোর বয়স কত? এসব বিষয়ে অনুসন্ধান করছে সরকার। প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে গাড়ির হিসাব দিতে বলা হয়েছে।

কালের কন্ঠ:

চাল সরবরাহ না বাড়লে খাদ্যঘাটতির শঙ্কা
সম্প্রতি বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চাল উৎপাদন কম হবে। তাই আমদানি করে দেশের বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানো না গেলে খাদ্যে ঘাটতির শঙ্কা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

চাল সরবরাহ না বাড়লে খাদ্যঘাটতির শঙ্কাগত আগস্টে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে আমন চাষে প্রভাব পড়ার পর থেকে খুচরা বাজারে চালের দাম বাড়তি।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফসলের ফলন কমে যাওয়ায় চালের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুল্ক কমিয়ে আমদানিকে উৎসাহিত এবং স্থানীয় মজুদ বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও বাজারে উত্তাপ কমছে না। গত এক মাসের ব্যবধানে খুচরায় প্রতি কেজি চালের দাম ৪ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

মানবজমিন:

সংঘর্ষ, জাপা অফিসে ভাঙচুর, আগুন
ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার মিছিলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের হামলার জেরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যার পর কাকরাইলের বিজয়নগরে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ডাকার প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকা থেকে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার’ ব্যানারে মশাল মিছিল বের হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশালমিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।

জাতীয় পার্টিকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে দলটির কার্যালয় ঘেরাও করতে কাকরাইলের বিজয়নগর এলাকায় মিছিল নিয়ে যান কিছু নেতাকর্মী। এ সময় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীর পক্ষ থেকে মিছিলে হামলা চালানো হয়। জাতীয় পার্টির কার্যালয় থেকে মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মিছিলে থাকা মাইকও ভাঙচুর করেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। কিছুক্ষণ পর ছাত্র-জনতা সংগঠিত হয়ে এসে ওই কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান এবং সামনে আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনাস্থলে থাকা গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ জামান বলেন, আমাদের মিছিল এখানে আসার পর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে থাকা লোকজন হামলা করে। জাতীয় পার্টির নামে এখানে আওয়ামী লীগ যুবলীগের লোক ছিল। পাল্টা হামলা করার ভয়ে তারা কার্যালয়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

যুগান্তর:

ছাদখোলা বাসে ঋতুপর্ণা রুপনাদের রুপালি উৎসব
দুপুর আড়াইটায় কাঠমান্ডু থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর চ্যাম্পিয়ন সাবিনা-সানজিদাদের নিয়ে চলল উৎসব।

বিমানবন্দরে তাদের বরণ করে নেওয়ার পর ছাদখোলা বাসে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে। সেখানে তাদের দেওয়া হয় সংবর্ধনা।

বিকাল ৪টার দিকে এভারেস্টজয়ী মেয়েরা ছাদখোলা বাসে করে বিমানবন্দরের টার্মিনাল থেকে বের হওয়ার পর ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ; চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়ন’ স্লোগান দিয়ে তাদের স্বাগত জানায় উচ্ছ্বসিত জনতা।

বিজয়ী মেয়েদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের সামনের সড়কে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক শ মানুষ। হাত নেড়ে তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। সমর্থকরা লাল আর সবুজ রং ছুড়ে আনন্দ করেন।

নিচ থেকে ছুড়ে দেন ফুল। ছাদখোলা বাস থেকে ঋতুপর্ণা, সাবিনা, মনিকারাও পতাকা নেড়ে সাড়া দেন। বিমানবন্দরে তাদের বরণ করে নিতে এসেছিল ‘আল্ট্রাস’ নামের একটি সংগঠন। ফুটবল অন্তঃপ্রাণ কয়েকজন তরুণের সংগঠন এটি।

বিমানবন্দরের সামনের সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন দলটির কর্মী-সমর্থকরা। দুই বছর আগে গোলাম রব্বানী ছোটনের হাত ধরে কাঠমান্ডুর দশরথেই নেপালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম এই ট্রফির স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। পালাবদলের ছোঁয়ায় এবার ছাদখোলা বাসে ছিল শুধুই চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের ছবি।

বাসের পোস্টারে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির সঙ্গে অফিশিয়াল ফটোসেশনের সবাইকে রাখা হয়েছে। একপাশে আছে এ বছর টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসাবে গোল্ডেন বল জেতা ঋতুপর্ণা চাকমার ট্রফি গ্রহণের ছবিও। ঋতুপর্ণা চাকমার ছবির ওপর স্পন্সরদের লোগো। নারী ফুটবলে দীর্ঘদিনের স্পন্সর ঢাকা ব্যাংক।

সেই ২০১৬ সাল থেকে নারী ফুটবলের সঙ্গে এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে। উৎসবের এ উপলক্ষ্যে বাফুফে স্মরণ রেখেছে তাদেরও। বিকাল সাড়ে ৪টায় বিমানবন্দর থেকে চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের বাসটি বের হয়ে যায়। এরপর তাদের নিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠে ছাদখোলা বাসটি।

এফডিসি মোড়ে নেমে সাতরাস্তার মোড় হয়ে মগবাজার ফ্লাইওভার দিয়ে কাকরাইল হয়ে যায় পল্টনে। এরপর নটর ডেম কলেজর সামনে দিয়ে শাপলা চত্বর পার হয়ে সাবিনা-ঋতুপর্ণারা সন্ধ্যায় পৌঁছান বাফুফে ভবনে। সেখানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চ্যাম্পিয়নরা।

ক্রীড়া উপদেষ্টা নারী সাফজয়ী ফুটবলকন্যাদের জন্য এক কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। শিগ্গিরই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের সংবর্ধনা দেবেন। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাবিনাদের জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

২০২২ ও ২০২৪ কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় লাল-সবুজের উৎসব হয়েছে দুবার। কিন্তু একবারও সেই শিরোপারাঙা মুহূর্তগুলো উপভোগের সৌভাগ্য হয়নি তাদের। দুই বছর আগেও যেমন রাঙাতে পারেননি সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) বর্তমান সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এবারও পারলেন না বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

৩০ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশের মেয়েরা নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে কাঠমান্ডুতে শিরোপা উৎসব করে। এটা টানা দ্বিতীয় সাফ জয়ের গৌরব। দ্বিতীয়বারও সাফে অনুপস্থিত সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ১৬ বছর ধরে সাফের সভাপতির চেয়ার আঁকড়ে থেকেও সালাউদ্দিন কখনো ট্রফি তুলে দিতে পারেননি নিজের দলের হাতে।

নারী ফুটবলের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন শেষ করে পরদিন কোরিয়ার বিমানে চেপেছেন। কোরিয়া গেছেন সাফের সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক হেলালও। অর্থাৎ বাংলাদেশের এমন বিজয়ের মুহূর্তে ছিলেন না সাফের দুই বড় কর্তা। তাদের সঙ্গী হয়েছেন বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

দৈনিক সংগ্রাম:

ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ চাহিদা মোকাবিলায় প্রয়োজন টেকসই বিদ্যুৎকেন্দ্র

* বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে পায়রার তুলনায় পিছিয়ে আছে রামপাল

*‘ব্যাংক লুটেরা’ এস আলমের এস এস পাওয়ার এখন জটিলতায়

* মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও ‘জনস্বার্থ বিরোধী’

দেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে বড় টেকসই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভাব রয়ে গেছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার মাঝারি ও বড় সক্ষমতার কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল প্রায় দেড় দশক আগে। যথাসময়ে সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদার যোগান দিতে ৩-৫ বছর মেয়াদি চুক্তিতে ২০১১-১২ সালে উৎপাদনে আসা দ্রুত ভাড়াভিত্তিক (কুইক রেন্টাল) ও ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল) বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে। পতনের কয়েক মাস আগেও স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার তাদের মিত্র- সামিট, ওরিয়নসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপের রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়িয়েছে।

এসব রেন্টাল-কুইক রেন্টালের কারণে পিডিবির হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসানের বিষয়ে আলোচনা, সমালোচনা আছে। লোকসান পোষাতে বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের ‘পকেট কাটা’ হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ব্যয়বহুল রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চুক্তি শেষে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ভাড়াভিত্তিক আইপিপিগুলো বন্ধ করে দিলে বিদ্যুৎ চাহিদার যে ঘাটতি তৈরি হবে তা পূরণে দেশে বেশকিছু টেকসই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রয়োজন বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

কালবেলা:

নিয়ন্ত্রণহীন বাজারের নেপথ্যে
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিলে নানা ঘটনার পর ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা নেয় সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সরকারের দুই মাস পূর্তি না হতেই মার্চ থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে মূল্যস্ফীতি। এ সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার বাজার মানিটরিং, গুদামগুলোতে অভিযান শুরু করে। এতসব করেও বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। উল্টো ওই বছরের ডিসেম্বরে রেকর্ড ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশে ওঠে মূল্যস্ফীতি।

একই পথে হেঁটেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। পণ্য সংকট, সিন্ডিকেটসহ নানা কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি শুরু হলেই কয়েকটি বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেই তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছে। মাঝেমধ্যে কিছু কিছু নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে মূল্যস্ফীতি কম দেখাতে ভুয়া হিসাবায়নও করে বিগত সরকার। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পরও সেই পুরোনো নিয়মেই বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিছু নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও সেগুলো কেউই মানছে না। মাঝেমধ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে, কিন্তু দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের মূল কাজ না করে জনপ্রিয় অভিযানেই সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ সীমাবদ্ধ। এতে উপকৃত না হয়ে উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষি, ক্রেতা ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। করোনা-পরবর্তী বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট তৈরি হলে বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ে। ডলার সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্যান্য কারণে দেশের পণ্য বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও আড়াই বছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। বাধ্য হয়ে গত বছরের জুলাই মাসে সুদহারের সীমা তুলে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর তিন ধাপে বাড়ানো হয় নীতি সুদহার। কিন্তু কোনোভাবেই কমেনি মূল্যস্ফীতি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে সুদের হার তিন ধাপে বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে বাজার ব্যবস্থাপনায় বড় কোনো উন্নয়ন দেখাতে পারেনি। সরকার গঠনের পর কয়েকদিন চাঁদাবাজি বন্ধ থাকায় পণ্যমূল্য কিছুটা কমলেও সময় যত বেড়েছে চাঁদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পণ্যের দামও। আগের তুলনায় বিভিন্ন স্থানে চাঁদার হারও বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রথম আলো:

আদানি ‘একতরফা’ চুক্তির সুযোগ নিচ্ছে
ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে জটিলতা কাটছে না। গত জুলাই থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার বাড়তি দাম ধরে বিদ্যুৎ বিল করছে আদানি। বকেয়া বিল পরিশোধে বাংলাদেশকে চাপও দিচ্ছে। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে অর্ধেকের নিচে নামিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ‘একতরফা’ চুক্তির সুযোগ নিচ্ছে আদানি।আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত। গত বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর আগেই কয়লার দাম নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। কয়লার চড়া দাম দিতে অস্বীকৃতি জানায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এরপর দাম কমাতে রাজি হয় আদানি। পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে কম দামে কয়লা সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দেয় তারা। তবে এক বছর পর এখন আবার ২২ শতাংশ বাড়তি দাম চাইছে আদানি।

আদানি গত জুলাই থেকে কয়লার বাড়তি দামে বিল করছে। বকেয়ার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে। গতকাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে তারা।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৯৫, লেবাননে ৪৫

মাথায় কাদেরের হাত তাতেই শতকোটি

আপডেট সময় ০৭:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকা গুলোর প্রদান প্রধান খবর

দেশরুপান্তর:

মাথায় কাদেরের হাত তাতেই শতকোটি
সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত ছিলেন সড়ক পরিবহন এবং মহাসড়ক বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও তার চলাচল, কাজকর্ম ছিল রাজনৈতিক নেতাদের মতো। ওবায়দুল কাদেরের আশীর্বাদপুষ্ট এই কর্মকর্তা হয়েছেন শত শত কোটি টাকার মালিকও। স্ত্রী মাহমুদা আক্তার পান্নাকে এমপি বানানোর স্বপ্নও ছিল তার। সেই লক্ষ্যে স্ত্রীকে দিয়ে চালাতেন একটি অনিবন্ধিত এনজিও; যার কাজ ছিল মূলত সবুজের কালো টাকা সাদা করা।

সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে ওবায়দুল কাদেরের আস্থাভাজন হিসেবে অত্যন্ত একরোখা ও দাপুটে কর্মকর্তা হিসেবেই পরিচিতি ছিল তার। অবশ্য সরকার বদলের পর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের ঢাকা সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে করা হয়েছে জয়দেবপুর-বেদগ্রাম-ভূলতা-মদনপুর বাইপাস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক।অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৯ সালের পর থেকে ঘুরেফিরে সড়ক বিভাগের মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা এই তিন কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন সবুজ খান। আট বছর টানা দায়িত্বে ছিলেন অধিদপ্তরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে।

ইনকিলাব:

আ.লীগ রেজিমে মেগা প্রকল্পের নামে উন্নয়নের চেয়ে বিদেশে বেশি পাচার হয়েছে
জাতীয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মূলে রাজনৈতিক বিবেচনায় পক্ষপাতদুষ্ট মেগা প্রকল্প। যা বাস্তবায়নে মেগা চুরি হয়েছে। বিগত সরকারের সময়ে অনাচারী অর্থনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাচারী অর্থনীতি সৃষ্টি করা হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা কমিশনে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির কাছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সুপারিশ বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আওয়ামী লীগ রেজিমে যতটুকু অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে তার চেয়ে বেশি বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। এটার বিপরীতে উন্নয়নের একটি বয়ান সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই অনাচারী অর্থনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাচারী রাজনীতির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। এটার ফলে অনাচারের যে চক্রাকার আবহ সৃষ্টি হয়েছিল, তা ভাঙার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংস্কার না হলে আমাদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, কর্মদক্ষতা এবং সুশাসনের পথে বাধা সৃষ্টি হবে। আমরা বর্তমান যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছি, ভবিষ্যতেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন হবে তা নির্ধারণ করবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তাদের কতটা স্বস্তি দিচ্ছে। অর্থাৎ এ সংস্কারগুলোর পরিধি, ধারাবাহিকতা এবং গতি কী হবে, তা নির্ধারিত হবে সরকার বর্তমান অর্থনীতির কতখানি আশ্বস্ত থাকে এবং জনগণ কতখানি স্বস্তিতে থাকে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

মিরপুরে অরাজকতা
গার্মেন্ট শ্রমিকদের বিক্ষোভে তুলকালাম, সেনাবাহিনী পুলিশের গাড়িতে আগুন, দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধরাজধানীর মিরপুর-১৪ ও কাফরুল এলাকায় শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন গার্মেন্ট শ্রমিকরা। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মৌসুমি গার্মেন্টের শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপরই আশপাশের কারখানার শ্রমিকরাও বিক্ষোভ শুরু করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে গার্মেন্ট শ্রমিকদের সংঘর্ষে তুলকালাম কান্ড ঘটে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলিবর্ষণ করা হয়। ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ গার্মেন্ট শ্রমিকরা প্রথমে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও পরে আগুন দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে লাগা আগুন নেভান। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। এতে আল আমিন হোসেন (১৭) ও মোছা. ঝুমা আক্তার (১৫) নামে দুই শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। গুলিবিদ্ধ দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নয়াদিগন্ত:

দণ্ডিত হলেই হাসিনাকে ফেরত আনা হবে
– সরকারি গাড়ির সংখ্যা কত, অনুসন্ধান করবে সরকার
– অস্ট্রেলিয়া ভিসা সেন্টার নয়াদিল্লি থেকে ঢাকায় আসবে
– অধিভুক্ত সাত কলেজের জন্য আলাদা রেজিস্ট্রার থাকবেসরকারি গাড়ির সংখ্যা কত তা অনুসন্ধান করবে সরকার। এজন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে গাড়ির সংখ্যা চাওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ভিসা অফিস ঢাকায় স্থাপন করা হবে। স্থায়ীভাবে এ অফিস খোলার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অভিবাসী অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভেতরে একটি পৃথক সচিবালয় স্থাপন করা হবে। ওই দফতর থেকে অধিভুক্ত কলেজগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বাংলাদেশ ফুটবল দলের ছেলে এবং মেয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে বিদ্যমান বেতনবৈষম্য দূর করা হবে। এ ছাড়া অপেক্ষমাণ ১৮ হাজার বাংলাদেশী শিগগিরই মালয়েশিয়া যাওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠনের মধ্যে দিয়ে সরকারের নির্বাচনী অভিযাত্র শুরু হয়ে গেছে। অন্য দিকে পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ট্রাইব্যুনালের রায়ে দণ্ডিত হলেই তাকে বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় ফেরত চাওয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো: শফিকুল আলম এসব কথা বলেন। এ সময় উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস সচিব জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নির্ধারিত এজেন্ডার বাইরে উল্লিখিত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকার প্রয়োজনে গাড়ি ক্রয় করে। প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের দৈনন্দিন কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহৃত হয়। সরকার এ পর্যন্ত কত গাড়ি ক্রয় করেছে। কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে গত গাড়ি কেনা হয়েছে। গাড়িগুলোর বর্তমান অবস্থা কি? গাড়িগুলোর বয়স কত? এসব বিষয়ে অনুসন্ধান করছে সরকার। প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে গাড়ির হিসাব দিতে বলা হয়েছে।

কালের কন্ঠ:

চাল সরবরাহ না বাড়লে খাদ্যঘাটতির শঙ্কা
সম্প্রতি বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চাল উৎপাদন কম হবে। তাই আমদানি করে দেশের বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ানো না গেলে খাদ্যে ঘাটতির শঙ্কা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

চাল সরবরাহ না বাড়লে খাদ্যঘাটতির শঙ্কাগত আগস্টে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে আমন চাষে প্রভাব পড়ার পর থেকে খুচরা বাজারে চালের দাম বাড়তি।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফসলের ফলন কমে যাওয়ায় চালের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুল্ক কমিয়ে আমদানিকে উৎসাহিত এবং স্থানীয় মজুদ বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও বাজারে উত্তাপ কমছে না। গত এক মাসের ব্যবধানে খুচরায় প্রতি কেজি চালের দাম ৪ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

মানবজমিন:

সংঘর্ষ, জাপা অফিসে ভাঙচুর, আগুন
ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার মিছিলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের হামলার জেরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যার পর কাকরাইলের বিজয়নগরে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ডাকার প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকা থেকে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার’ ব্যানারে মশাল মিছিল বের হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশালমিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন গণঅধিকার পরিষদের ছাত্রসংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।

জাতীয় পার্টিকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে দলটির কার্যালয় ঘেরাও করতে কাকরাইলের বিজয়নগর এলাকায় মিছিল নিয়ে যান কিছু নেতাকর্মী। এ সময় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীর পক্ষ থেকে মিছিলে হামলা চালানো হয়। জাতীয় পার্টির কার্যালয় থেকে মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মিছিলে থাকা মাইকও ভাঙচুর করেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। কিছুক্ষণ পর ছাত্র-জনতা সংগঠিত হয়ে এসে ওই কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান এবং সামনে আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনাস্থলে থাকা গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ জামান বলেন, আমাদের মিছিল এখানে আসার পর জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে থাকা লোকজন হামলা করে। জাতীয় পার্টির নামে এখানে আওয়ামী লীগ যুবলীগের লোক ছিল। পাল্টা হামলা করার ভয়ে তারা কার্যালয়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

যুগান্তর:

ছাদখোলা বাসে ঋতুপর্ণা রুপনাদের রুপালি উৎসব
দুপুর আড়াইটায় কাঠমান্ডু থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর চ্যাম্পিয়ন সাবিনা-সানজিদাদের নিয়ে চলল উৎসব।

বিমানবন্দরে তাদের বরণ করে নেওয়ার পর ছাদখোলা বাসে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে। সেখানে তাদের দেওয়া হয় সংবর্ধনা।

বিকাল ৪টার দিকে এভারেস্টজয়ী মেয়েরা ছাদখোলা বাসে করে বিমানবন্দরের টার্মিনাল থেকে বের হওয়ার পর ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ; চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়ন’ স্লোগান দিয়ে তাদের স্বাগত জানায় উচ্ছ্বসিত জনতা।

বিজয়ী মেয়েদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের সামনের সড়কে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক শ মানুষ। হাত নেড়ে তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। সমর্থকরা লাল আর সবুজ রং ছুড়ে আনন্দ করেন।

নিচ থেকে ছুড়ে দেন ফুল। ছাদখোলা বাস থেকে ঋতুপর্ণা, সাবিনা, মনিকারাও পতাকা নেড়ে সাড়া দেন। বিমানবন্দরে তাদের বরণ করে নিতে এসেছিল ‘আল্ট্রাস’ নামের একটি সংগঠন। ফুটবল অন্তঃপ্রাণ কয়েকজন তরুণের সংগঠন এটি।

বিমানবন্দরের সামনের সড়কে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন দলটির কর্মী-সমর্থকরা। দুই বছর আগে গোলাম রব্বানী ছোটনের হাত ধরে কাঠমান্ডুর দশরথেই নেপালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম এই ট্রফির স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। পালাবদলের ছোঁয়ায় এবার ছাদখোলা বাসে ছিল শুধুই চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের ছবি।

বাসের পোস্টারে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির সঙ্গে অফিশিয়াল ফটোসেশনের সবাইকে রাখা হয়েছে। একপাশে আছে এ বছর টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসাবে গোল্ডেন বল জেতা ঋতুপর্ণা চাকমার ট্রফি গ্রহণের ছবিও। ঋতুপর্ণা চাকমার ছবির ওপর স্পন্সরদের লোগো। নারী ফুটবলে দীর্ঘদিনের স্পন্সর ঢাকা ব্যাংক।

সেই ২০১৬ সাল থেকে নারী ফুটবলের সঙ্গে এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে। উৎসবের এ উপলক্ষ্যে বাফুফে স্মরণ রেখেছে তাদেরও। বিকাল সাড়ে ৪টায় বিমানবন্দর থেকে চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের বাসটি বের হয়ে যায়। এরপর তাদের নিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠে ছাদখোলা বাসটি।

এফডিসি মোড়ে নেমে সাতরাস্তার মোড় হয়ে মগবাজার ফ্লাইওভার দিয়ে কাকরাইল হয়ে যায় পল্টনে। এরপর নটর ডেম কলেজর সামনে দিয়ে শাপলা চত্বর পার হয়ে সাবিনা-ঋতুপর্ণারা সন্ধ্যায় পৌঁছান বাফুফে ভবনে। সেখানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চ্যাম্পিয়নরা।

ক্রীড়া উপদেষ্টা নারী সাফজয়ী ফুটবলকন্যাদের জন্য এক কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। শিগ্গিরই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের সংবর্ধনা দেবেন। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাবিনাদের জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

২০২২ ও ২০২৪ কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় লাল-সবুজের উৎসব হয়েছে দুবার। কিন্তু একবারও সেই শিরোপারাঙা মুহূর্তগুলো উপভোগের সৌভাগ্য হয়নি তাদের। দুই বছর আগেও যেমন রাঙাতে পারেননি সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) বর্তমান সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এবারও পারলেন না বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

৩০ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশের মেয়েরা নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে কাঠমান্ডুতে শিরোপা উৎসব করে। এটা টানা দ্বিতীয় সাফ জয়ের গৌরব। দ্বিতীয়বারও সাফে অনুপস্থিত সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ১৬ বছর ধরে সাফের সভাপতির চেয়ার আঁকড়ে থেকেও সালাউদ্দিন কখনো ট্রফি তুলে দিতে পারেননি নিজের দলের হাতে।

নারী ফুটবলের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন শেষ করে পরদিন কোরিয়ার বিমানে চেপেছেন। কোরিয়া গেছেন সাফের সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক হেলালও। অর্থাৎ বাংলাদেশের এমন বিজয়ের মুহূর্তে ছিলেন না সাফের দুই বড় কর্তা। তাদের সঙ্গী হয়েছেন বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

দৈনিক সংগ্রাম:

ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ চাহিদা মোকাবিলায় প্রয়োজন টেকসই বিদ্যুৎকেন্দ্র

* বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে পায়রার তুলনায় পিছিয়ে আছে রামপাল

*‘ব্যাংক লুটেরা’ এস আলমের এস এস পাওয়ার এখন জটিলতায়

* মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও ‘জনস্বার্থ বিরোধী’

দেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে বড় টেকসই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভাব রয়ে গেছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার মাঝারি ও বড় সক্ষমতার কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল প্রায় দেড় দশক আগে। যথাসময়ে সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদার যোগান দিতে ৩-৫ বছর মেয়াদি চুক্তিতে ২০১১-১২ সালে উৎপাদনে আসা দ্রুত ভাড়াভিত্তিক (কুইক রেন্টাল) ও ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল) বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে। পতনের কয়েক মাস আগেও স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার তাদের মিত্র- সামিট, ওরিয়নসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপের রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়িয়েছে।

এসব রেন্টাল-কুইক রেন্টালের কারণে পিডিবির হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসানের বিষয়ে আলোচনা, সমালোচনা আছে। লোকসান পোষাতে বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের ‘পকেট কাটা’ হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে ব্যয়বহুল রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চুক্তি শেষে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ভাড়াভিত্তিক আইপিপিগুলো বন্ধ করে দিলে বিদ্যুৎ চাহিদার যে ঘাটতি তৈরি হবে তা পূরণে দেশে বেশকিছু টেকসই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রয়োজন বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

কালবেলা:

নিয়ন্ত্রণহীন বাজারের নেপথ্যে
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিলে নানা ঘটনার পর ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা নেয় সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সরকারের দুই মাস পূর্তি না হতেই মার্চ থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে মূল্যস্ফীতি। এ সময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার বাজার মানিটরিং, গুদামগুলোতে অভিযান শুরু করে। এতসব করেও বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। উল্টো ওই বছরের ডিসেম্বরে রেকর্ড ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশে ওঠে মূল্যস্ফীতি।

একই পথে হেঁটেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। পণ্য সংকট, সিন্ডিকেটসহ নানা কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি শুরু হলেই কয়েকটি বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেই তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছে। মাঝেমধ্যে কিছু কিছু নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে মূল্যস্ফীতি কম দেখাতে ভুয়া হিসাবায়নও করে বিগত সরকার। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পরও সেই পুরোনো নিয়মেই বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিছু নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও সেগুলো কেউই মানছে না। মাঝেমধ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে, কিন্তু দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের মূল কাজ না করে জনপ্রিয় অভিযানেই সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ সীমাবদ্ধ। এতে উপকৃত না হয়ে উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষি, ক্রেতা ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। করোনা-পরবর্তী বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট তৈরি হলে বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ে। ডলার সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্যান্য কারণে দেশের পণ্য বাজার অস্থির হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও আড়াই বছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। বাধ্য হয়ে গত বছরের জুলাই মাসে সুদহারের সীমা তুলে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর তিন ধাপে বাড়ানো হয় নীতি সুদহার। কিন্তু কোনোভাবেই কমেনি মূল্যস্ফীতি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে সুদের হার তিন ধাপে বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে বাজার ব্যবস্থাপনায় বড় কোনো উন্নয়ন দেখাতে পারেনি। সরকার গঠনের পর কয়েকদিন চাঁদাবাজি বন্ধ থাকায় পণ্যমূল্য কিছুটা কমলেও সময় যত বেড়েছে চাঁদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পণ্যের দামও। আগের তুলনায় বিভিন্ন স্থানে চাঁদার হারও বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রথম আলো:

আদানি ‘একতরফা’ চুক্তির সুযোগ নিচ্ছে
ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে জটিলতা কাটছে না। গত জুলাই থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার বাড়তি দাম ধরে বিদ্যুৎ বিল করছে আদানি। বকেয়া বিল পরিশোধে বাংলাদেশকে চাপও দিচ্ছে। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে অর্ধেকের নিচে নামিয়েছে তারা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ‘একতরফা’ চুক্তির সুযোগ নিচ্ছে আদানি।আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত। গত বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর আগেই কয়লার দাম নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। কয়লার চড়া দাম দিতে অস্বীকৃতি জানায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এরপর দাম কমাতে রাজি হয় আদানি। পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে কম দামে কয়লা সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দেয় তারা। তবে এক বছর পর এখন আবার ২২ শতাংশ বাড়তি দাম চাইছে আদানি।

আদানি গত জুলাই থেকে কয়লার বাড়তি দামে বিল করছে। বকেয়ার জন্য চাপ বাড়াচ্ছে। গতকাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে তারা।